অনুসন্ধানী প্রতিবেদন- (পর্ব ১)

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্থাপত্য পরিকল্পনা শাখাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। এই শাখার অধীনে রয়েছে দু’টি অথরাইজড অফিসার,ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন,বিশেষ প্রকল্প ও নগর উন্নয়ন কমিটি(অ্যাটিলেট ডিভিশন)।পদাধীকার বলে এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম। এই শাখা গুলো থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব সরকারী কোষাগারে জমা হচ্ছে।

শাখাটি জনসেবার কেন্দ্রবিন্দু হলেও এখানে সেবার পরিবর্তে ব্যবসা হয় বেশী। ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন দালালী নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। এই দালালী কুক্ষিগত করার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে উড়োচিঠি চালাচালির প্রবনতা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সুত্রে জানা গেছে, এই দালালী ব্যবসা পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা শাখায় কয়েকটি গ্রুপ ও উপগ্রুপ ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বের গ্রুপগুলো থেকে দালালী ব্যবসা ভাগিয়ে নেয়ার জন্য নতুন গ্রুপটি ইমারত নির্মাণ বিধিমালাকে উপেক্ষা করে নিজস্ব মনগড়া আইনের প্রতিফলন ঘটিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা হাতিয়ে নেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও এই ব্যবসা ভাগিয়ে নেয়ার জন্য সুকৌশলে তাদের কোরাম পূর্ণ করেছে। এই কোরামটির প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি অবৈধ পদোন্নতি প্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী এজিএম সেলিম। তিনি এখন নতুন স্বপ্নে বিভোর। তার সিনিয়র ৪জনকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর পদটি ভাগিয়ে নেয়ার জন্য বহিরাগত একটি পিটিশনবাজ সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করছে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গৃহায়ণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রধানগণ চিহ্নিত করেছেন।

সুত্রে আরো জানা গেছে, সরকার পতনের পর থেকে সিডিএর এ বর্ণচোরা কর্মকর্তা সম্মন্বয়কের ভুমিকা পালন করছে। কথায় কথায় দপ্তর প্রধানের সাথে বেয়াদবি ও নিম্মস্তরের কর্মচারীদের গালাগালি করা তাদের স্বভাবে পরিরণত হয়েছে। তারা শুধু একটিই ধুয়া তিনি কথিত সৎ কর্মকর্তা।

সুত্রটি আরো জানান, ডবল চেয়ারম্যান সিন্ডিকেটের উপ-সমন্বয় সহকারী অথরাইজড অফিসার ইলিয়াছ আক্তার নগরীর মেহেদীবাগস্থ সিকিউর ডেভলামেন্ট কোম্পানীকে ৯ ফুট ব্লক সড়কে ৭তালা ভবন অনুমোদনের পরিবর্তে অবৈধভাবে একটি ফ্লাট উপহারের বিনিময়ে ১০ তালা ভবনের অনুমোদন পাইয়ে দেয়। যা তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। দুদকের অভিযুক্ত এ সহকারী প্রকৌশলী দীর্ঘদিন যাবৎ এ পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। বরংবার অথরাইজড অফিসারদের বদলী হলেও সহকারী অথরাজড অফিসারদের রহস্যজনক কারণে বদলী হচ্ছেনা। নিয়মানুযায়ী বদলী না হওয়ায় তাদের দুরর্নীতির মাত্রা লাঘামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুধু তাই নয়, এ সহকারী প্রকৌশলী ডবল চেয়াম্যানের পশ্রয়ে ইমারত নির্মাণ নথি নং-২৫.৪৭.১৫০০.০৭২.৪৩.২৭৭.২৪ এর নকশা অনুমোদনের নথিটি কাউন্টার দস্তখতের জন্য তার নিকট প্রেরণ করলে তিনি সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ কামালের নিকট ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র নং-১৭৩/২৪ ও ৭৮/ দুটি নথি অনুমোদনের জন্য অন্যায় তদবির করেন। ইতোমধ্যে ৭৮/২৪ নথিটি’র বিরুদ্ধে আপত্তি প্রদান করা হয়েছে কিন্তু বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ সড়কে নির্মাণাধীন এভারগ্রীন হাইটস(বিসি কেইচ নং-২৭৭/২৪) নথিটি নীতিগতভাবে ইমারত নির্মাণ কমিটিতে অনুমোদিত হয়।

উল্লেখ্য,উপরোক্ত ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র নথি দুটি অনুমোদন করে না দেয়ায় গায়ের জোরে নথিটি আটকিয়ে রাখে। এছাড়াও তিনি বাকলিয়া ডিসি রোডে বিসি কেইচ নং-১০৩২/২৩ নথিটি অনুমোদনের পুর্বে ৯তালা বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছে। এই নথিটিও তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন- (পর্ব ১)

