মোঃ মশিউর রহমান, রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে ক্লিনিক ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্ন রকম দূর্নীতি ও অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন অগ্ৰনী জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান।গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় অগ্রণী জেনারেল হাসপাতালের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করে মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে অগ্রণী জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোঃ ওমর আলী জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ক্লিনিকের নামে মাদক পাচার সহ দালালের মাধ্যমে গ্রামের সহজ সরল গরীব মেহেনতী মানুষদের চিকিৎসার নামে সর্বস্ব্য লুটে নিচ্ছে। আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ গর্ভপাত, নরমাল ডেলিভারী নামে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিম্নমানের ঔষধ দিয়ে একই ঔষধ বারবার ব্যবহার করে সিজার সহ জটিল রোগের অপারেশন করা হয় এবং রোগী মৃত্যুর মুখে পতিত হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারীদের সহযোগিতায় মোটা অংকের টাকা উৎকোচের মাধ্যমে ভর্তি করে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। দিনের পর দিন আবাসিক ভবনকে ক্লিনিক ও নার্সিং হোমকে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের এনে দেহ ব্যবসা নির্যাতনসহ নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপও চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০০০ সালে রাস্তাসহ ৪ শতক জমি ব্যাংক ঋণে ক্রয় করে ৪র্থ তলা বিশিষ্ঠ বাড়ি নির্মাণ করি। পরবর্তীতে ওই বাড়িটি ক্লিনিক হিসাবে ভাড়া প্রদান করি। সর্বশেষ আমার কাছ থেকে ভাড়া গ্রহণ করেন আর.কে হসপিটাল ৫ বৎসরের জন্য কিন্তু ১ বৎসর গত হওয়ার পর আমার পার্শ্ববর্তি আমার ভাড়া গ্রহণকারীকে বাগিয়ে নিয়ে তার অনুমোদনহীন ৬ষ্ঠ তলা বাড়িটি অগ্রীম জামানত আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে রেসিডেন্টকাম ও ক্লিনিক হিসাবে ব্যবহার শুরু করে এবং আমার ক্রয়কৃত রাস্তায় মাটি ভরাট করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরে ফলে আমি সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করি। উল্লেখিত ব্যাক্তি গোলাম রসুলকে সিটি কর্পোরেশনে কর্তৃপক্ষ বহুবার নোটিশ প্রদান করা সত্ত্বেও বাড়ির দলিল নকশা জবাব কোন কিছুই জমা দেন নাই। তাছাড়া আমার চলাচলের রাস্তায় গ্রীলের কারখানা বসিয়ে প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মোঃ ওমর আলী জানান, অপরদিকে আদর্শ জেনারেল হাসপাতাল একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আমার চলাচলের রাস্তার উপর বিভিন্ন প্রকার যানবাহন পার্কিং করে চলাচলের বাধা সৃষ্টি করে ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, আমি প্রতিবাদ করিলে গত ১৮ অক্টোবর তাদের কতিপয় সন্ত্রাসী রায়হান, হরিগং লোকজন নিয়ে আমার অফিস কক্ষে ঢুকে আমাকে লাঞ্চিত করে আমার চেয়ার টেবিল আলমিরা ফাইল কেবিনেট ভাংচুর করে এবং মূলবান কাগজপত্র দলিল দস্তাবেজ ছিনিয়ে নেয় এবং আমার ড্রয়ার ভেঙ্গে রায়হান ১ হাজার টাকার নোটের ৩টি বান্ডিল ৩ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমার চিৎকার শুনে আমার কর্মচারী লিমন মিয়া, বুলবুল, এবং কনক চন্দ্র দেবনাথ এগিয়ে এসে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। তখন সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন হুমকি ধামকি এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এমতাবস্থায় আমরা আপনারদের মাধ্যমে প্রশাসনেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে আমরা প্রশাসনের নিকট এ ব্যাপারে সঠিক সুরাহা পাই। সেই সাথে ক্লিনিক ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্ন দূর্নীতি ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে সহায়তা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Post Views: 466




