দি ক্রাইম ডেস্ক: বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলার মাঝামাঝি অবস্থিত ডিম পাহাড় বর্তমানে দেশের অন্যতম রোমাঞ্চকর ও আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে এই পাহাড়ি এলাকার সৌন্দর্য ও রোমাঞ্চ ভ্রমণপিপাসুদের নতুন করে মুগ্ধ করছে। পাহাড়, মেঘ, আঁকাবাঁকা উঁচু সড়ক আর নীল আকাশ—সব মিলিয়ে ডিম পাহাড় যেন প্রকৃতি ও দুঃসাহসপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬শত ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ডিম পাহাড় এলাকায় নির্মিত হয়েছে উঁচু সড়কপথ। পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা এই সড়ক শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, বরং এটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণ। শীতকালে আকাশ পরিষ্কার থাকায় দূরে দূরে পাহাড়ের সারি, গভীর খাদ ও সবুজ বনভূমি স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, যা পর্যটকদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

বর্ষা মৌসুমে ডিম পাহাড়ের রূপ আরও ভিন্ন মাত্রা পেয়েও শীতকালে এখানে আসে স্বচ্ছতা ও প্রশান্তি। ভোর কিংবা বিকেলের সময় হালকা কুয়াশা পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়ায়। অনেক সময় মনে হয়, পাহাড় আকাশকে ছুঁয়ে আছে। চারপাশ ঢেকে যায় ঘন সাদা মেঘে, কখনও রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যায় মেঘের স্তর।

পর্যটকরা জানান, ডিম পাহাড়ে দাঁড়িয়ে চারপাশে তাকালেই মনের ভেতর এক ধরনের মুক্তির অনুভূতি কাজ করে, যা শহুরে জীবনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। এখানেই যেন আকাশ ছুঁয়ে ফেলার মতো কাছাকাছি চলে এসেছে।

এই সড়কটি বিশেষভাবে বাইকপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রোমাঞ্চকর রাইডের অভিজ্ঞতা নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাইক চালকরা এখানে আসেন। খাড়া ঢাল, সরু রাস্তা, তীব্র বাঁক এবং পাশে গভীর পাহাড়ি খাদ—সব মিলিয়ে ডিম পাহাড়ের সড়কটি দেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ও রোমাঞ্চকর বাইকিং রুট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

প্রকৃতি ও অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাইকপ্রেমীরা এখানে ছুটে আসছেন। তবে রোমাঞ্চের পাশাপাশি ঝুঁকিও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বর্ষা বা কুয়াশাচ্ছন্ন সময়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে পড়ে এবং দৃশ্যমানতা কমে যায়। শীতকালে ভোরে কুয়াশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, “ক্রাউ মক্যাহ্ ডং” অর্থাৎ ডিম পাহাড়। এখানে দুর্ঘটনা এড়াতে ধীর গতিতে চলাচল, হেলমেট ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করা জরুরি। অভিজ্ঞ চালক ছাড়া এই পথে যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। চলতি বছরের এই রোমাঞ্চকর সড়কে অতিরিক্ত গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড় খাদে পড়ে বেশ কয়েকজন বাইকারের মৃত্যু হয়েছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ এবং মেঘে ঢাকা পাহাড়—সব মিলিয়ে ডিম পাহাড় এখন আলীকদম ও থানচির পর্যটন সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সঠিক পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে, ডিম পাহাড় দেশের অনন্য পর্যটন গন্তব্য হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, পর্যটন খ্যাত ডিম পাহাড় অত্যন্ত রোমাঞ্চকর, তবে উঁচুনিচু সড়কের কারণে ঝুঁকিও রয়েছে। তুমা-তুঙ্গী ও তিন্দু মুখ পর্যন্ত ভ্রমণ অনুমোদিত। তবে অন্যান্য পর্যটন স্পটের ভ্রমণে এখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।

