আদিবা রহমান,ঢাকা: রাজধানীর মহাখালীতে চাঞ্চল্যকর কাজী রাশেদ হত্যার প্রধান আসামি সুন্দরী সোহেল দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর এলাকায় ফিরে এসেছে প্রায় এক বছর হয়েছে। এলাকায় ফিরে আসার পর থেকে যুবলীগের ব্যানারে প্রকাশ্যেই অংশ নিচ্ছে রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিটিং মিছিলে। শুধু সুন্দরী সোহেল নয় রাশেদ হত্যায় অংশ নেওয়া অন্য আসামি হাসু, ফিরোজ ও দিপনকেও একসাথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। সোহেলের সাথে তারাও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। অথচ সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন তাদের রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছেনা।

কাজী রাশেদকে গুলি করে হত্যা করে সুন্দরী সোহেল। যেই বাড়িতে হত্যা করা হয় সেই বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় হাসু, ফিরোজ ও দিপন লাশ টেনে বের করছে।

জানা গেছে, জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় সুন্দরী সোহেল আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে আমিনুল নামে কথিত ছাত্রলীগ নেতা ও শ্রমিক লীগ নেতা নাছির উদ্দিন।

বহিষ্কৃত ওই যুবলীগ নেতা পুলিশের খাতায় পলাতক থাকলেও দীর্ঘ সময় পর সামনে এসেছেন ঘটা করে, তাও আবার মহাখালীতেই। যুবলীগ নেতাদের সাথে শোডাউন করে ও যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভিডিও করে ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই পোস্ট করেন ইউসুফ সরদার সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেল। যা নিয়ে এলাকায় তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। যুবলীগের বড় নেতারা সুন্দরী সোহেলকে বহিস্কার করা হয়েছে দাবি করলেও এলাকায় তার নিত্যনতুন পোষ্টারের ছড়াছড়ি। পোষ্টারে তার পরিচয় ব্যবহার করা হচ্ছে বনানী থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি। এছাড়া বাংলাদেশ যুবলীগের মূল নেতাদের সাথেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যাচ্ছে। এনিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত কাজী রাশেদের পরিবার।

রাশেদ হত্যার পাঁচ বছর পার হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ভিডিও ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। চিহ্নিত হয়েছে জড়িতরা। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ভোরে বনানী থানা এলাকার মহাখালী জিপি-গ ৩৩/১ নম্বর বাড়ির পেছনের গলি থেকে রাশেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশেদকে হত্যার পরেই বিদেশে পালিয়ে যান প্রধান আসামি ইউসুফ সরদার সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেল।

রাশেদ হত্যাকান্ডের পর যুবলীগ নেতা সোহেলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি শটগান ও ১২১টি গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি কিছুদিন বনানী থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তীতে তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট, নম্বর-২৬৬)। পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, রাশেদ হত্যাকান্ডে সুন্দরী সোহেলসহ কয়েক জনের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

এদিকে মামলাটির অন্যতম আসামি জাকির হোসেন সরদার জামিনে রয়েছেন। যুবলীগের যে কোনো কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে তাকে দেখা যায়। হত্যাকান্ডের সময় কঙ্কাল ভবনের নিচে পাহারা দিয়েছিলো জাকির। গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিও দিয়েছে জাকির।

জবানবন্দিতে জাকির বলেন, সোহেল ও ফিরোজ একটু দূরে ডেকে তাকে বলেন, ‘আজ রাশেদকে ফালাইয়া দিমু, তুই নিচে পাহারায় থাকিস। কেউ যেন ওপরে যেতে না পারে।’ রাশেদকে নিয়ে সোহেল, ফিরোজ, হাসু, দীপু ও আরও দু-তিনজন তৃতীয়তলায় সোহেলের অফিসে যায়। কয়েক মিনিট পর একাধিক গুলির শব্দ শুনতে পান জাকির। এর কিছুক্ষণ পর সোহেল ও অপরিচিত একজন নিচে নেমে এসে জাকিরের হাতে একটি ছোট বাক্স ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলে। এর কিছু সময় পর হাসু, দীপু, জহিরুল ও ফিরোজ রাশেদের গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশ ধরাধরি করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে এনে গেটের বাইরে দেয়ালের পাশে ফেলে দেয়। এ সময় তাদের হাতে পলিথিন জড়ানো ছিল।

জানা যায়, ২০১৬ সালে রিকশা ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রিকশাচালকের পায়ে গুলি করেছিলো সোহেল। ২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা জাকিরকে গুলি করেছিলো। এরআগে একটি হত্যা করে বিএনপি সরকারের আমলে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায় সোহেল। পরে ২০০৯ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে আসেন। প্রভাব থাকার কারণে প্রতিটি অপকর্ম করার পর পার পেয়ে যায়।

