প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৫ উপলক্ষে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) চট্টগ্রাম শাখার আয়োজনে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট এর লেকচার হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রধান আলোচ্য হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুনীল সরকার।

বক্তাগণ বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী, ইভটিজিং, বুলিং, সাইবার অপরাধ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনানুযায়ী কমপ্লেইন কমিটি গঠন করা জরুরী। নাহলে কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য, হয়রানী ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় ।

প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমদ হোসেন অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যের পর অতিথিগণ আসন গ্রহণ করেন।

আমন্ত্রিত শিল্পীর বাঁশির সুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়, যা উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে সৃষ্টি করে আবেগঘন পরিবেশ। এরপর মানবাধিকার কর্মীদের সম্মিলিত কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান “ধনধান্যে পুষ্পে ভরা” পরিবেশিত হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্য চিত্র পরিবেশন করা হয় ।

এ এম জিয়া হাবীব আহ্সান বলেন “মানবাধিকার রক্ষা কোনো একক প্রতিষ্ঠান বা সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি আমাদের সকলের নৈতিক, সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব। মাঠপর্যায়ে মানবাধিকার সুরক্ষায় সবাইকে আরও সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।” এরপর ”শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা” শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করা হয়, যেখানে বক্তারা হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে বিদ্যমান সংকট, সচেতনতার অভাব, প্রশাসনিক জটিলতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ।

অনুষ্ঠানে মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, এডভোকেট, সাংবাদিক, ছাত্র-ছাত্রী, গবেষকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত অনেক বক্তা দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিএইচআরএফ-এর ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধি, সচেতনতামূলক কর্মশালা, স্কুল–কলেজে মানবাধিকার শিক্ষা প্রচার, নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ কার্যক্রম, সাইবার মানবাধিকার সুরক্ষায় দায়িত্বশীল কর্মসূচি ।

মহাসচিব এ এম জিয়া হাবীব আহ্সান আরও বলেন “মহামান্য হাইকোর্ট প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমপ্লেইন কমিটি গঠন এবং অভিযোগ বক্স স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এসব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না । ফলে নারী শিক্ষার্থী, নারী কর্মী ও প্রতিভাবান নারী অ্যাথলেটরা যৌন হয়রানির শিকার হয়ে জাতীয় জীবন থেকে একের পর এক বিদায় নিচ্ছেন। বিষয়টি বন্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।”

অনুষ্ঠানের শাখা প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, সভাপতি, পাহাড়তলি শাখা, অ্যাডভোকেট কানিজ কাউসার চৌধুরী সভাপতি আকবর শাহ থানা, আসলাম মোর্শেদ সেক্রেটারি, হাটহাজারী উপজেলা শাখা, কানিজ ফাতেমা লিমা খুলশী শাখা, জিয়াউদ্দিন খালেদ চৌধুরী, এডভোকেট পরেশ চন্দ্র দাস, সভাপতি সন্দীপ উপজেলা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিজয় রুদ্র, অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, এডভোকেট বিশ্বজিৎ দাস, এডভোকেট আশীর্বাদ বিশ্বাস মানবতা, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক গান পরিবেশনা করেন । অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন – নজরুল হোসাইন, কানিজ ফাতেমা লিমা ও ডেইজী মাহবুব । অনুষ্ঠান শেষে যাদু দেখান প্রখ্যাত যাদু শিল্পী রাজীব বসাক।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন বি এইচ আর এফ ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন এবং চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কাগজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী আবদুল আলীম আবদুল্লাহ, এডভোকেট আবুল খায়ের,এডভোকেট জান্নাতুল নাঈম রুমানা, এডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট রোমানা ইয়াসমিন সোমা, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, হাসান আল বান্না, এডভোকেট কে এম শান্তনু চৌধুরী, এডভোকেট বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা ঊশিকা, এডভোকেট জিয়াউদ্দীন আরমান, রিদওয়ানুল করিম নাভিল প্রমুখ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৫ উপলক্ষে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) চট্টগ্রাম শাখার আয়োজনে আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট এর লেকচার হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রধান আলোচ্য হিসেবে উপস্থাপিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট সুনীল সরকার।

