দি ক্রাইম ডেস্ক: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া ফাঁসিয়াখালী ফরেস্ট চেকপোস্ট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও প্রাইভেট নোহা মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীসহ একই পরিবারের পাঁচ নারী পর্যটক নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী হাঁসের দিঘি সেনাক্যাম্পের দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রুমানা আক্তার রুমি (৬০), তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ শিক্ষার্থী সাদিয়া হক (২৩), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্রী ফারজানা মজুমদার (২৪), লিজা মজুমদার (২৫) ও রাশেদা শিল্পী (৫০)।
আহতরা হলেন- এনামুল হক, মাইক্রোবাস চালক আমিনুল হক এবং তার ছেলে।
নিহতদের স্বজন ও ডুলাহাজারার বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, ভোরে একই পরিবারের আটজন সদস্য নোহা মাইক্রোবাসে করে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। তারা কক্সবাজার থেকে ফেরার পথে চকরিয়ায় তার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল।
মালুমঘাট হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান একই পরিবারে ৫ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালী আর্মি ক্যাম্পের দক্ষিণ পাশে ফরেস্ট চেকপোস্ট এলাকায় চট্টগ্রাম মুখী একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে কক্সবাজার গামী একটি প্রাইভেট নোহা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নোহা গাড়িতে থাকা আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনিয়া আরও জানান, এদের মধ্য থেকে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খৃষ্টান হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয় এবং চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইজন মৃত্যু হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় অপর তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




