সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া: সাতকানিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তার খামার থেকে গরু লুট করতে ব্যর্থ হয়ে মুখোশ পরিহিত ডাকাতদলের হামলায় মো. এহেসান (৪৫) নামে এক প্রহরী গলায় ও পিঠে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সাতকানিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। mcম39ঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়কূল সন্দিপ্যা পাড়া জিলানীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. এহেসান একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বনামুড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।  শুধু এ ঘটনা নয়, বিগত প্রায় আড়াই মাস আগে (৩১জুলাই) একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নউরগ্যাপাড়া থেকে আবদুল মাবুদ নামে এক রিক্সা চালকের ছয়টি গরু নিয়ে গেলেও এখনও গরুগুলো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছিল। পর পর এমন ঘটনায় স্থানীয় খামারিদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে জিলানীনগর এলাকার একটি খামারে গরু লুটের উদ্দেশ্যে ৬ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল প্রবেশ করে। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা প্রহরী এহেসান ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিককে কল করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গলায় ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে। পরে তার (এহেসান) চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা (ডাকাত) পালিয়ে যায়। পরে  স্থানীয়রা প্রহরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

খামারের মালিক ও ব্যাংক এশিয়ার  অবসরপ্রাপ্ত জোনাল হেড মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, খামারে ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রহরী এহেসান আমাকে কল দিয়েছিল। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় গরু লুট করতে ব্যর্থ হয় ডাকাতদল। পরে ডাকাতরা তাকে (এহেসান) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এহেসানকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করব।

ছদাহা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য হামিদা বেগম বলেন, গরু লুট করতে খামারে ডাকাত আসার বিষয়ে জানতে পেরে আমি এলাকাবাসী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। প্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।  পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  গরু চুরি এবং অন্যান্য অপরাধ ঠেকাতে আমরা খামারীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছি।

রিক্সা চালক আবদুল মাবুদের এইচএসসি পাস মেয়ে হালিমা বেগম বলেন, লুট হওয়া ছয়টি গরুর মধ্যে দুইটি ছিল দুগ্ধজাত গরু।

তিনি বলেন, আমরা সাত বোন। টাকার অভাবে এইচএসসি পাস করার পরও আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বাবার একক রোজগারে আমাদের সংসার চলে। আমার বাবা রিক্সা চালনার পাশাপাশি গরুগুলো পালন করত। দুধ বিক্রি করে কিছু টাকা অতিরিক্ত পাওয়া যেত। তাও এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের সংসারে অবর্ণণীয় দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এছাড়া পুলিশের কাছে গরু উদ্ধারের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার ও নাজেহাল করেছে। গরুগুলো উদ্ধার না হওয়ায় আমরা এখন অর্ধাহারে ও অনাহারে কালযাপন করছি। 

এ ব্যাপারে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া থানার উপ পরিদর্শক জহির উদ্দিন বলেন, এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে দুই জন জামিন হয়েছে বলে শুনেছি। কক্সবাজারের চকরিয়ার এক স্থানে গরুগুলোর সন্ধানে ২-১ দিনের মধ্যে যাব।  হালিমা বেগমকে নাজেহালের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। 

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া: সাতকানিয়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তার খামার থেকে গরু লুট করতে ব্যর্থ হয়ে মুখোশ পরিহিত ডাকাতদলের হামলায় মো. এহেসান (৪৫) নামে এক প্রহরী গলায় ও পিঠে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি সাতকানিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। mcম39ঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়কূল সন্দিপ্যা পাড়া জিলানীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. এহেসান একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বনামুড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।  শুধু এ ঘটনা নয়, বিগত প্রায় আড়াই মাস আগে (৩১জুলাই) একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নউরগ্যাপাড়া থেকে আবদুল মাবুদ নামে এক রিক্সা চালকের ছয়টি গরু নিয়ে গেলেও এখনও গরুগুলো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছিল। পর পর এমন ঘটনায় স্থানীয় খামারিদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতে জিলানীনগর এলাকার একটি খামারে গরু লুটের উদ্দেশ্যে ৬ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল প্রবেশ করে। এ সময় সেখানে দায়িত্বে থাকা প্রহরী এহেসান ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিককে কল করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গলায় ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে। পরে তার (এহেসান) চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা (ডাকাত) পালিয়ে যায়। পরে  স্থানীয়রা প্রহরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

খামারের মালিক ও ব্যাংক এশিয়ার  অবসরপ্রাপ্ত জোনাল হেড মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, খামারে ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রহরী এহেসান আমাকে কল দিয়েছিল। তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় গরু লুট করতে ব্যর্থ হয় ডাকাতদল। পরে ডাকাতরা তাকে (এহেসান) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এহেসানকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করব।

ছদাহা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য হামিদা বেগম বলেন, গরু লুট করতে খামারে ডাকাত আসার বিষয়ে জানতে পেরে আমি এলাকাবাসী নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলাম। প্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।  পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে খামারিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।  গরু চুরি এবং অন্যান্য অপরাধ ঠেকাতে আমরা খামারীদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছি।

রিক্সা চালক আবদুল মাবুদের এইচএসসি পাস মেয়ে হালিমা বেগম বলেন, লুট হওয়া ছয়টি গরুর মধ্যে দুইটি ছিল দুগ্ধজাত গরু।

তিনি বলেন, আমরা সাত বোন। টাকার অভাবে এইচএসসি পাস করার পরও আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বাবার একক রোজগারে আমাদের সংসার চলে। আমার বাবা রিক্সা চালনার পাশাপাশি গরুগুলো পালন করত। দুধ বিক্রি করে কিছু টাকা অতিরিক্ত পাওয়া যেত। তাও এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের সংসারে অবর্ণণীয় দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এছাড়া পুলিশের কাছে গরু উদ্ধারের বিষয়ে কথা বলতে গেলে তারা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার ও নাজেহাল করেছে। গরুগুলো উদ্ধার না হওয়ায় আমরা এখন অর্ধাহারে ও অনাহারে কালযাপন করছি। 

এ ব্যাপারে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া থানার উপ পরিদর্শক জহির উদ্দিন বলেন, এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে দুই জন জামিন হয়েছে বলে শুনেছি। কক্সবাজারের চকরিয়ার এক স্থানে গরুগুলোর সন্ধানে ২-১ দিনের মধ্যে যাব।  হালিমা বেগমকে নাজেহালের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। 

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।