বক্তাগণ বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানী, ইভটিজিং, বুলিং, সাইবার অপরাধ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনানুযায়ী কমপ্লেইন কমিটি গঠন করা জরুরী। নাহলে কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য, হয়রানী ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় ।

প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমদ হোসেন অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যের পর অতিথিগণ আসন গ্রহণ করেন।

আমন্ত্রিত শিল্পীর বাঁশির সুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়, যা উপস্থিত শ্রোতাদের মধ্যে সৃষ্টি করে আবেগঘন পরিবেশ। এরপর মানবাধিকার কর্মীদের সম্মিলিত কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান “ধনধান্যে পুষ্পে ভরা” পরিবেশিত হয় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রামাণ্য চিত্র পরিবেশন করা হয় ।

এ এম জিয়া হাবীব আহ্সান বলেন “মানবাধিকার রক্ষা কোনো একক প্রতিষ্ঠান বা সরকারের দায়িত্ব নয়; এটি আমাদের সকলের নৈতিক, সামাজিক ও আইনগত দায়িত্ব। মাঠপর্যায়ে মানবাধিকার সুরক্ষায় সবাইকে আরও সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।” এরপর ”শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা” শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করা হয়, যেখানে বক্তারা হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে বিদ্যমান সংকট, সচেতনতার অভাব, প্রশাসনিক জটিলতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ।

অনুষ্ঠানে মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক, এডভোকেট, সাংবাদিক, ছাত্র-ছাত্রী, গবেষকসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত অনেক বক্তা দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিএইচআরএফ-এর ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধি, সচেতনতামূলক কর্মশালা, স্কুল–কলেজে মানবাধিকার শিক্ষা প্রচার, নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় বিশেষ কার্যক্রম, সাইবার মানবাধিকার সুরক্ষায় দায়িত্বশীল কর্মসূচি ।

মহাসচিব এ এম জিয়া হাবীব আহ্সান আরও বলেন “মহামান্য হাইকোর্ট প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমপ্লেইন কমিটি গঠন এবং অভিযোগ বক্স স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এসব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না । ফলে নারী শিক্ষার্থী, নারী কর্মী ও প্রতিভাবান নারী অ্যাথলেটরা যৌন হয়রানির শিকার হয়ে জাতীয় জীবন থেকে একের পর এক বিদায় নিচ্ছেন। বিষয়টি বন্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।”

অনুষ্ঠানের শাখা প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, সভাপতি, পাহাড়তলি শাখা, অ্যাডভোকেট কানিজ কাউসার চৌধুরী সভাপতি আকবর শাহ থানা, আসলাম মোর্শেদ সেক্রেটারি, হাটহাজারী উপজেলা শাখা, কানিজ ফাতেমা লিমা খুলশী শাখা, জিয়াউদ্দিন খালেদ চৌধুরী, এডভোকেট পরেশ চন্দ্র দাস, সভাপতি সন্দীপ উপজেলা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিজয় রুদ্র, অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম, এডভোকেট বিশ্বজিৎ দাস, এডভোকেট আশীর্বাদ বিশ্বাস মানবতা, ন্যায়বিচার ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক গান পরিবেশনা করেন । অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন – নজরুল হোসাইন, কানিজ ফাতেমা লিমা ও ডেইজী মাহবুব । অনুষ্ঠান শেষে যাদু দেখান প্রখ্যাত যাদু শিল্পী রাজীব বসাক।

অনুষ্ঠান সঞ্চলনার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন বি এইচ আর এফ ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন এবং চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কাগজ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী আবদুল আলীম আবদুল্লাহ, এডভোকেট আবুল খায়ের,এডভোকেট জান্নাতুল নাঈম রুমানা, এডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ, এডভোকেট রোমানা ইয়াসমিন সোমা, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, হাসান আল বান্না, এডভোকেট কে এম শান্তনু চৌধুরী, এডভোকেট বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা ঊশিকা, এডভোকেট জিয়াউদ্দীন আরমান, রিদওয়ানুল করিম নাভিল প্রমুখ।