মিজবাউল হক, চকরিয়া: হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নে। খুন-খারাবী, ডাকাতি, চুরি, চাঁদাবাজি, জায়গা জমি ও চিংড়িঘের দখলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ইউনিয়নবাসী। এতে কোন ধরণের প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ি পূন: স্থাপনের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবস্তরের মানুষ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বদরখালী কলেজ গেইটের চৌরাস্তার মোডে পুলিশ ফাঁড়ি পূন: স্থাপনের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে বদরখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরে অংশ গ্রহণ করেন।

উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা জানান, ২০১৯ সালে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, এরপর থেকে বিগত কয়েক বছরে ২৫ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে এ জনপথে। তিনটি ইউনিয়নের সংযোগস্থল বদরখালী হওয়াতে এ জনপথটি অত্যন্ত গুরুপূর্ণ। তাছাড়া বদরখালীতে একটি ডিগ্রী কলেজ, একটি ডিগ্রী মাদ্রাসা ৪-৫টি হাইস্কুল, কিন্ডারগার্ডেনসহ অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কোন অপরাধ সংঘটিত হলে ১৭ কি:মি দূর চকরিয়া থানা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌছাতে অপরাধিদের গা ঢাকা দিতে সহজ হয়। তাই একই অপরাধ বার বার সংঘটিত হচ্ছে সুতারাং পুলিশ ফাঁড়িটি বদরখালীতে পূন:রায় স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান বক্তারা।

মানবাধিকার কর্মী স্থানীয় সাংবাদিক আলাউদ্দিন আলো বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বদরখালী ফুলতলা খাসপাড়া গ্রামে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন হারুনুর রশীদ (৪৫)। এরআগে ২ আগষ্ট গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সোহায়েত হোসেন (৩৫) নিহত হন। বদরখালী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের ষ্টেশনে। মাতামুহুরী নদী থেকে পরিচয়বিহীন একব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এভাবে দিনেরপর দিন হত্যা, চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে।

মানববন্ধনে বদরখালী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পারভেজ মোশারফ বলেন, আমরা বদরখালীতে শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই। আমাদের সবার কর্তব্য বদরখালী ইউনিয়নকে শান্তির জনপদ হিসেবে তৈরি করা। অপরাধের স্বর্গরাজ্য কেন এই বদরখালী, এই অঞ্চলের কোন অভিভাবক নাই, কে দিবে তার জবাব।

মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ফরিদ উদ্দীন বলেন, আমরা আর কত প্রাণ হারালে বদরখালীতে পুলিশ ফাঁড়ি পাব, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এগুলো খেয়ে নিরাপদে বসবাস করা আমাদের অধিকার, কিন্তু পুলিশ না থাকায় আমরা সব সময় আতংকে বসবাস করি।

বদরখালী এম এস ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাঈদ আনোয়ার তারেক বলেন, শুধু পুলিশকে দোষ দিয়ে লাভ নাই, এটি স্থানীয় সচেতন নাগরিকের দায়িত্বও বটে আপনারা পাড়া মহল্লায় একটা একটা আইন শৃঙ্খলা উন্নয়ন প্রতিরোধ করুন এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা দিন, দেখবেন আইনশৃঙ্খলা অবশ্যই উন্নতি হবে। তবে এত বড় একটা জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি অবশ্যই প্রয়োজন আছে মনে করি, এটি দ্রæত বাস্তবায়ন করা হোক।

সভাপতির বক্তব্যে বদরখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা দিনদিন নীতি নৈতিকতা বিহীন কাজ করছি। এত বড় একটা সমবায় এলাকায় আমরা সামান্য কিছু অপরাধীর কাছে জিম্মি এটার মূল কারণ একটি পুলিশ ফাঁড়ি। আমরা চুড়ান্তভাবে আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বদরখালী ডিগ্রি কলেজ প্রতিনিধি সুমাইয়া, ইসলামী ছাত্রশিবির বদরখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: রাসেল বদরখালী কলোনীজেশন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবু নাঈম লিটন, বদরশাহ স্কুলের প্রতিনিধি মাস্টার জহির, ইকরা একাডেমি প্রতিনিধি মাস্টার জসিম উদ্দিন, বদরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকিয়া সোলতানা।