দি ক্রাইম ডেস্ক: বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলার মাঝামাঝি অবস্থিত ডিম পাহাড় বর্তমানে দেশের অন্যতম রোমাঞ্চকর ও আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে এই পাহাড়ি এলাকার সৌন্দর্য ও রোমাঞ্চ ভ্রমণপিপাসুদের নতুন করে মুগ্ধ করছে। পাহাড়, মেঘ, আঁকাবাঁকা উঁচু সড়ক আর নীল আকাশ—সব মিলিয়ে ডিম পাহাড় যেন প্রকৃতি ও দুঃসাহসপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬শত ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ডিম পাহাড় এলাকায় নির্মিত হয়েছে উঁচু সড়কপথ। পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা এই সড়ক শুধু যোগাযোগের মাধ্যমই নয়, বরং এটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণ। শীতকালে আকাশ পরিষ্কার থাকায় দূরে দূরে পাহাড়ের সারি, গভীর খাদ ও সবুজ বনভূমি স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে, যা পর্যটকদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

বর্ষা মৌসুমে ডিম পাহাড়ের রূপ আরও ভিন্ন মাত্রা পেয়েও শীতকালে এখানে আসে স্বচ্ছতা ও প্রশান্তি। ভোর কিংবা বিকেলের সময় হালকা কুয়াশা পাহাড়ের চূড়ায় ভেসে বেড়ায়। অনেক সময় মনে হয়, পাহাড় আকাশকে ছুঁয়ে আছে। চারপাশ ঢেকে যায় ঘন সাদা মেঘে, কখনও রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যায় মেঘের স্তর।

পর্যটকরা জানান, ডিম পাহাড়ে দাঁড়িয়ে চারপাশে তাকালেই মনের ভেতর এক ধরনের মুক্তির অনুভূতি কাজ করে, যা শহুরে জীবনের ক্লান্তি ভুলিয়ে দেয়। এখানেই যেন আকাশ ছুঁয়ে ফেলার মতো কাছাকাছি চলে এসেছে।

এই সড়কটি বিশেষভাবে বাইকপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রোমাঞ্চকর রাইডের অভিজ্ঞতা নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাইক চালকরা এখানে আসেন। খাড়া ঢাল, সরু রাস্তা, তীব্র বাঁক এবং পাশে গভীর পাহাড়ি খাদ—সব মিলিয়ে ডিম পাহাড়ের সড়কটি দেশের অন্যতম চ্যালেঞ্জিং ও রোমাঞ্চকর বাইকিং রুট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

প্রকৃতি ও অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাইকপ্রেমীরা এখানে ছুটে আসছেন। তবে রোমাঞ্চের পাশাপাশি ঝুঁকিও এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বর্ষা বা কুয়াশাচ্ছন্ন সময়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে পড়ে এবং দৃশ্যমানতা কমে যায়। শীতকালে ভোরে কুয়াশা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

স্থানীয়রা জানান, “ক্রাউ মক্যাহ্ ডং” অর্থাৎ ডিম পাহাড়। এখানে দুর্ঘটনা এড়াতে ধীর গতিতে চলাচল, হেলমেট ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করা জরুরি। অভিজ্ঞ চালক ছাড়া এই পথে যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। চলতি বছরের এই রোমাঞ্চকর সড়কে অতিরিক্ত গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড় খাদে পড়ে বেশ কয়েকজন বাইকারের মৃত্যু হয়েছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ এবং মেঘে ঢাকা পাহাড়—সব মিলিয়ে ডিম পাহাড় এখন আলীকদম ও থানচির পর্যটন সম্ভাবনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সঠিক পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গেলে, ডিম পাহাড় দেশের অনন্য পর্যটন গন্তব্য হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল ফয়সাল জানান, পর্যটন খ্যাত ডিম পাহাড় অত্যন্ত রোমাঞ্চকর, তবে উঁচুনিচু সড়কের কারণে ঝুঁকিও রয়েছে। তুমা-তুঙ্গী ও তিন্দু মুখ পর্যন্ত ভ্রমণ অনুমোদিত। তবে অন্যান্য পর্যটন স্পটের ভ্রমণে এখনো নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।