দি ক্রাইম ডেস্ক: পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী নিশি রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনা আমলি আদালত-২ এর বিচারক তরিকুল ইসলাম তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই বছরের বাচ্চাসহ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশফেকা জাহান কণিকা এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিশি রহমানের পরবর্তী হাজিরা তারিখ আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি।
এ ব্যাপারে নিশির স্বামী ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়ন বলেন, ‘আমার ছোট ছেলের বয়স দুই বছর। মায়ের সঙ্গে ওকেও কারাগারে থাকতে হয়েছে। আমরা আগেই জামিন আবেদন করেছিলাম। কিন্তু শুনানি হয়নি। আজ শুনানি শেষে জামিন হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের একটি কোণায় থাকতো টম নামের একটি কুকুর। এক সপ্তাহ আগে টম আটটি বাচ্চা প্রসব করে। গত সোমবার সকাল থেকে তার ছানাগুলো না পেয়ে পাগলপ্রায় অবস্থায় তাকে কান্না আর ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। পরে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা জানতে পারেন, ঈশ্বরদী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা হাসানুর রহমান নয়নের স্ত্রী জীবন্ত আটটি কুকুর ছানাকে বস্তার মধ্যে বেঁধে রোববার রাতের কোনো এক সময় উপজেলা পরিষদের পুকুরে ফেলে দেন। পরদিন সোমবার সকালে পুকুর থেকে কুকুরছানাগুলোর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হাসানুর রহমানের স্ত্রী নিশি রহমানের বিরুদ্ধে ছানাগুলোকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। পরে গত মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে নিশি রহমানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই রাতেই গ্রেপ্তার হন নিশি। বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।




