ক্রাইম প্রতিবেদক: নগরীর পাঁচলাইশ ও আকবরশাহ থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পৃথক অভিযানে ৮ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। পাঁচলাইশ এলাক থেকে ৫ জন এবং আকবরশাহ এলাকা থেকে ৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন মাঝির দোকান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ (দক্ষিণ)। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ছুরি, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গত শনিবার বেলা আড়াইটায় হাজী চাঁন্দ মিয়া সওদাগর রোডস্থ মাঝির দোকান সংলগ্ন এলাকা থেকে তারা গ্রেফতার হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহাদাৎ হুসেন রাসেল।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চান্দগাঁও থানার শমসের পাড়ার ইসমাইল সওদাগরের ছেলে মো. রাশেদ (২৫), বহদ্দার হাটের বাড়ই পাড়ার মৃত ইউনুছ গনির ছেলে মো. আরমান (৩১), শমসের পাড়ার মো. নাছেরের ছেলে মো. জনি (২৬), বহদ্দার হাটের বাড়ই পাড়ার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সোলায়মান (৪৬) এবং শমসের পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রিদুয়ান (৪০)।
চান্দগাঁও থানা সূত্র জানায়, রাশেদ শমসেরপাড়ার ইসমাইলের পুত্র। তার বড় ভাই নগরীর ভয়ঙ্কর হামকাগ্রুপের সাবেক সদস্য। পুলিশের তৎপরতায় হামকাগ্রুপ বিলুপ্ত হলে জালাল তার নিজের বন্ধু ও ছোট ভাই রাশেদের বন্ধুদের নিয়ে নতুন গ্রুপ পরিচালনা করে। এই গ্রুপ নগরীতে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মাদক ব্যবসা করছে। তাদের হাতে ইউনোস্কো সেন্টারের এক ব্যবসায়ী অপহরণের শিকার হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার টোলরোড এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোরে টোল রোডের লতিফপুর এলাকার বেড়িবাঁধের রাস্তার ওপর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন : সাহেদ হোসেন টিটু (২৪), মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন শাকিল (২২) ও শাহেদ আজগর হীরা (২৪)।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জহির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে টোল রোডে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের তল্লাশি করে একটি দেশীয় এলজি, ২টি কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্র ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। ডাকাত দলের পলাতক সদস্য মুরাদ হাসান (২৪), মো. আজাদ (৩৫), জুয়েল (২৫) ও ইমনকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান।



