দি ক্রাইম ডেস্ক: গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে একের পর এক খুনের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে চট্টগ্রামের রাউজান। এই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ শোনা গেছে স্থানীয়দের কণ্ঠে। এবার সেখানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত কামাল উদ্দিনসহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় একটি অস্ত্রভান্ডার জব্দ করা হয়। সেখানে ৬৯টি অস্ত্র পাওয়া গেছে।

শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, ৬৯ অস্ত্র জব্দ:  রাউজানে ৬৯টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কামাল উদ্দিন ও তার সহযোগী সোহেল আহমেদকে। বুধবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা খায়েজ আহমদ চেয়ারম্যানের নতুন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়। র‌্যাব জানায়, অভিযানে বহু দিন ধরে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান মেলে।

র‌্যাব বলেছে, অভিযানটি বুধবার রাত ১টা থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। জব্দ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে– একনলা বন্দুক ১১টি, চায়নিজ কুড়াল চারটি, চাপাতি ১০টি, রামদা আটটি, কার্তুজ ১৫টি, হকিস্টিক ৯টি, ছুরি ছয়টি, হাতুড়ি তিনটি, করাত তিনটি, দুই বাক্স বারুদের বাজি, এক বোতল মদ ও ৫০ গ্রাম গাঁজা।

গতকাল দুপুরে অভিযান শেষে ব্রিফিং করেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, গত ১৪ মাসে রাউজানে ১৭টি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সন্ত্রাসীদের নজরদারি করছিল র‌্যাব। এর ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী কামাল উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এটি অন্যতম বড় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কামালের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। সবটাতে তিনি জামিনে ছিলেন।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামাল উদ্দিন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মৃত খায়েজ আহমদ চেয়ারম্যানের ছেলে এবং সহযোগী সোহেল একই এলাকার মৃত আহম্মদ শফিক আহম্মদের ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। দুজনই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে এবং তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে। রাউজানে সন্ত্রাসী দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। জব্দ অস্ত্রগুলো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে হত্যাকাণ্ডগুলোতে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে বলে জানান তিনি।

দি ক্রাইম ডেস্ক: গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে একের পর এক খুনের মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে চট্টগ্রামের রাউজান। এই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ শোনা গেছে স্থানীয়দের কণ্ঠে। এবার সেখানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত কামাল উদ্দিনসহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় একটি অস্ত্রভান্ডার জব্দ করা হয়। সেখানে ৬৯টি অস্ত্র পাওয়া গেছে।

শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, ৬৯ অস্ত্র জব্দ:  রাউজানে ৬৯টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কামাল উদ্দিন ও তার সহযোগী সোহেল আহমেদকে। বুধবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা খায়েজ আহমদ চেয়ারম্যানের নতুন বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো জব্দ করা হয়। র‌্যাব জানায়, অভিযানে বহু দিন ধরে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অস্ত্রভান্ডারের সন্ধান মেলে।

র‌্যাব বলেছে, অভিযানটি বুধবার রাত ১টা থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। জব্দ অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে– একনলা বন্দুক ১১টি, চায়নিজ কুড়াল চারটি, চাপাতি ১০টি, রামদা আটটি, কার্তুজ ১৫টি, হকিস্টিক ৯টি, ছুরি ছয়টি, হাতুড়ি তিনটি, করাত তিনটি, দুই বাক্স বারুদের বাজি, এক বোতল মদ ও ৫০ গ্রাম গাঁজা।

গতকাল দুপুরে অভিযান শেষে ব্রিফিং করেন র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, গত ১৪ মাসে রাউজানে ১৭টি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সন্ত্রাসীদের নজরদারি করছিল র‌্যাব। এর ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী কামাল উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এটি অন্যতম বড় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কামালের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। সবটাতে তিনি জামিনে ছিলেন।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামাল উদ্দিন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মৃত খায়েজ আহমদ চেয়ারম্যানের ছেলে এবং সহযোগী সোহেল একই এলাকার মৃত আহম্মদ শফিক আহম্মদের ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। দুজনই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে এবং তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হবে। রাউজানে সন্ত্রাসী দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। জব্দ অস্ত্রগুলো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে হত্যাকাণ্ডগুলোতে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে বলে জানান তিনি।