চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও থানায় অভিযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের প্রবাসীর বাড়ির ভাংচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একেই গ্রামের বাসিন্দা ছেরাজ মিয়ার গংগদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব বেলঘর গ্রামে।
এ ঘটনায় প্রবাসী মৃত মুকবুলের ছেলে বশির বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় ছেরাজ মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন, সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রাকিব হোসেন , সিদ্দিকুর রহমান মিয়া,সালমা আক্তার, নেহার বেগম,সফুরা বেগম ও তানজিনা আক্তার সহ ১১জনকে আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দায়েল করে।
অভিযোগ সূত্রে ও প্রবাসী জামাল উদ্দিন জানান, আমার দাদা ধনগাজি হতে বাড়ির সম্পত্তি ১১.৫ শতক মালিকা হয়ে আমার পিতা মকবুল হোসেনের নামে বিএস খতিয়ান ১৫৩ নং হয়, যা আমাদের আমাদের তিন ভাই ও মায়ের নামে খারিজ ৪৩৩ খতিয়ান হয়। আমরা উক্ত সম্পত্তিতে বাড়ি ঘর তৈরি করে বসবাস করি। কিন্তু ছেরাজ ও সিদ্দিকুর রহমান বাড়ির প্রায় ৮ শতক জায়গা অবৈধ ভাবে দাবি করে যাচ্ছে। এ নিয়ে শালিসের মাধ্যমে সমাধান হলেও তারা না মেনে কুমিল্লা আদালতে দেওয়ানী মামলায় দায়ের করে, যা আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত ১৭ অক্টোবর রাতে হামলা চালিয়ে বসত বাড়ীর সীমানার টিনের বেড়া, বসত ঘরের ভাংচুর করে। এই হামলাকে কেন্দ্র করে আমি চৌদ্দগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে আসি। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার সকালে আমরা মিমাংসার জন্য কুমিল্লা কোর্টের উদ্দেশ্য রওনা দিলে বিবাদীগণ বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও আমার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমরা বাড়ি ঘরে যেতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রবাসীরা জানান আমরা তিন ভাই প্রবাসী, আমাদের মতো প্রবাসীরা যদি এই ভাবে দেশে এশে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হতে হয়। তাহলে প্রশাসনের কাছ থেকে আমাদের মতো প্রবাসীরা আস্তা হারিয়ে ফেলবে।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক নাজিম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে তাদের মধ্যে। আমি ভাংচুরের অভিযোগে পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