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্থাপত্য পরিকল্পনা শাখাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি শাখা। এই শাখার অধীনে রয়েছে দু’টি অথরাইজড অফিসার,ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র অনুমোদন,বিশেষ প্রকল্প ও নগর উন্নয়ন কমিটি(অ্যাটিলেট ডিভিশন)।পদাধীকার বলে এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম। এই শাখা গুলো থেকে প্রচুর পরিমান রাজস্ব সরকারী কোষাগারে জমা হচ্ছে।

শাখাটি জনসেবার কেন্দ্রবিন্দু হলেও এখানে সেবার পরিবর্তে ব্যবসা হয় বেশী। ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন দালালী নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছে। এই দালালী কুক্ষিগত করার জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে উড়োচিঠি চালাচালির প্রবনতা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সুত্রে জানা গেছে, এই দালালী ব্যবসা পরিচালনার জন্য পরিকল্পনা শাখায় কয়েকটি গ্রুপ ও উপগ্রুপ ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বের গ্রুপগুলো থেকে দালালী ব্যবসা ভাগিয়ে নেয়ার জন্য নতুন গ্রুপটি ইমারত নির্মাণ বিধিমালাকে উপেক্ষা করে নিজস্ব মনগড়া আইনের প্রতিফলন ঘটিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা হাতিয়ে নেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এছাড়াও এই ব্যবসা ভাগিয়ে নেয়ার জন্য সুকৌশলে তাদের কোরাম পূর্ণ করেছে। এই কোরামটির প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি অবৈধ পদোন্নতি প্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী এজিএম সেলিম। তিনি এখন নতুন স্বপ্নে বিভোর। তার সিনিয়র ৪জনকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর পদটি ভাগিয়ে নেয়ার জন্য বহিরাগত একটি পিটিশনবাজ সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করছে। যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গৃহায়ণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রধানগণ চিহ্নিত করেছেন।

সুত্রে আরো জানা গেছে, সরকার পতনের পর থেকে সিডিএর এ বর্ণচোরা কর্মকর্তা সম্মন্বয়কের ভুমিকা পালন করছে। কথায় কথায় দপ্তর প্রধানের সাথে বেয়াদবি ও নিম্মস্তরের কর্মচারীদের গালাগালি করা তাদের স্বভাবে পরিরণত হয়েছে। তারা শুধু একটিই ধুয়া তিনি কথিত সৎ কর্মকর্তা।

সুত্রটি আরো জানান, ডবল চেয়ারম্যান সিন্ডিকেটের উপ-সমন্বয় সহকারী অথরাইজড অফিসার ইলিয়াছ আক্তার নগরীর মেহেদীবাগস্থ সিকিউর ডেভলামেন্ট কোম্পানীকে ৯ ফুট ব্লক সড়কে ৭তালা ভবন অনুমোদনের পরিবর্তে অবৈধভাবে একটি ফ্লাট উপহারের বিনিময়ে ১০ তালা ভবনের অনুমোদন পাইয়ে দেয়। যা তদন্ত করলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে। দুদকের অভিযুক্ত এ সহকারী প্রকৌশলী দীর্ঘদিন যাবৎ এ পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। বরংবার অথরাইজড অফিসারদের বদলী হলেও সহকারী অথরাজড অফিসারদের রহস্যজনক কারণে বদলী হচ্ছেনা। নিয়মানুযায়ী বদলী না হওয়ায় তাদের দুরর্নীতির মাত্রা লাঘামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুধু তাই নয়, এ সহকারী প্রকৌশলী ডবল চেয়াম্যানের পশ্রয়ে ইমারত নির্মাণ নথি নং-২৫.৪৭.১৫০০.০৭২.৪৩.২৭৭.২৪ এর নকশা অনুমোদনের নথিটি কাউন্টার দস্তখতের জন্য তার নিকট প্রেরণ করলে তিনি সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ কামালের নিকট ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র নং-১৭৩/২৪ ও ৭৮/ দুটি নথি অনুমোদনের জন্য অন্যায় তদবির করেন। ইতোমধ্যে ৭৮/২৪ নথিটি’র বিরুদ্ধে আপত্তি প্রদান করা হয়েছে কিন্তু বাকলিয়ার সৈয়দ শাহ সড়কে নির্মাণাধীন এভারগ্রীন হাইটস(বিসি কেইচ নং-২৭৭/২৪) নথিটি নীতিগতভাবে ইমারত নির্মাণ কমিটিতে অনুমোদিত হয়।

উল্লেখ্য,উপরোক্ত ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্র নথি দুটি অনুমোদন করে না দেয়ায় গায়ের জোরে নথিটি আটকিয়ে রাখে। এছাড়াও তিনি বাকলিয়া ডিসি রোডে বিসি কেইচ নং-১০৩২/২৩ নথিটি অনুমোদনের পুর্বে ৯তালা বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছে। এই নথিটিও তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।