ক্রাইম প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব খালেদ মাহম্মুদকে বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের অধীন রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোতে গত ১২ ফেব্রুয়ারীতে বদলী করা হয়। তিনি গত বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারি তার বদলীকৃত স্থানে যোগদান করেন। একইসাথে মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেমকে গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপপ্রধান হিসাবে পরিকল্পনা কমিশনে বদলীর আদেশ দেয়া হলেও তাকে এখনো রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ রিলিজ করেনি।
সুত্রে জানা গেছে, আবুল হাশেম দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ চসিকে কর্মরত থেকে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্ণীতি ও উচ্ছেদ বাণিজ্য এবং দোকান বরাদ্ধ, টেন্ডার বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। এর ফলে তার বিভিন্ন অপকর্ম লাঘামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
Madhur Handi City Corporation, Desperate Hashem, to prevent transfer
ইংরেজি ভার্সনে পড়ুন: https://thecrimebd.net/english/news/13316/
সিটি কর্পোরেশনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কথেক কর্মকর্তা দি ক্রাইমকে জানান, তার বদলী ঠেকানোর জন্য কর্পোরেশনের জনৈক উর্দ্ধত্বন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ইতোমধ্যে মেয়র রেজাউল করিম চৌধূরীর নিকট থেকে কৌশলে আধা সরকারী পত্র (ডিও লেটার) নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে দাখিল করেন।
সুত্রে আরো জানা গেছে, সরকারী বিধি অনুযায়ী একই প্রতিষ্ঠানে পর পর তিন বছর থাকার নিয়ম থাকলেও তার বেলায় আইন ভিন্ন। এ পর্যন্ত তার একাধীকবার বদলী হলেও তিনি অবৈধ অর্থের বিনিময়ে বদলী ঠেকিয়ে দেন। সিটি কর্পোরেশনে বহাল থাকার জন্য তিনি রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার নিকট অবৈধ টাকার বস্তা নিয়ে ধর্না দিচ্ছে।
সুত্রটি আরো জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি জনগুরত্বপুর্ন প্রতিষ্ঠান হলেও এই প্রতিষ্ঠানের দু’টি জনগুরত্বপূর্ন পদে এখনো পদায়ন হয়নি কোন কর্মকর্তা ! একই সাথে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেমকে সিটিকর্পোরেশনে সচিব পদে পদায়নের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের কথেক কর্মকর্তা উঠেপড়ে লেগেছে এবং এই কারণে তাকে অবমুক্তা করছেনা।
ধারাবাহিক পর্ব-১




