নগর প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম আদালত ভবনে দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার আহমদ কবিরকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। গত সোমবার (২৯ এপ্রিল)বিকেল পৌনে ২টার দিকে আদালত ভবনের পাশের বিল্ডিং জেলা প্রশাসকের এলএ শাখায় এঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার বিষয়টি এলএ শাখার দু’সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম আলমগীর ও মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীকে জানানো হয়েছে। গত মার্চ মাসে অনুরূপ আরও দু’বার হামলা ও হত্যা চেষ্টা চালানো হয় তাকে। এই সন্ত্রাসীরা ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর মাসে কর্ণফুলী থানার বন্দর কমিউনিটি সেন্টার বৈরাগ ইউপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে চরমভাবে নাজেহাল ও মারধর করা হয় তাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, একটি মিথ্যা অভিযোগ ও নোটিশের প্রেক্ষিতে গত মাসের ২৯ এপ্রিল বিকেল পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পাশের বিল্ডিং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের এলএ শাখায় নির্ধারিত একটি শুনানীতে অংশ নিতে যান তিনি। তাকে দেখা মাত্র সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্রের সদস্য তেইন্যা,নবী হোসেন, মফিজ, চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যার আসামী শফি পুত্র শাওন, আনোয়ার খাতুন ও শিরিন আকতার ওরফে নাজমা অকথ্য ও বিশ্রি ভাষায় গালাগাল এবং হত্যা চেষ্টার হুমকি দিয়ে তাকে মারধর করার জন্য তেড়ে আসে।
এসময় তাকে চরম নাজেহালও করা হয়। পরে তিনি কোন রকমে প্রাণে রক্ষা পান এবং সেখান থেকে চলে আসতে সক্ষম হন বলে জানান। এঘটনাটি এলএ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম আলমগীর, মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ও সার্ভেয়ার নাজমুলকে অবহিত করা হয়।
ঘটনার বিষয়টি তিনি কোতোয়ালী থানার পুলিশকেও জানিয়েছেন। সকাল ১১টার দিকে এলএ- ১৭/২০১৭/১৮ মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিল পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে দেখা করে বিকেলে আইনজীবী নিয়ে শুনানীতে অংশ নেয়ার বিষয়টি অবহিত করেন সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাকে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের এদেশীয় এজেন্টের সদস্য নুরুল ইসলাম ওরফে টাউট তেইন্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশে সাংবাদিক আহমদ কবির তিন ভাতিজা ইঞ্জিনিয়ার হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুক, কফিল উদ্দীন আহমদ সামজাত হোসেনকে হয়রানী বারবার নাজেহাল ও হত্যা চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগে জানান। বর্তমানে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানা গেছে। প্রতারক নুরুল ইসলাম ওরফে টাউট তেইন্যাসহ পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে দলিল ও বিচারকের ডিক্রি জালিয়াতি এলএ শাখা হতে টাকা আত্মসাতসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী শফি, নবী হোসেন ও সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধেও আছে চট্টগ্রাম এলএ শাখা হতে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ।




