নগর প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী বাংলাদেশ গঠনে ইসলাম ও দেশপ্রেমিক শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(১১ ডিসেম্বর) নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যকরী পরিষদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

জামালখানস্থ ফেডারেশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নগর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী শামসুজ্জামান হেলালী।

সভায় মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “ইসলাম ও দেশপ্রেমিক শক্তির উত্থানে একশ্রেণির মানুষ শঙ্কিত। তারা আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে মিলে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।” তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বড়হাতিয়ায় ছাত্রশিবির নেতা’র পিতাকে গুলি করে হত্যা ও ঢাকায় ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শিক্ষার্থী খুনের ঘটনাকে ‘নির্মম’ উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “নির্বাচনের পূর্বে এসব সন্ত্রাসী ঘটনা জনগণের মাঝে ভয় সঞ্চার করছে। খুন-রাহাজানি বন্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালাতে হবে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।”

রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে দেওয়া হবে না। বিপ্লবীদের রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের মনোভাব বুঝতে পেরে কিছু মহল ভুয়া জরিপ প্রকাশ করছে।” তিনি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এস এম লুৎফর রহমান বলেন, “জুলাই বিপ্লবে শ্রমিকরা নিঃস্বার্থভাবে অংশ নিলেও তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী সময়েও শ্রমিকদের মজুরি, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি—যা শ্রমিক সমাজকে হতাশ করেছে।” তিনি বাস্তবতার আলোকে শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণে দ্রুত মজুরি কমিশন গঠনের দাবি জানান এবং শ্রমিকদের সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় ২০২৬ সেশনের বার্ষিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়। কার্যকরী পরিষদে ৬ সদস্যকে চলতি সেশনে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

তারা হলেন- মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আবু নাঈম সুজন, মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, মুহাম্মদ ফুরকান আযাদ ও আবদুল কাদের।

উপস্থিত ছিলেন- নগর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নজির হোসেন, মকবুল আহমদ ভুঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম আদনান, কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক স ম শামীম, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষা প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার পাঠাগার সম্পাদক ইঞ্জি: সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আইন-আদালত সম্পাদক সাব্বির আহমদ উসমানিসহ কার্যকরি সদস্যরা।

নগর প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী বাংলাদেশ গঠনে ইসলাম ও দেশপ্রেমিক শক্তির উত্থানের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(১১ ডিসেম্বর) নগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কার্যকরী পরিষদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

জামালখানস্থ ফেডারেশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নগর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী শামসুজ্জামান হেলালী।

সভায় মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “ইসলাম ও দেশপ্রেমিক শক্তির উত্থানে একশ্রেণির মানুষ শঙ্কিত। তারা আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে মিলে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের মানুষকে এসব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।” তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের বড়হাতিয়ায় ছাত্রশিবির নেতা’র পিতাকে গুলি করে হত্যা ও ঢাকায় ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে শিক্ষার্থী খুনের ঘটনাকে ‘নির্মম’ উল্লেখ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “নির্বাচনের পূর্বে এসব সন্ত্রাসী ঘটনা জনগণের মাঝে ভয় সঞ্চার করছে। খুন-রাহাজানি বন্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালাতে হবে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।”

রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “নতুন বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে দেওয়া হবে না। বিপ্লবীদের রক্ত দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। জনগণের মনোভাব বুঝতে পেরে কিছু মহল ভুয়া জরিপ প্রকাশ করছে।” তিনি জুলাই সনদ বাস্তবায়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এস এম লুৎফর রহমান বলেন, “জুলাই বিপ্লবে শ্রমিকরা নিঃস্বার্থভাবে অংশ নিলেও তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ফ্যাসিবাদ-পরবর্তী সময়েও শ্রমিকদের মজুরি, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি—যা শ্রমিক সমাজকে হতাশ করেছে।” তিনি বাস্তবতার আলোকে শ্রমিকদের নতুন মজুরি নির্ধারণে দ্রুত মজুরি কমিশন গঠনের দাবি জানান এবং শ্রমিকদের সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

সভায় ২০২৬ সেশনের বার্ষিক পরিকল্পনা গৃহীত হয়। কার্যকরী পরিষদে ৬ সদস্যকে চলতি সেশনে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

তারা হলেন- মুহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আবু নাঈম সুজন, মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, মুহাম্মদ ফুরকান আযাদ ও আবদুল কাদের।

উপস্থিত ছিলেন- নগর ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নজির হোসেন, মকবুল আহমদ ভুঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম আদনান, কোষাধক্ষ্য মোহাম্মদ নুরুন্নবী, দপ্তর সম্পাদক স ম শামীম, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ও শিক্ষা প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার পাঠাগার সম্পাদক ইঞ্জি: সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আইন-আদালত সম্পাদক সাব্বির আহমদ উসমানিসহ কার্যকরি সদস্যরা।