নিজস্ব প্রতিনিধি : এবার তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতিকে মামলা দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এমন কী ওই মামলা থেকে রক্ষা পায়নি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত তার এক সহোদরও। কোন তদন্ত ছাড়াই চকরিয়া থানার ওসি প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়ে এ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যুবলীগ সভাপতি শহীদুল ইসলাম।
গত ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টায় পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সবুজ বাগের একটি মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে শিশুর একটি কর্ক নুর নবী নামের এক ব্যক্তির গায়ে পড়া নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে যুবলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ক্ষোভ জম্মেছে স্হানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা যুবলীগসহ বিভিন্নমহল।দ্রুত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সুস্থ তদন্তের দাবী জানানও তারা।
চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম জানান, তার শিশু পুত্র শাহনেওয়াজ কবির ইয়াদ (০৮) সহ কয়েকজন বন্ধু মিলে গত ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টায় সবুজবাগ মালেক টাওয়ারের উঠানে ব্যাডমিন্টন খেলা করছিলো। ওই সময় মালেক টাওয়ারের ভাড়াটিয়া নুর নবী (৫৫) বাসা থেকে বের হওয়ার সময় গায়ের উপর কর্ক পড়ে। এতে নুর নবী ক্ষিপ্ত হয়ে তার পুত্র ইয়াদকে মারধর করে। শিশুপুত্র ইয়াদ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মালেক টাওয়ারের বাসায় গিয়ে কান্নাকাটি করে।
শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, পুত্র ইয়াদের কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে ছেলে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, একই ভবনের ভাড়াটিয়া নুর নবী তার ছেলেকে মারধর করেছে। বাসার নিচে একটি চায়ের দোকানে বসা অবস্থায় নুর নবীর কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার উপর হামলা করে। এতে মারাত্মকভাবে আহত হই আমি। এরপরেই আমি বাসায় চলে যাই। কিন্তু পরবর্তীতে জানলাম নুর নবীকে হামলা করেছি বলে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। সে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। অথচ তাকেও মামলায় দেয়া হয়েছে।
এদিকে আজ রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই চকরিয়া থানার ওসি তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছেন। বর্তমান সাংসদ জাফর আলম, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক কাউসার উদ্দিন কচির ও থানার দালাল তারেক পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে, মুলত ওই ঘটনার মামলার হওয়ার প্রশ্নে উঠে না। ঘটনার তিনদিন পর থানা পুলিশকে ব্যবহার করে একজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে মামলা, এক ধরণের ষড়যন্ত্র বলে জানান তিনি। অতি উৎসাহী হয়ে এ মামলাটি নিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি।




