ইজাজুল,উত্তরা প্রতিনিধি: জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর উত্তরায় চাঁদাবাজি, আধিপত্য, দখলবাজির নিয়ন্ত্রণ নানা জনের হাতে গেলেও আওয়ামী নেতাদের মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক হয়েছে কেবলই জুয়েল। কিং-ফিশার বারের সাবেক জিএম এই জুয়েল উত্তরার নেশা নারী ডান্স ক্লাবের অন্ধকার জগতের ডন “জুয়েল” নামেই সমধিক পরিচিত ।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরার মাদক সরবরাহ ও দেহ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারী একটি শক্তিশালী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। রেস্টুরেন্ট ও বার ব্যবসার আড়ালে গড়ে তুলেছেন বিশাল মাদক সাম্রাজ্য।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে জুয়েলের দেশি-বিদেশি মদের অবৈধ বাণিজ্য চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা মামুন, কিশলু ও বাদল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক প্রভাপশালীদের হোটেল বার ব্যবসা দেখভালের নামে অঘোষিত অংশীদার হয়ে উঠেছে জুয়েল। বৃহত্তর উত্তরার এক ডজনেরও বেশি হোটেল বার ক্লাবে মদ -নারী সরবরাহ যায় জুয়েলের ডেরা থেকে। মূলত ডান্সারের ছদ্মবেশে কয়েকশো যৌনকর্মীদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রকও এই জুয়েল। উত্তরায় রাতের অপরাধ সম্রাজ্যে জুয়েলই সর্বেসর্বা। তার মদ -নারীর অবাধ বাণিজ্য চলছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর পাহাড়ায়। বিশ জনেরও বেশি চিহ্নিত অস্ত্রবাজ পেশাদার অপরাধী দাপিয়ে বেড়ায় বার ক্লাব মাদকের সাম্রাজ্য।

অভিযোগ রয়েছে, উত্তরা পশ্চিম থানার রাতের টহল পুলিশ তার আজ্ঞাবহ থাকে। প্রতিটি টহল পুলিশ টিমের সাব-ইন্সপেক্টর প্রতিরাতে পাঁচ হাজার টাকা সম্মানী ও টহল টিমের জন্য রাতের উন্নতমানের ডিনারেরও ব্যবস্থা থাকে।

আরো পড়ুনঃ https://thecrimebd.net/?p=95673

নাখালপাড়ায় কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা শান্ত বেপরোয়া, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

২০২২ সাল থেকে জুয়েল সিন্ডিকেট উত্তরার আনাচে-কানাচে অপ্রতিরোধ্যভাবে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। কিং-ফিশার বারের জিএম থাকা অবস্থায় দেশি-বিদেশি মদ লিফটের নিচে এবং পাশের রাস্তায় কাস্টমারদের সঙ্গে পার্সেল ডিল করা নারী সাপ্লাইয়ের কাজে জুয়েল দক্ষতা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি উত্তরার অন্তত ১৩ টি বারের নিষিদ্ধ বিদেশি মদ সরবরাহ করে থাকেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো জানিয়েছেন।

তার মাদক সংরক্ষণের মূল গুদাম খালপাড় মোড়ের কোরিয়ান বার, সেখানে তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হ’তে রাত দশটা পর্যন্ত অবস্থান করেন। এরপর গাউসুল আজম এভিনিউ রোডে ক্যাম্প ফায়ার বারে ডান্স কর্মীর আড়ালে যৌনকর্মীর সাপ্লাই কাজে ব্যস্ত থাকেন। কাস্টমার এলেই নিচে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীরা বলেন,”স্যার পার্স লাগবে নাকি নিয়ে যাবেন? “

জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পলাতক যুবলীগ নেতা মামুনের মাদক ব্যবসার তিন নম্বর পার্টনার শিপটি জুয়েলের মালিকানায় চলে আসে। এরপর থেকেই তার দাপট আরো বেড়ে যায়। ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় মোড়ে কোরিয়ান বারে বর্তমানে তিনি নিয়মিত মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসারস ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা সাহেবকে খালপাড় মোড়ের কোরিয়ান বারে অবৈধ মাদক ব্যবসার বিষয়ে অবহিত করা হলেও এখনও পর্যন্ত তিনি মোটাংকের উৎকোচ গ্রহণের কারণে কোন ব্যবস্থা নেননি।