মিজবাউল হক, চকরিয়া: হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নে। খুন-খারাবী, ডাকাতি, চুরি, চাঁদাবাজি, জায়গা জমি ও চিংড়িঘের দখলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ইউনিয়নবাসী। এতে কোন ধরণের প্রতিকার না পেয়ে পুলিশ ফাঁড়ি পূন: স্থাপনের দাবীতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবস্তরের মানুষ।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বদরখালী কলেজ গেইটের চৌরাস্তার মোডে পুলিশ ফাঁড়ি পূন: স্থাপনের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে বদরখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষরে অংশ গ্রহণ করেন।

উপস্থিত অংশগ্রহণকারীরা জানান, ২০১৯ সালে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, এরপর থেকে বিগত কয়েক বছরে ২৫ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে এ জনপথে। তিনটি ইউনিয়নের সংযোগস্থল বদরখালী হওয়াতে এ জনপথটি অত্যন্ত গুরুপূর্ণ। তাছাড়া বদরখালীতে একটি ডিগ্রী কলেজ, একটি ডিগ্রী মাদ্রাসা ৪-৫টি হাইস্কুল, কিন্ডারগার্ডেনসহ অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কোন অপরাধ সংঘটিত হলে ১৭ কি:মি দূর চকরিয়া থানা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌছাতে অপরাধিদের গা ঢাকা দিতে সহজ হয়। তাই একই অপরাধ বার বার সংঘটিত হচ্ছে সুতারাং পুলিশ ফাঁড়িটি বদরখালীতে পূন:রায় স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান বক্তারা।

মানবাধিকার কর্মী স্থানীয় সাংবাদিক আলাউদ্দিন আলো বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বদরখালী ফুলতলা খাসপাড়া গ্রামে বাড়ির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন হারুনুর রশীদ (৪৫)। এরআগে ২ আগষ্ট গভীর রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে সোহায়েত হোসেন (৩৫) নিহত হন। বদরখালী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের ষ্টেশনে। মাতামুহুরী নদী থেকে পরিচয়বিহীন একব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এভাবে দিনেরপর দিন হত্যা, চুরি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা সংগঠিত হচ্ছে।

মানববন্ধনে বদরখালী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক পারভেজ মোশারফ বলেন, আমরা বদরখালীতে শান্তি চাই, নিরাপত্তা চাই। আমাদের সবার কর্তব্য বদরখালী ইউনিয়নকে শান্তির জনপদ হিসেবে তৈরি করা। অপরাধের স্বর্গরাজ্য কেন এই বদরখালী, এই অঞ্চলের কোন অভিভাবক নাই, কে দিবে তার জবাব।

মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ফরিদ উদ্দীন বলেন, আমরা আর কত প্রাণ হারালে বদরখালীতে পুলিশ ফাঁড়ি পাব, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি এগুলো খেয়ে নিরাপদে বসবাস করা আমাদের অধিকার, কিন্তু পুলিশ না থাকায় আমরা সব সময় আতংকে বসবাস করি।

বদরখালী এম এস ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাঈদ আনোয়ার তারেক বলেন, শুধু পুলিশকে দোষ দিয়ে লাভ নাই, এটি স্থানীয় সচেতন নাগরিকের দায়িত্বও বটে আপনারা পাড়া মহল্লায় একটা একটা আইন শৃঙ্খলা উন্নয়ন প্রতিরোধ করুন এবং প্রশাসনকে সহযোগিতা দিন, দেখবেন আইনশৃঙ্খলা অবশ্যই উন্নতি হবে। তবে এত বড় একটা জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি অবশ্যই প্রয়োজন আছে মনে করি, এটি দ্রæত বাস্তবায়ন করা হোক।

সভাপতির বক্তব্যে বদরখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা দিনদিন নীতি নৈতিকতা বিহীন কাজ করছি। এত বড় একটা সমবায় এলাকায় আমরা সামান্য কিছু অপরাধীর কাছে জিম্মি এটার মূল কারণ একটি পুলিশ ফাঁড়ি। আমরা চুড়ান্তভাবে আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বদরখালী ডিগ্রি কলেজ প্রতিনিধি সুমাইয়া, ইসলামী ছাত্রশিবির বদরখালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মো: রাসেল বদরখালী কলোনীজেশন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবু নাঈম লিটন, বদরশাহ স্কুলের প্রতিনিধি মাস্টার জহির, ইকরা একাডেমি প্রতিনিধি মাস্টার জসিম উদ্দিন, বদরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকিয়া সোলতানা।