নগর প্রতিবেদক: আজকের এইদিনে মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রামকে হানাদার মুক্ত করেছিল। এই বিজয়ের মাসে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা বর্তমান রয়েছেন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা মা বোনদের। মুক্তিযুদ্ধ যেখানে এত আত্মত্যাগ ঘটেছিল, যেখানে অনেকে অনেক রকম ক্ষতির স্বীকার হয়েছিল, সেসবকে স্বীকার করে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পাইয়ে দেওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা করেছিলেন সেই প্রচেষ্টার পিছনে যে পটভূমি ছিল, যে স্বপ্ন ছিল সেই স্বপ্নগুলো থেকে যেন আমরা বিচ্যুত না হই।

আজ বুধবার(১৭ ডিসেম্বর) নগরীর সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন এসব কথা বলেন।এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

কমিশনার বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি। প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে যে স্বপ্ন থেকে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এই মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, সেটার সুফল থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। আজকের এই আলোচনা থেকে আপনাদের অতীত স্মৃতিচারণে, আপনাদের বীরত্ব থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার গড়ে তোলার প্রচেষ্টা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ। কেননা যখন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে তখনই কিন্তু প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব গড়ে উঠবে। আর পেশাদারিত্ব যদি গড়ে উঠে তাহলে জনগণের ভোগান্তি দুর হবে । যদি আমরা সেটা না পারি দলীয়করণের মাধ্যমে সবকিছুকে আমরা কুক্ষিগত করে আত্মসাৎ করি তাহলে কিন্তু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে না, সাধারণ মানুষের মুক্তি মিলবে না। এইজন্য আপনারা যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন আপনারা যেভাবে দেশকে স্বাধীন করেছেন সেভাবে আজকে আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা প্রশাসনসহ সব সরকারি দপ্তরগুলোতে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

কমিশনার আরো বলেন, আমরা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে চাই, জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই, এই বাংলাদেশকে গোটা বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে চাই।

আলোচনা সভার শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মুক্ত আলোচনা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- পুলিশ কমিশনারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মহিউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির পক্ষে এডিশনাল ডিআইজি নাজিমুল হক, পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিল।

নগর প্রতিবেদক: আজকের এইদিনে মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রামকে হানাদার মুক্ত করেছিল। এই বিজয়ের মাসে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা বর্তমান রয়েছেন সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা মা বোনদের। মুক্তিযুদ্ধ যেখানে এত আত্মত্যাগ ঘটেছিল, যেখানে অনেকে অনেক রকম ক্ষতির স্বীকার হয়েছিল, সেসবকে স্বীকার করে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড পাইয়ে দেওয়ার জন্য যে প্রচেষ্টা করেছিলেন সেই প্রচেষ্টার পিছনে যে পটভূমি ছিল, যে স্বপ্ন ছিল সেই স্বপ্নগুলো থেকে যেন আমরা বিচ্যুত না হই।

আজ বুধবার(১৭ ডিসেম্বর) নগরীর সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন এসব কথা বলেন।এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

কমিশনার বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার পর থেকেই আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছি। প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে যে স্বপ্ন থেকে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এই মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, সেটার সুফল থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। আজকের এই আলোচনা থেকে আপনাদের অতীত স্মৃতিচারণে, আপনাদের বীরত্ব থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আবার গড়ে তোলার প্রচেষ্টা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কাজ। কেননা যখন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে তখনই কিন্তু প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব গড়ে উঠবে। আর পেশাদারিত্ব যদি গড়ে উঠে তাহলে জনগণের ভোগান্তি দুর হবে । যদি আমরা সেটা না পারি দলীয়করণের মাধ্যমে সবকিছুকে আমরা কুক্ষিগত করে আত্মসাৎ করি তাহলে কিন্তু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে না, সাধারণ মানুষের মুক্তি মিলবে না। এইজন্য আপনারা যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন আপনারা যেভাবে দেশকে স্বাধীন করেছেন সেভাবে আজকে আমাদের পাশে দাঁড়ান। আমরা প্রশাসনসহ সব সরকারি দপ্তরগুলোতে পেশাদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

কমিশনার আরো বলেন, আমরা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে চাই, জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই, এই বাংলাদেশকে গোটা বিশ্বের দরবারে একটা মর্যাদাপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে চাই।

আলোচনা সভার শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মুক্ত আলোচনা হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- পুলিশ কমিশনারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মহিউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির পক্ষে এডিশনাল ডিআইজি নাজিমুল হক, পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম।

আলোচনা সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিল।