দি ক্রাইম ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্বখ্যাত প্রেস অধিকার সংগঠন ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (CPJ)। চিঠিতে তারা কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, প্রমাণহীন হত্যা মামলায় চার সাংবাদিককে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাদের ওপর অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।

চিঠির শুরুতেই CPJ জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশে ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, মোজ্জাম্মেল বাবু এবং শ্যামল দত্ত,এই চার সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন, অথচ এ সব অভিযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। তারা মনে করে, এসব মামলা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ ও রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে দায়ের করা হয়েছে।

চিঠিতে কারাগারের ভেতরের ভয়াবহ পরিস্থিতির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের মোট ৩৬ বর্গফুটের ক্ষুদ্র কক্ষে রাখা হচ্ছে, যার দরজায় লোহার বার রয়েছে; ফলে শীত ও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা কংক্রিট এর মেঝেতে বিছানা ছাড়া ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছেন। কারাগারের খাবার অপর্যাপ্ত ও অনেক সময় অখাদ্য হওয়ায় পরিবার থেকেই খাবার সরবরাহ করতে হচ্ছে। সেখানে স্থায়ী চিকিৎসক নেই, নিয়মিত পরীক্ষা হয় না এবং পরিবারের দেওয়া ওষুধ ছাড়া চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত বন্দীরা মাসের পর মাস চিকিৎসা পাচ্ছেন না।

চিঠিতে CPJ ২০২৪ সালের নভেম্বরে দৈনিক স্টার-এ প্রকাশিত ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেখানে ইউনূস স্বীকার করেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তাড়াহুড়া করে দায়ের করা হয়েছে এবং তিনি এমন প্রক্রিয়া বন্ধে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু CPJ বলছে, ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পরও সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখা যায়নি; বরং চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই নতুন করে মামলা হয়েছে এবং তাদের জামিন নিয়মিতভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এমনকি তাদের আইনজীবী জেড. আই. খান পান্নার বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা দায়ের হওয়ায় CPJ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

চিঠিতে CPJ স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির (ICCPR) সদস্য। ফলে সরকারের দায়িত্ব সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করা।

CPJ বলেছে, প্রকৃত সংস্কার চাইলে অতীতের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চর্চা বন্ধ করতেই হবে। সাংবাদিকদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন আচরণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে এবং নির্বাচনের আগে পরিবেশ আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।

চিঠিতে CPJ আহ্বান জানায়,মানবাধিকার দিবসকে উপলক্ষ করে অন্তর্বর্তী সরকার যেন দ্রুত এমন ব্যবস্থা নেয় যাতে আটক সাংবাদিকরা পরিবারে ফিরতে পারেন এবং পেশাগত কাজে ফিরতে পারেন। বিশ্বজুড়ে ১০০টির বেশি দেশের ১,৫০০–এরও বেশি সাংবাদিক CPJ-এর এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠির শেষে CPJ-এর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেহ লিহ ই’ লিখেছেন, এই বিষয়ে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত মনোযোগ বাংলাদেশের “মানবিক শাসন, ন্যায়বিচার এবং উন্মুক্ত জনপরিসরের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করবে।”

দি ক্রাইম ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্বখ্যাত প্রেস অধিকার সংগঠন ‘কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস’ (CPJ)। চিঠিতে তারা কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, প্রমাণহীন হত্যা মামলায় চার সাংবাদিককে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে এবং তাদের ওপর অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।

চিঠির শুরুতেই CPJ জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশে ফারজানা রুপা, শাকিল আহমেদ, মোজ্জাম্মেল বাবু এবং শ্যামল দত্ত,এই চার সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন, অথচ এ সব অভিযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই। তারা মনে করে, এসব মামলা সাংবাদিকদের পেশাগত কাজ ও রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে দায়ের করা হয়েছে।

চিঠিতে কারাগারের ভেতরের ভয়াবহ পরিস্থিতির বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সাংবাদিকদের মোট ৩৬ বর্গফুটের ক্ষুদ্র কক্ষে রাখা হচ্ছে, যার দরজায় লোহার বার রয়েছে; ফলে শীত ও মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা কংক্রিট এর মেঝেতে বিছানা ছাড়া ঘুমাতে বাধ্য হচ্ছেন। কারাগারের খাবার অপর্যাপ্ত ও অনেক সময় অখাদ্য হওয়ায় পরিবার থেকেই খাবার সরবরাহ করতে হচ্ছে। সেখানে স্থায়ী চিকিৎসক নেই, নিয়মিত পরীক্ষা হয় না এবং পরিবারের দেওয়া ওষুধ ছাড়া চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত বন্দীরা মাসের পর মাস চিকিৎসা পাচ্ছেন না।

চিঠিতে CPJ ২০২৪ সালের নভেম্বরে দৈনিক স্টার-এ প্রকাশিত ইউনূসের একটি সাক্ষাৎকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেখানে ইউনূস স্বীকার করেছিলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তাড়াহুড়া করে দায়ের করা হয়েছে এবং তিনি এমন প্রক্রিয়া বন্ধে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু CPJ বলছে, ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পরও সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন দেখা যায়নি; বরং চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই নতুন করে মামলা হয়েছে এবং তাদের জামিন নিয়মিতভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এমনকি তাদের আইনজীবী জেড. আই. খান পান্নার বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা দায়ের হওয়ায় CPJ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

চিঠিতে CPJ স্মরণ করিয়ে দেয় যে, বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার চুক্তির (ICCPR) সদস্য। ফলে সরকারের দায়িত্ব সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করা।

CPJ বলেছে, প্রকৃত সংস্কার চাইলে অতীতের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চর্চা বন্ধ করতেই হবে। সাংবাদিকদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন আচরণ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে এবং নির্বাচনের আগে পরিবেশ আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।

চিঠিতে CPJ আহ্বান জানায়,মানবাধিকার দিবসকে উপলক্ষ করে অন্তর্বর্তী সরকার যেন দ্রুত এমন ব্যবস্থা নেয় যাতে আটক সাংবাদিকরা পরিবারে ফিরতে পারেন এবং পেশাগত কাজে ফিরতে পারেন। বিশ্বজুড়ে ১০০টির বেশি দেশের ১,৫০০–এরও বেশি সাংবাদিক CPJ-এর এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠির শেষে CPJ-এর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বেহ লিহ ই’ লিখেছেন, এই বিষয়ে ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত মনোযোগ বাংলাদেশের “মানবিক শাসন, ন্যায়বিচার এবং উন্মুক্ত জনপরিসরের প্রতি অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করবে।”