মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া: কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ইউনুচ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলার করায় ফেঁসে যাচ্ছেন মামলার বাদি! আদালতে মিথ্যা তথ্য ও অভিযোগ দায়ের করে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায় পেকুয়ার সর্বত্রে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার মগনামার ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরী গত ১১ জানুয়ারী সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলার জামিন নেন। আর একই দিন সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড়ের শুদ্ধাখালী গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা সাঁজিয়ে কুলচুমা আকতার (২৩) নামের এক নারী বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারী চকরিয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আর আদালত মামলাটি আমলে পেকুয়া থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে মামলার খবর এলাকায় পৌঁছালে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা।

মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, গত ১১ জানুয়ারী সকাল ১১টার দিকে তার স্বামী ও মামা শাশুড় লবন বিক্রি করে আসার পথে মগনামা শুদ্ধাখালী গ্রামে পৌঁছার সাথে সাথে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইউনুচ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ জন ব্যক্তি তার স্বামী ও মামা শাশুড়ের গতিরোধ করে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন। আর টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে থাকা ধারালো দা দ্বারা প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মামা শাশুড় আলমগীরের মাথায় কোপ মারেন। এতে আলমগীর আহত হয়। তবে মামলার বাদি এজাহারে এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ এনে মামলা করলেও সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং ওই দিন মগনামা শুদ্ধাখালী গ্রামে কোন ঘটনা ঘটেনি।

বাদি মামলার এজাহারে গত ১১ জানুয়ারী সকাল ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করলেও ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরী একটি মামলার জামিন নিতে ওই দিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে চকরিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান ওই দিন আদালত থেকে তার এলাকায় ফিরেন সন্ধ্যায় ৭টার দিকে।

মগনামা ইউনিয়নের শুদ্ধাখালী গ্রামের বাসিন্দা মনির, মো: ইউসুফ ও আজিম উদ্দিন কালু জানিয়েছেন, গত ১১ জানুয়ারী তাদের গ্রামের কোন ধরনের মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এরপরও কুলচুমা নামের এক নারী ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে আদালতকে ভূল বুঝিয়ে একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় মিথ্যা মামলার বাদীর গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইউনুচ চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের শুদ্ধাখালী গ্রামের কুলচুমা নামের এক নারী স্থানীয় মামলাবাজ চক্রের পরামর্শে আমার বিরুদ্ধে ১১ জানুয়ারী সকাল ১১টায় ঘটনা সাঁজিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। অথচ, ওই দিন সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আমি একটি মামলায় জামিন নিতে চকরিয়া আদালতে হাজির ছিলাম। সেটি আদালতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রয়েছে।

মামলার বাদি কুলচুমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি আদালতে ভূল তথ্য দিয়ে তিনি মামলা করেননি।

চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এডভোকেট মো: এমরান জানিয়েছেন, আদালতে ভূল তথ্য উপস্থাপন করে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক নারী কর্তৃক মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনা খুবই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় ওই নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা আদালতকে অবহিত করবো।

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া: কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ইউনুচ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলার করায় ফেঁসে যাচ্ছেন মামলার বাদি! আদালতে মিথ্যা তথ্য ও অভিযোগ দায়ের করে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায় পেকুয়ার সর্বত্রে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার মগনামার ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরী গত ১১ জানুয়ারী সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলার জামিন নেন। আর একই দিন সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড়ের শুদ্ধাখালী গ্রামে একটি মারামারির ঘটনা সাঁজিয়ে কুলচুমা আকতার (২৩) নামের এক নারী বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারী চকরিয়া আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আর আদালত মামলাটি আমলে পেকুয়া থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে মামলার খবর এলাকায় পৌঁছালে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা।

মামলার এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন, গত ১১ জানুয়ারী সকাল ১১টার দিকে তার স্বামী ও মামা শাশুড় লবন বিক্রি করে আসার পথে মগনামা শুদ্ধাখালী গ্রামে পৌঁছার সাথে সাথে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইউনুচ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০ জন ব্যক্তি তার স্বামী ও মামা শাশুড়ের গতিরোধ করে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন। আর টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করার সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে থাকা ধারালো দা দ্বারা প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মামা শাশুড় আলমগীরের মাথায় কোপ মারেন। এতে আলমগীর আহত হয়। তবে মামলার বাদি এজাহারে এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ এনে মামলা করলেও সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং ওই দিন মগনামা শুদ্ধাখালী গ্রামে কোন ঘটনা ঘটেনি।

বাদি মামলার এজাহারে গত ১১ জানুয়ারী সকাল ১১টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করলেও ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরী একটি মামলার জামিন নিতে ওই দিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে চকরিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান ওই দিন আদালত থেকে তার এলাকায় ফিরেন সন্ধ্যায় ৭টার দিকে।

মগনামা ইউনিয়নের শুদ্ধাখালী গ্রামের বাসিন্দা মনির, মো: ইউসুফ ও আজিম উদ্দিন কালু জানিয়েছেন, গত ১১ জানুয়ারী তাদের গ্রামের কোন ধরনের মারামারির ঘটনা ঘটেনি। এরপরও কুলচুমা নামের এক নারী ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে আদালতকে ভূল বুঝিয়ে একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়রা এ ঘটনায় মিথ্যা মামলার বাদীর গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইউনুচ চৌধুরী বলেন, তার ইউনিয়নের শুদ্ধাখালী গ্রামের কুলচুমা নামের এক নারী স্থানীয় মামলাবাজ চক্রের পরামর্শে আমার বিরুদ্ধে ১১ জানুয়ারী সকাল ১১টায় ঘটনা সাঁজিয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। অথচ, ওই দিন সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আমি একটি মামলায় জামিন নিতে চকরিয়া আদালতে হাজির ছিলাম। সেটি আদালতের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রয়েছে।

মামলার বাদি কুলচুমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি আদালতে ভূল তথ্য দিয়ে তিনি মামলা করেননি।

চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এডভোকেট মো: এমরান জানিয়েছেন, আদালতে ভূল তথ্য উপস্থাপন করে মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক নারী কর্তৃক মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনা খুবই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনায় ওই নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা আদালতকে অবহিত করবো।