সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:  সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সদর সংলগ্ন মাউতির বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল উপজেলার সবচেয়ে বড় ছায়ার হাওর। শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়। ফলে লিকেজ হতে থাকে বাঁধটি। রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়।

ছায়ার হাওরে জমি রয়েছে ৪ হাজার, ৬শ’ ৬০ হেক্টর। ওই হাওরটি তিনটি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এখনো হাওরে বহু জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। অনেকই ধান কাটলেও গোলায় তুলতে পারেন নি, হাওরেই রয়ে গেছে কাটা ধান।

কৃষক নিভলু রায় বলেন, আমার ৮ কেয়ার জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে।

হরিধন দাস বলেন, আমি ৫ কেয়ার জমি করেছি। দুই কেয়ার জমির ধার কাটা বাকি রইছে। আমার সব ধান হাওরে রইছে। কাটা ধান কেমনে আনমু বুঝতে পারছি না। আমি গরীব মানুষ নৌকাও নাই। অসহায় হয়ে পড়ছি।

শঙ্কর রায় বলেন, আমার ৮ কেয়ার জমি হাওরে কাটার বাকি রইছে।

কাচু রায় বলেন, হাওর হাওরে অর্ধেক জমি এখনো রইছে। এমন আরো বহু কৃষক ধান কাটতে পারেননি। আমারও অর্ধেক কাটার বাকি আছে।

রাখাল দাস বলেন, হাওরে অর্ধেক ধান রইছে।

 
বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ সরকার বলেন, প্রায় অর্ধেক জমি হাওরে আছে। পিআইসিরদের অবহেলার কারণেই বাঁধ ভাঙছে।

৩নং বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, হাওরে এখানো অর্ধেক ধান কাটার বাকি আছে। গরীব মানুষগুলোই ধান কাটতে পারেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো’র) দায়িত্বহীনতার কারণেই বাঁধ ভেঙে গেছে। ছায়ার হাওরে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর বোরো জমি আবাদ হয়েছে।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ছায়ার হাওরে জমি রয়েছে ৪ হাজার, ৬শ’ ৬০ হেক্টর। এর মধ্যে ধান কর্তন হয়েছে ৯৫ শতাংশ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, পাঁচ শতাংশ ধান কাটার বাকি রয়েছে। গত রাতে বজ্রসহ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়। এ সময় বাঁধে কোনো পাহাড়াদার ছিল না। তদন্ত করে পিআইসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:  সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সদর সংলগ্ন মাউতির বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেল উপজেলার সবচেয়ে বড় ছায়ার হাওর। শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাতে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়। ফলে লিকেজ হতে থাকে বাঁধটি। রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে বাঁধটি ভেঙে যায়।

ছায়ার হাওরে জমি রয়েছে ৪ হাজার, ৬শ’ ৬০ হেক্টর। ওই হাওরটি তিনটি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জের মধ্যে অবস্থিত। এখনো হাওরে বহু জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। অনেকই ধান কাটলেও গোলায় তুলতে পারেন নি, হাওরেই রয়ে গেছে কাটা ধান।

কৃষক নিভলু রায় বলেন, আমার ৮ কেয়ার জমির ধান কাটার বাকি রয়েছে।

হরিধন দাস বলেন, আমি ৫ কেয়ার জমি করেছি। দুই কেয়ার জমির ধার কাটা বাকি রইছে। আমার সব ধান হাওরে রইছে। কাটা ধান কেমনে আনমু বুঝতে পারছি না। আমি গরীব মানুষ নৌকাও নাই। অসহায় হয়ে পড়ছি।

শঙ্কর রায় বলেন, আমার ৮ কেয়ার জমি হাওরে কাটার বাকি রইছে।

কাচু রায় বলেন, হাওর হাওরে অর্ধেক জমি এখনো রইছে। এমন আরো বহু কৃষক ধান কাটতে পারেননি। আমারও অর্ধেক কাটার বাকি আছে।

রাখাল দাস বলেন, হাওরে অর্ধেক ধান রইছে।

 
বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ সরকার বলেন, প্রায় অর্ধেক জমি হাওরে আছে। পিআইসিরদের অবহেলার কারণেই বাঁধ ভাঙছে।

৩নং বাহাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, হাওরে এখানো অর্ধেক ধান কাটার বাকি আছে। গরীব মানুষগুলোই ধান কাটতে পারেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো’র) দায়িত্বহীনতার কারণেই বাঁধ ভেঙে গেছে। ছায়ার হাওরে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর বোরো জমি আবাদ হয়েছে।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ছায়ার হাওরে জমি রয়েছে ৪ হাজার, ৬শ’ ৬০ হেক্টর। এর মধ্যে ধান কর্তন হয়েছে ৯৫ শতাংশ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, পাঁচ শতাংশ ধান কাটার বাকি রয়েছে। গত রাতে বজ্রসহ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়। এ সময় বাঁধে কোনো পাহাড়াদার ছিল না। তদন্ত করে পিআইসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।