উত্তরার মেগা সিটি ১২ নং সেক্টরের খালপাড় মোড়ে অবস্থিত কোরিয়ান বারটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে। বারের ভেতরে বিদেশি ফুড, উচ্চমাত্রার অ্যালকোহলযুক্ত ফরেন লিকার, সিগারেট ও ফায়ার বক্স থাকার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে। সড়কের মোড়েই বাড়টির অবস্থান বিধায় গাড়ী কিংবা মদ্যপরা মাতাল অবস্থায় গাড়ী ড্রাইভ করে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ভাষ্যমতে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে খোলামেলা বারে মাদক ও নারী সরবরাহ সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম উদাহরণ। আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশী মদ এবং পারমিট বিহীন মাদক সেবীদের মদ সাপ্লাই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে মাদকের উপ-পরিচালক বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ কিংবা লিখিত অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মেট্রো উত্তর এর পরিদর্শক জিল্লুর রহমান মাদকসম্রাট জুয়েলের সাথে গভীর সখ্যতা থাকায় কিংবা মাসিক বিশাল অংকের উপঢোকনের কারণে তিনি মাদক সম্রাট জুয়েলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না।

এ বিষয়ে তাকে বারবার টেলিফোন করা হলে ও মেসেজ করা হলেও তিনি এই প্রতিবেদককের ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

মাদক ও পতিতা ব্যবসার ব্যাপারে জুয়েল এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমার নামে লিখে RAB, পুলিশ, ডিবি যার কাছে ইচ্ছে পাঠান,আমার কিছুই হবেনা।কারণ আমি সবাইকে টাকা দিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করছি”।

ইজাজুল,উত্তরা প্রতিনিধি: জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর উত্তরায় চাঁদাবাজি, আধিপত্য, দখলবাজির নিয়ন্ত্রণ নানা জনের হাতে গেলেও আওয়ামী নেতাদের মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রক হয়েছে কেবলই জুয়েল। কিং-ফিশার বারের সাবেক জিএম এই জুয়েল উত্তরার নেশা নারী ডান্স ক্লাবের অন্ধকার জগতের ডন “জুয়েল” নামেই সমধিক পরিচিত ।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরার মাদক সরবরাহ ও দেহ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারী একটি শক্তিশালী চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। রেস্টুরেন্ট ও বার ব্যবসার আড়ালে গড়ে তুলেছেন বিশাল মাদক সাম্রাজ্য।

মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রোর কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে জুয়েলের দেশি-বিদেশি মদের অবৈধ বাণিজ্য চলছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পলাতক আওয়ামী লীগ নেতা মামুন, কিশলু ও বাদল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক প্রভাপশালীদের হোটেল বার ব্যবসা দেখভালের নামে অঘোষিত অংশীদার হয়ে উঠেছে জুয়েল। বৃহত্তর উত্তরার এক ডজনেরও বেশি হোটেল বার ক্লাবে মদ -নারী সরবরাহ যায় জুয়েলের ডেরা থেকে। মূলত ডান্সারের ছদ্মবেশে কয়েকশো যৌনকর্মীদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রকও এই জুয়েল। উত্তরায় রাতের অপরাধ সম্রাজ্যে জুয়েলই সর্বেসর্বা। তার মদ -নারীর অবাধ বাণিজ্য চলছে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনীর পাহাড়ায়। বিশ জনেরও বেশি চিহ্নিত অস্ত্রবাজ পেশাদার অপরাধী দাপিয়ে বেড়ায় বার ক্লাব মাদকের সাম্রাজ্য।

অভিযোগ রয়েছে, উত্তরা পশ্চিম থানার রাতের টহল পুলিশ তার আজ্ঞাবহ থাকে। প্রতিটি টহল পুলিশ টিমের সাব-ইন্সপেক্টর প্রতিরাতে পাঁচ হাজার টাকা সম্মানী ও টহল টিমের জন্য রাতের উন্নতমানের ডিনারেরও ব্যবস্থা থাকে।

