সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : প্রথমে পুলিশ পরিচয়ে আওয়ামী লীগের লোক রয়েছে বলে ঘরে ঢুকে মালিককে জিম্মি করার চেষ্টা করা হয়। ঘরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় আধা ঘণ্টার মত দরজার সামনে কয়েকজন তর্কাতর্কি ও গালিগালাজ করে সময় কাটায়। এ সুযোগে বাকিরা গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙ্গে একটি গর্ভবতী গাভী ও মা-বাছুরসহ ৩টি গরু গাড়িতে তুলে লুট করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়দুয়ারা গ্রামের মাহালিয়া রাস্তার মাথা এলাকার মো.নুরুন্নবী সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নুরুন্নবী সওদাগর এর ছেলে মো.ফারুক বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টায় কয়েকজন লোক দরজায় কড়া নাড়তে থাকেন। এরপর আমি ঘুম থেকে উঠে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলে-আমরা পুলিশ, আপনার বাড়িতে আওয়ামী লীগের লোক রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করব, দরজা খুলুন। দরজা খুলতে রাজি না হলে তারা দরজা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। আমি বললাম, আপনারা পুলিশ হলে এলাকার চৌকিদার নিয়ে আসেন, তারপর আমি দরজা খুলব। এর মধ্যে আমি এলাকার চৌকিদারকে ফোন দিই। আমি দরজা না খুললে তারা প্রায় আধা ঘণ্টা আমার সাথে তর্কাতর্কি করে, পরে গালিগালাজ করে রাগান্বিত হয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ তাদের আওয়াজ না পেয়ে দরজা খুলে ঘরের বাহির হয়ে দেখি আমার গোয়াল ঘরের গরুগুলো লুট করে নিয়ে গেছে। পরে বুঝতে পারলাম পুলিশ পরিচয়ে গরুগুলো ডাকাত দল লুট করে নিয়ে গেছে।

মো.ফারুক বলেন, লুট হওয়া গরু ৩ টির মধ্যে একটি মা ও একটি বাছুর এবং আরেকটি গাভী সপ্তাহ-দশ দিনের মধ্যে বাচ্চা দিবে। আমি সিজানাল ফলের ব্যবসা করি। এখন বেকার। এক ভাই বাড়িতে থাকে, আরেক ভাই দশম শ্রেণিতে পড়ে। মূলত আমার বাবা গরুগুলো দেখা-শুনা করে। মূলত আমরা তিন ভাই ও মা-বাবার সংসারে বর্তমানে অনেকটা গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চলে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গাড়িতে করে গরুগুলো নিয়ে যায়। যার ফলে আমরা খুবই কষ্টে পড়ে গেলাম। এ ঘটনার পরপরই আশেপাশের লোকজন ও পুলিশের একটি টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আমাদেরকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে চলে যান।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ অথবা মামলা দিতে বলেছি। আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : প্রথমে পুলিশ পরিচয়ে আওয়ামী লীগের লোক রয়েছে বলে ঘরে ঢুকে মালিককে জিম্মি করার চেষ্টা করা হয়। ঘরে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় আধা ঘণ্টার মত দরজার সামনে কয়েকজন তর্কাতর্কি ও গালিগালাজ করে সময় কাটায়। এ সুযোগে বাকিরা গোয়াল ঘরের দরজা ভেঙ্গে একটি গর্ভবতী গাভী ও মা-বাছুরসহ ৩টি গরু গাড়িতে তুলে লুট করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়দুয়ারা গ্রামের মাহালিয়া রাস্তার মাথা এলাকার মো.নুরুন্নবী সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নুরুন্নবী সওদাগর এর ছেলে মো.ফারুক বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টায় কয়েকজন লোক দরজায় কড়া নাড়তে থাকেন। এরপর আমি ঘুম থেকে উঠে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কি হয়েছে জানতে চাইলে তারা বলে-আমরা পুলিশ, আপনার বাড়িতে আওয়ামী লীগের লোক রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করব, দরজা খুলুন। দরজা খুলতে রাজি না হলে তারা দরজা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন। আমি বললাম, আপনারা পুলিশ হলে এলাকার চৌকিদার নিয়ে আসেন, তারপর আমি দরজা খুলব। এর মধ্যে আমি এলাকার চৌকিদারকে ফোন দিই। আমি দরজা না খুললে তারা প্রায় আধা ঘণ্টা আমার সাথে তর্কাতর্কি করে, পরে গালিগালাজ করে রাগান্বিত হয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ তাদের আওয়াজ না পেয়ে দরজা খুলে ঘরের বাহির হয়ে দেখি আমার গোয়াল ঘরের গরুগুলো লুট করে নিয়ে গেছে। পরে বুঝতে পারলাম পুলিশ পরিচয়ে গরুগুলো ডাকাত দল লুট করে নিয়ে গেছে।

মো.ফারুক বলেন, লুট হওয়া গরু ৩ টির মধ্যে একটি মা ও একটি বাছুর এবং আরেকটি গাভী সপ্তাহ-দশ দিনের মধ্যে বাচ্চা দিবে। আমি সিজানাল ফলের ব্যবসা করি। এখন বেকার। এক ভাই বাড়িতে থাকে, আরেক ভাই দশম শ্রেণিতে পড়ে। মূলত আমার বাবা গরুগুলো দেখা-শুনা করে। মূলত আমরা তিন ভাই ও মা-বাবার সংসারে বর্তমানে অনেকটা গরুর দুধ বিক্রি করে সংসার চলে। সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গাড়িতে করে গরুগুলো নিয়ে যায়। যার ফলে আমরা খুবই কষ্টে পড়ে গেলাম। এ ঘটনার পরপরই আশেপাশের লোকজন ও পুলিশের একটি টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আমাদেরকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে চলে যান।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, ভুক্তভোগীদের থানায় অভিযোগ অথবা মামলা দিতে বলেছি। আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।