মুন্নি আক্তার,নগর প্রতিবেদক: সরকারের লক্ষ্য হলো-দেশ থেকে টাইফয়েড রোগ নির্মূল করা। বিনামূল্যে টিকা প্রদানের মাধ্যমে আমরা জনগণের মাঝে রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই। আজ রবিবার(১২ অক্টোবর)সকালে নগরের কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজে চট্টগ্রাম বিভাগের টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন -২০২৫ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ডা. আ ফ ম খালিদ হোসেন এসব কথা বলেন।এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি।
উপদেষ্টা বলেন,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর আওতায় দেশব্যাপি টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে আজ ১২-৩০ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত ১০ কর্মদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্র সমূহে এবং ০১-১৩ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ০৮ কর্মদিবস স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্র সমূহে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন (TCV) ২০২৫” এর মাধ্যমে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী/প্রাক প্রাথমিক থেকে ৯ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের ০১ ডোজ TCV টিকা প্রদান করা হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম জেলায় ২৪ লাখ ৬১ হাজার ৩৪২ জন শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নগর এলাকায় ৮ লাখ ২৯ হাজার ৩০১ জন এবং ১৫ উপজেলায় ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৪১ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। নগরের ১ হাজার ৫৪৬টি স্কুলে ও ৭৮৩টি আউটরিচ সাইডে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী রয়েছে ৫ লাখ ৩১ হাজার ১৬৭ জন, স্কুল বহির্ভূত শিশু ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৪ জন। নগরে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনায় স্কুল ক্যাম্পেইনে টিকাদান কর্মী আছেন ৪২০ জন, কমিউনিটি ক্যাম্পেইনে টিকাদান কর্মী ২১৫ জন, স্কুল ও কমিউনিটি ক্যাম্পেইনে স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন ৬২৫ জন করে।
অন্যদিকে, উপজেলায় স্কুল ও মাদ্রাসাসহ মোট ৬ হাজার ৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটিতে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। জেলার ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ১ হাজার ২১৫ জন প্রশিক্ষিত কর্মী, ১ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৬০০ জন প্রথম সারির পরিদর্শক এবং ৬০ জন দ্বিতীয় সারির পরিদর্শক টিকাদান ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবেন।
টাইফয়েড প্রতিরোধ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এই টিকা অত্যন্ত কার্যকর এবং নিরাপদ। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত। তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় ৫ কোটি শিশুকে এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে। যা দেশের শিশুস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় একটি বড় পদক্ষেপ।
বক্তৃতা করেন-বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ, ইউনিসেফ চট্টগ্রামের চীফ অব ফিল্ড অফিস মিজ মাধুরী ব্যানার্জি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী ডাঃ ইমং প্রু চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