আরো পড়ুনঃ https://thecrimebd.net/?p=95673

নাখালপাড়ায় কিশোর গ্যাং এর মূল হোতা শান্ত বেপরোয়া, অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

২০২২ সাল থেকে জুয়েল সিন্ডিকেট উত্তরার আনাচে-কানাচে অপ্রতিরোধ্যভাবে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। কিং-ফিশার বারের জিএম থাকা অবস্থায় দেশি-বিদেশি মদ লিফটের নিচে এবং পাশের রাস্তায় কাস্টমারদের সঙ্গে পার্সেল ডিল করা নারী সাপ্লাইয়ের কাজে জুয়েল দক্ষতা অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি উত্তরার অন্তত ১৩ টি বারের নিষিদ্ধ বিদেশি মদ সরবরাহ করে থাকেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো জানিয়েছেন।

তার মাদক সংরক্ষণের মূল গুদাম খালপাড় মোড়ের কোরিয়ান বার, সেখানে তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যার পর হ’তে রাত দশটা পর্যন্ত অবস্থান করেন। এরপর গাউসুল আজম এভিনিউ রোডে ক্যাম্প ফায়ার বারে ডান্স কর্মীর আড়ালে যৌনকর্মীর সাপ্লাই কাজে ব্যস্ত থাকেন। কাস্টমার এলেই নিচে দাঁড়িয়ে থাকা কর্মীরা বলেন,”স্যার পার্স লাগবে নাকি নিয়ে যাবেন? “

জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় পলাতক যুবলীগ নেতা মামুনের মাদক ব্যবসার তিন নম্বর পার্টনার শিপটি জুয়েলের মালিকানায় চলে আসে। এরপর থেকেই তার দাপট আরো বেড়ে যায়। ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড় মোড়ে কোরিয়ান বারে বর্তমানে তিনি নিয়মিত মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসারস ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা সাহেবকে খালপাড় মোড়ের কোরিয়ান বারে অবৈধ মাদক ব্যবসার বিষয়ে অবহিত করা হলেও এখনও পর্যন্ত তিনি মোটাংকের উৎকোচ গ্রহণের কারণে কোন ব্যবস্থা নেননি।

উত্তরার মেগা সিটি ১২ নং সেক্টরের খালপাড় মোড়ে অবস্থিত কোরিয়ান বারটি ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে। বারের ভেতরে বিদেশি ফুড, উচ্চমাত্রার অ্যালকোহলযুক্ত ফরেন লিকার, সিগারেট ও ফায়ার বক্স থাকার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে। সড়কের মোড়েই বাড়টির অবস্থান বিধায় গাড়ী কিংবা মদ্যপরা মাতাল অবস্থায় গাড়ী ড্রাইভ করে অহরহ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের ভাষ্যমতে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে খোলামেলা বারে মাদক ও নারী সরবরাহ সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম উদাহরণ। আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশী মদ এবং পারমিট বিহীন মাদক সেবীদের মদ সাপ্লাই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে মাদকের উপ-পরিচালক বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ কিংবা লিখিত অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি, তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মেট্রো উত্তর এর পরিদর্শক জিল্লুর রহমান মাদকসম্রাট জুয়েলের সাথে গভীর সখ্যতা থাকায় কিংবা মাসিক বিশাল অংকের উপঢোকনের কারণে তিনি মাদক সম্রাট জুয়েলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন না।

এ বিষয়ে তাকে বারবার টেলিফোন করা হলে ও মেসেজ করা হলেও তিনি এই প্রতিবেদককের ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

মাদক ও পতিতা ব্যবসার ব্যাপারে জুয়েল এ প্রতিবেদককে বলেন, “আমার নামে লিখে RAB, পুলিশ, ডিবি যার কাছে ইচ্ছে পাঠান,আমার কিছুই হবেনা।কারণ আমি সবাইকে টাকা দিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করছি”।