নিজস্ব প্রতিবেদক: আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দি চিটাগাং কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এ সভাকে ঘিরে সদস্যদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে অবমাননার আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সোসাইটির সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
শনিবার(২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরীর নাছিরাবাদ এলাকায় সোসাইটির কার্যালয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় সম্পাদক বলেন,সোসাইটির উপ-আইনের ১৬.৭(গ) ধারা অনুযায়ী কমিটির সভা আহ্বানের একমাত্র ক্ষমতা সম্পাদক কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য কিন্তু সংশ্লিষ্ট সভাটি সভাপতি ওয়াহিদ মালেকের স্বাক্ষরিত নোটিশে আহ্বান করা হয়। এতে সভার আইনগত বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সোসাইটির রেজিস্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক নথিপত্র অফিসে না রেখে সভাপতির হেফাজতে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সভা এবং বিভিন্ন উপ-কমিটির অনুমোদন দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
সম্পাদকের ভাষ্য, “এসব পদক্ষেপ আদালতের আদেশের সরাসরি লঙ্ঘন এবং তা আদালতকে অবমাননার শামিল।”ওয়াহিদ মালেক চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্রিকা “দৈনিক আজাদীকে” ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এহেন অপকর্মে জড়িত হয়ে নিজের আধিপত্য অব্যাহত রাখতে সক্রিয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নিজের স্বাক্ষরিত নথিতে নিজেই আহবায়ক ঘোষণা করেছেন তিনি।
৬ষ্ঠ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোসাইটির বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের নিমিত্তে নিয়োগ উপ-কমিটিসহ ৬টি উপ-কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয় যেখানে সোসাইটির মূল ভান্ডার খ্যাত জমি ক্রয় ও প্রকল্প বাস্তবায়ন উপ-কমিটিকে সভাপতি ওয়াহিদ মালেক নিজেই আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় বেশ কয়েকজন সদস্যদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ফান্ডে থাকা ৩৫ কোটির বেশি টাকার সঠিক ব্যয় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সোসাইটির সদস্যরা। এছাড়াও গত শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের আগ পর্যন্ত অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব ও রেজিষ্ট্রেশন নথি উধাও হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সোসাইটির নির্বাচিত কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেছেন,সভাপতি ওয়াহিদ মালেক দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
একাধিক সদস্য বলেন, সভায় বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করলেই গালমন্দ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুস সাত্তার প্রতিবেদককে বলেন,আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় সভা আয়োজন আদালত অবমাননার পর্যায়ে পড়ে। সোসাইটির একাংশের সদস্যদের অভিযোগ, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সভা আয়োজন শুধু আদালত অবমাননা নয়, বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। এ ঘটনায় ব্যক্তিস্বার্থে প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।