আদিবা রহমান,ঢাকা: রাজধানীর মহাখালীতে চাঞ্চল্যকর কাজী রাশেদ হত্যার প্রধান আসামি সুন্দরী সোহেল দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থাকার পর এলাকায় ফিরে এসেছে প্রায় এক বছর হয়েছে। এলাকায় ফিরে আসার পর থেকে যুবলীগের ব্যানারে প্রকাশ্যেই অংশ নিচ্ছে রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও মিটিং মিছিলে। শুধু সুন্দরী সোহেল নয় রাশেদ হত্যায় অংশ নেওয়া অন্য আসামি হাসু, ফিরোজ ও দিপনকেও একসাথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। সোহেলের সাথে তারাও ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। অথচ সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসন তাদের রহস্যজনক কারণে গ্রেফতার করছেনা।

কাজী রাশেদকে গুলি করে হত্যা করে সুন্দরী সোহেল। যেই বাড়িতে হত্যা করা হয় সেই বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় হাসু, ফিরোজ ও দিপন লাশ টেনে বের করছে।

জানা গেছে, জনৈক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় সুন্দরী সোহেল আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ। তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে আমিনুল নামে কথিত ছাত্রলীগ নেতা ও শ্রমিক লীগ নেতা নাছির উদ্দিন।

বহিষ্কৃত ওই যুবলীগ নেতা পুলিশের খাতায় পলাতক থাকলেও দীর্ঘ সময় পর সামনে এসেছেন ঘটা করে, তাও আবার মহাখালীতেই। যুবলীগ নেতাদের সাথে শোডাউন করে ও যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভিডিও করে ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই পোস্ট করেন ইউসুফ সরদার সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেল। যা নিয়ে এলাকায় তুমুল আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। যুবলীগের বড় নেতারা সুন্দরী সোহেলকে বহিস্কার করা হয়েছে দাবি করলেও এলাকায় তার নিত্যনতুন পোষ্টারের ছড়াছড়ি। পোষ্টারে তার পরিচয় ব্যবহার করা হচ্ছে বনানী থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি। এছাড়া বাংলাদেশ যুবলীগের মূল নেতাদের সাথেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যাচ্ছে। এনিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত কাজী রাশেদের পরিবার।

রাশেদ হত্যার পাঁচ বছর পার হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই ভিডিও ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। চিহ্নিত হয়েছে জড়িতরা। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ভোরে বনানী থানা এলাকার মহাখালী জিপি-গ ৩৩/১ নম্বর বাড়ির পেছনের গলি থেকে রাশেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশেদকে হত্যার পরেই বিদেশে পালিয়ে যান প্রধান আসামি ইউসুফ সরদার সোহেল ওরফে সুন্দরী সোহেল।

রাশেদ হত্যাকান্ডের পর যুবলীগ নেতা সোহেলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি শটগান ও ১২১টি গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি কিছুদিন বনানী থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তীতে তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট, নম্বর-২৬৬)। পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, রাশেদ হত্যাকান্ডে সুন্দরী সোহেলসহ কয়েক জনের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

এদিকে মামলাটির অন্যতম আসামি জাকির হোসেন সরদার জামিনে রয়েছেন। যুবলীগের যে কোনো কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে তাকে দেখা যায়। হত্যাকান্ডের সময় কঙ্কাল ভবনের নিচে পাহারা দিয়েছিলো জাকির। গ্রেফতারের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিও দিয়েছে জাকির।

জবানবন্দিতে জাকির বলেন, সোহেল ও ফিরোজ একটু দূরে ডেকে তাকে বলেন, ‘আজ রাশেদকে ফালাইয়া দিমু, তুই নিচে পাহারায় থাকিস। কেউ যেন ওপরে যেতে না পারে।’ রাশেদকে নিয়ে সোহেল, ফিরোজ, হাসু, দীপু ও আরও দু-তিনজন তৃতীয়তলায় সোহেলের অফিসে যায়। কয়েক মিনিট পর একাধিক গুলির শব্দ শুনতে পান জাকির। এর কিছুক্ষণ পর সোহেল ও অপরিচিত একজন নিচে নেমে এসে জাকিরের হাতে একটি ছোট বাক্স ধরিয়ে দিয়ে চলে যেতে বলে। এর কিছু সময় পর হাসু, দীপু, জহিরুল ও ফিরোজ রাশেদের গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশ ধরাধরি করে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামিয়ে এনে গেটের বাইরে দেয়ালের পাশে ফেলে দেয়। এ সময় তাদের হাতে পলিথিন জড়ানো ছিল।

জানা যায়, ২০১৬ সালে রিকশা ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রিকশাচালকের পায়ে গুলি করেছিলো সোহেল। ২০১৩ সালে যুবলীগ নেতা জাকিরকে গুলি করেছিলো। এরআগে একটি হত্যা করে বিএনপি সরকারের আমলে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায় সোহেল। পরে ২০০৯ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে দেশে আসেন। প্রভাব থাকার কারণে প্রতিটি অপকর্ম করার পর পার পেয়ে যায়।