গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরের মাজুখানে পাশবিক নিযার্তনের শিকার শিশু ভিকটিম সিহাব হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সহিত জড়িত আসামী মোঃ নাসির মিয়া(২৮)কে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার পাশবিক নিযার্তনের শিকার শিশুসিহাব হত্যার মূল খুনি নাসির মিয়া(২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই জানায়,গত ২৫ আগস্ট  দুপুরে ভিকটিম সিহাব হোসেনকে খোঁজা খুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে জানতে পেরে ভিকটিমের দাদীসহ পরিবারের লোকজন সিহাবকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরের দিন  ২৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টায় লোকমুখে ভিকটিমের দাদী নাছিমা বেগম শুনতে পায় যে, পূবাইল থানাধীন মাজুখান সাকিনস্থ উত্তরপাড়া এলাকায় জনৈক হাজী সালাম মুন্সির বসত বাড়ি বিল্ডিং এর সামনে একটি ছেলের লাশ পাওয়া গেছে।
সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের দাদী, তাঁর ছেলে, ছেলের স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীনির নাতী ভিকটিম সিহাব হোসেন(০৬) এর লাশ সনাক্ত করে এবং মৃতদেহ তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সংবাদের ভিত্তিতে পূবাইল থানা পুলিশ ভিকটিমের দাদী নাছিমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের দাদী নাছিমা বাদী হয়ে জিএমপি’র পুবাইল থানার মামলা নং-১৫ তারিখ- ২৬/০৯/২০২১খ্রিঃ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড আইনে মামলা দায়ের করেন। পুবাইল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে কোনো রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা পিবিআই গাজীপুর জেলাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম তদন্ত করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাকালে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামি নাসির মিয়া(২৮) মাজুখান উত্তরপাড়ায় ফারুকের মুরগীর দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করতেন। বেশির ভাগ সময় মালিক দোকানে থাকতেন না। নাসির নিজেই মুরগী ও ফিড বেচা কেনা করতেন। পাশের গলির জুয়েলের ছেলে ভিকটিম সিহাব মাঝে মধ্যে তাঁর কাছে দোকানে আসতো। ফিড খেয়ে ফেলার সময় মুরগী তাড়ানোর জন্য দোকানদার খেলনা পিস্তল ব্যবহার করতেন। খেলনা পিস্তলের ছোড়া গুলি ভিকটিম সিহাব কুড়িয়ে আনতো। নাসির মাঝে মধ্যে সিহাবকে চিপস্ কিনে দিতেন। ভিকটিম সিহাব নাসিরকে মুরগী চাচ্চু বলে ডাকতো। এভাবে ভিকটিম সিহাবের সাথে নাসিরের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আসামি নাসির একই মহল্লায় ইমনদের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
ঘটনার দিন নাসির বাসায় নিজ কক্ষে ল্যাপটপে ব্লু ফিল্ম দেখছিলেন। ওই দিন দুপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় ভিকটিম সিহাব নাসিরের রুমে যায়। তখন নাসিরের মাথায় বিকৃত চিন্তা আসে এবং সিহাবকে বলৎকার করতে চাইলে সে চিৎকার দেয়। আসামি নাসির মুখ চেপে ধরলে ভিকটিম শিশু সিহাবের দেহ নিথর নিস্তেজ হয়ে যায়। সিহাবের মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দরজা লাগিয়ে নাসির বাইরে চলে যায়।
ভোর রাতে ভিকটিম সিহাবের মৃতদেহ সালাম মুন্সীর বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। ঘটনার ৩ দিন পরে নাসির এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে যায়। ২দিন পরে চিটাগাং থেকে ফিরে আসে। অতঃপর ১ সপ্তাহ পরে আসামি নাসির ৪০ দিনের জন্য চিল্লায়(তাবলিগে) চলে যায়।
এ বিষয়ে পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান দি ক্রাইমকে বলেন, ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামি বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন। ল্যাপটপে নীল ছবি দেখে উত্তেজিত হয়ে ভিকটিম শিশু সিহাবকে বলৎকারের চেষ্টাকালে পাশবিক নিযার্তন পূর্বক হত্যা করে।
