নিজস্ব প্রতিনিধি: ফেসবুকে মৃত ঈগল পাখির ছবি পোস্ট করে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করার দায়ে সাতকানিয়ায় এক যুবককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এন.এন. জামিউল হিকমা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত উক্ত জরিমানার আদেশ প্রদান করেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার চরতী ইউনিয়নের তালগাঁও গ্রামের নছরুল কবিরের পুত্র মাঈনুদ্দিন হাসান (২৪), তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে একটি মৃত ঈগল পাখির ছবি পোস্ট করে ‘ঈগল পাখিটির জন্য কষ্ট হচ্ছে ‘ বলে পোস্ট দেন। ক্যাপশন দেন- “ঈগল পাখিটির জন্য কষ্ট হচ্ছে”। এর প্রেক্ষিতে ঈগল পাখি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার, চট্টগ্রাম এর নজরে আনেন।এর প্রেক্ষিতে রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সাতকানিয়ায় তলব করা হয়।
অভিযুক্ত যুবক স্বশরীরে হাজির হলে বন্য প্রাণী হত্যা এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীক ‘ঈগল’ এর সমর্থকদের প্রতি অবজ্ঞাসূচক ইঙ্গিত করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপরাধে কেন তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
জবাবে তিনি লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন এবং কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুক থেকে পোস্টটি ডিলেট করেন। ভবিষ্যতে এহেন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ও নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা মেনে চলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এরপর একইদিন রাত আনুমানিক ১২ টার সময় অভিযুক্ত মাঈনুদ্দিন হাসান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে পুনরায় লাইভে এসে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের প্রতি উষ্কানিমূলক এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য প্রচার করেন। যা দ্বিতীয় বারের মত আচরণ বিধি লংঘনের অপরাধে ২১ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত মাঈনুদ্দিন হাসানকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ছোটখাটো বিষয় থেকে বড় ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই কেউ কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতীক নিয়ে উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিলে, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিষয়ে অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য প্রচার করলে তাঁকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনে কোন ছাড় নয়, আমরা কঠোর অবস্থানে থাকব।



