দি ক্রাইম ডেস্ক: মাছ আহরণ বন্ধকালীন কঠোর নজরদারি, হ্রদের অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ এবং ছোট মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে প্রশাসনের নানামুখী উদ্যোগের ফলে কাপ্তাই হ্রদে সুস্বাদু কাচকি ও চাপিলা মাছের উৎপাদন বেড়েছে। মিঠা পানির এই মাছের দেশজুড়ে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি এখন স্থানীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাগড়াছড়ির মহালছড়ির অন্তত ৬ হাজার জেলে ও মৎস্যজীবী সরাসরি এই ছোট মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল। মাছের উৎপাদন বাড়ায় যেমন জেলেদের ভাগ্যোন্নয়ন হচ্ছে, তেমনি প্রতি বছর এখান থেকে বাড়ছে সরকারের বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়।

জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের আয়তন প্রায় ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে এই হ্রদে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে সুস্বাদু রূপালি রঙের কাচকি ও চাপিলা মাছ। আকারে ছোট হলেও স্বাদে অনন্য এসব মাছের চাহিদা দেশজুড়ে। প্রতিদিনই খাগড়াছড়ির মহালছড়ির মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে পাইকারদের মাধ্যমে এই মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এখানকার মৎস্য অবতরণ ঘাটে প্রতিদিন যে পরিমাণ মাছ আসে, তার প্রায় ৯৫ শতাংশই হলো এই দুই জাতের ছোট মাছ। পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ পাওয়ায় মহালছড়ি এলাকার জেলে, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই বেশ খুশি। এই ছোট মাছগুলোই তাদের জীবন ও জীবিকার প্রধান অবলম্বন হয়ে উঠেছে।

মৎস্যচাষি মো. রাসেল ও ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমাদের এখানকার অধিকাংশ মৎসজীবী কাচকি ও চাপিলার ওপর নির্ভরশীল। মাছ বেশ সুস্বাদু। মাছে কোনো ভেজাল নাই। এখানকার মাছ বরফ দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। মহালছড়ি মৎস্য সমবায় সমিতির সিনিয়র সহ–সভাপতি মো. আবুল খায়ের, এখানে আমরা সবাই ছোট মাছের নির্ভরশীল। ডিসেম্বর থেকে মাছের সাইজ ভালো হয়। এতে আমাদের মুনাফা বাড়বে।

মহালছড়ি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ও বিপণন কেন্দ্রের উপকেন্দ্র প্রধান মো. নাসরুল্লাহ জানিয়েছেন, প্রজননের অনুকূল পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য থাকায় হ্রদে ছোট প্রজাতির মাছ দ্রুত বংশ বিস্তার করছে। এছাড়া অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণসহ মাছ আহরণ বন্ধকালীন বিভিন্ন উদ্যোগের ফলেই কাচকি ও চাপিলার মতো ছোট মাছের প্রাপ্যতা বেড়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই ছোট মাছ থেকেই সরকারি রাজস্ব আদায় বেশি হয়। অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে বছরব্যাপী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে।

তার দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মহালছড়ি উপকেন্দ্র থেকে মোট ৫০৮ মেট্রিক টন মাছ আহরিত হয়েছে, যা থেকে সরকারের কোষাগারে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার রাজস্ব জমা পড়েছে।

দি ক্রাইম ডেস্ক: মাছ আহরণ বন্ধকালীন কঠোর নজরদারি, হ্রদের অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণ এবং ছোট মাছের প্রজনন বৃদ্ধিতে প্রশাসনের নানামুখী উদ্যোগের ফলে কাপ্তাই হ্রদে সুস্বাদু কাচকি ও চাপিলা মাছের উৎপাদন বেড়েছে। মিঠা পানির এই মাছের দেশজুড়ে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এটি এখন স্থানীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাগড়াছড়ির মহালছড়ির অন্তত ৬ হাজার জেলে ও মৎস্যজীবী সরাসরি এই ছোট মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল। মাছের উৎপাদন বাড়ায় যেমন জেলেদের ভাগ্যোন্নয়ন হচ্ছে, তেমনি প্রতি বছর এখান থেকে বাড়ছে সরকারের বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়।

জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের আয়তন প্রায় ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে এই হ্রদে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে সুস্বাদু রূপালি রঙের কাচকি ও চাপিলা মাছ। আকারে ছোট হলেও স্বাদে অনন্য এসব মাছের চাহিদা দেশজুড়ে। প্রতিদিনই খাগড়াছড়ির মহালছড়ির মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে পাইকারদের মাধ্যমে এই মাছ সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এখানকার মৎস্য অবতরণ ঘাটে প্রতিদিন যে পরিমাণ মাছ আসে, তার প্রায় ৯৫ শতাংশই হলো এই দুই জাতের ছোট মাছ। পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ পাওয়ায় মহালছড়ি এলাকার জেলে, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই বেশ খুশি। এই ছোট মাছগুলোই তাদের জীবন ও জীবিকার প্রধান অবলম্বন হয়ে উঠেছে।

মৎস্যচাষি মো. রাসেল ও ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমাদের এখানকার অধিকাংশ মৎসজীবী কাচকি ও চাপিলার ওপর নির্ভরশীল। মাছ বেশ সুস্বাদু। মাছে কোনো ভেজাল নাই। এখানকার মাছ বরফ দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়। মহালছড়ি মৎস্য সমবায় সমিতির সিনিয়র সহ–সভাপতি মো. আবুল খায়ের, এখানে আমরা সবাই ছোট মাছের নির্ভরশীল। ডিসেম্বর থেকে মাছের সাইজ ভালো হয়। এতে আমাদের মুনাফা বাড়বে।

মহালছড়ি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন ও বিপণন কেন্দ্রের উপকেন্দ্র প্রধান মো. নাসরুল্লাহ জানিয়েছেন, প্রজননের অনুকূল পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য থাকায় হ্রদে ছোট প্রজাতির মাছ দ্রুত বংশ বিস্তার করছে। এছাড়া অভয়াশ্রম রক্ষণাবেক্ষণসহ মাছ আহরণ বন্ধকালীন বিভিন্ন উদ্যোগের ফলেই কাচকি ও চাপিলার মতো ছোট মাছের প্রাপ্যতা বেড়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, এই ছোট মাছ থেকেই সরকারি রাজস্ব আদায় বেশি হয়। অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে বছরব্যাপী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় মাছের উৎপাদন বেড়েছে।

তার দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত মহালছড়ি উপকেন্দ্র থেকে মোট ৫০৮ মেট্রিক টন মাছ আহরিত হয়েছে, যা থেকে সরকারের কোষাগারে ১ কোটি ১১ লাখ টাকার রাজস্ব জমা পড়েছে।