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি: গাজীপুরের মাজুখানে পাশবিক নিযার্তনের শিকার শিশু ভিকটিম সিহাব হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার সহিত জড়িত আসামী মোঃ নাসির মিয়া(২৮)কে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর পিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার পাশবিক নিযার্তনের শিকার শিশুসিহাব হত্যার মূল খুনি নাসির মিয়া(২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআই জানায়,গত ২৫ আগস্ট  দুপুরে ভিকটিম সিহাব হোসেনকে খোঁজা খুঁজি করে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে জানতে পেরে ভিকটিমের দাদীসহ পরিবারের লোকজন সিহাবকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পরের দিন  ২৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টায় লোকমুখে ভিকটিমের দাদী নাছিমা বেগম শুনতে পায় যে, পূবাইল থানাধীন মাজুখান সাকিনস্থ উত্তরপাড়া এলাকায় জনৈক হাজী সালাম মুন্সির বসত বাড়ি বিল্ডিং এর সামনে একটি ছেলের লাশ পাওয়া গেছে।
সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের দাদী, তাঁর ছেলে, ছেলের স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদীনির নাতী ভিকটিম সিহাব হোসেন(০৬) এর লাশ সনাক্ত করে এবং মৃতদেহ তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সংবাদের ভিত্তিতে পূবাইল থানা পুলিশ ভিকটিমের দাদী নাছিমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের দাদী নাছিমা বাদী হয়ে জিএমপি’র পুবাইল থানার মামলা নং-১৫ তারিখ- ২৬/০৯/২০২১খ্রিঃ ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড আইনে মামলা দায়ের করেন। পুবাইল থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে কোনো রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় মামলাটি তদন্তাধীন অবস্থায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা পিবিআই গাজীপুর জেলাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ রফিকুল ইসলাম তদন্ত করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাকালে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামি নাসির মিয়া(২৮) মাজুখান উত্তরপাড়ায় ফারুকের মুরগীর দোকানে কর্মচারি হিসেবে কাজ করতেন। বেশির ভাগ সময় মালিক দোকানে থাকতেন না। নাসির নিজেই মুরগী ও ফিড বেচা কেনা করতেন। পাশের গলির জুয়েলের ছেলে ভিকটিম সিহাব মাঝে মধ্যে তাঁর কাছে দোকানে আসতো। ফিড খেয়ে ফেলার সময় মুরগী তাড়ানোর জন্য দোকানদার খেলনা পিস্তল ব্যবহার করতেন। খেলনা পিস্তলের ছোড়া গুলি ভিকটিম সিহাব কুড়িয়ে আনতো। নাসির মাঝে মধ্যে সিহাবকে চিপস্ কিনে দিতেন। ভিকটিম সিহাব নাসিরকে মুরগী চাচ্চু বলে ডাকতো। এভাবে ভিকটিম সিহাবের সাথে নাসিরের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আসামি নাসির একই মহল্লায় ইমনদের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
ঘটনার দিন নাসির বাসায় নিজ কক্ষে ল্যাপটপে ব্লু ফিল্ম দেখছিলেন। ওই দিন দুপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সময় ভিকটিম সিহাব নাসিরের রুমে যায়। তখন নাসিরের মাথায় বিকৃত চিন্তা আসে এবং সিহাবকে বলৎকার করতে চাইলে সে চিৎকার দেয়। আসামি নাসির মুখ চেপে ধরলে ভিকটিম শিশু সিহাবের দেহ নিথর নিস্তেজ হয়ে যায়। সিহাবের মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দরজা লাগিয়ে নাসির বাইরে চলে যায়।
ভোর রাতে ভিকটিম সিহাবের মৃতদেহ সালাম মুন্সীর বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। ঘটনার ৩ দিন পরে নাসির এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম চলে যায়। ২দিন পরে চিটাগাং থেকে ফিরে আসে। অতঃপর ১ সপ্তাহ পরে আসামি নাসির ৪০ দিনের জন্য চিল্লায়(তাবলিগে) চলে যায়।
এ বিষয়ে পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান দি ক্রাইমকে বলেন, ঘটনায় জড়িত একমাত্র আসামি বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন। ল্যাপটপে নীল ছবি দেখে উত্তেজিত হয়ে ভিকটিম শিশু সিহাবকে বলৎকারের চেষ্টাকালে পাশবিক নিযার্তন পূর্বক হত্যা করে।