মিজবাউল হক, চকরিয়া : কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে তুলে নিয়ে মারধর করে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৪৫) নামে এক গ্যারেজ মালিককে পিটিয়ে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে মহাসড়কের মাতামুহুরি ব্রীজের কাছে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারকে খবর দিলে পুলিশের সহযোগীতায় গিয়াসউদ্দিনের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। গিয়াস উদ্দিন উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড দিঘির পাড় এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে ও টমটম গ্যারেজ ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে স্থানীয় মিন্টুসহ মোটরসাইকেল যোগে চিরিঙ্গা যায় গিয়াস উদ্দিন। চিরিঙ্গা থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষ তৌহিদের নেতৃত্বে ৫ জন লোক কার গাড়ি যোগে মোটরসাইকেলকে ব্যারিকেড দেয়। এসময় কার থেকে তৌহিদসহ ৪-৫ জন লোক নেমে মিন্টুকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে দুরে দাঁড় করিয়ে রেখে গিয়াসউদ্দিনকে কার গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম এ প্রতিবেদককে জানান, আমার স্বামীকে অপহরণের বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানানোর পরে থানায় অবগত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভোরে মহাসড়কের মাতামুহুরি ব্রীজ এলাকা থেকে আমার স্বামীর লাশ উদ্ধার হয়। চকরিয়া থানার এস আই আনোয়ার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেছেন।
গিয়াস উদ্দিনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, স্থানীয় দিঘির পাড়ে আমার ছেলের টমটম চার্জিং স্টেশন রয়েছে। চকরিয়া পৌরসভার কারাইয়াঘোনা এলাকা থেকে নতুন বাড়ি করা বিভিন্ন অপরাধ ও গরুচোর খ্যাত তৌহিদের নেতৃত্বে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদের নিয়ে গ্যাং তৈরী করে। গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় টমটম, ব্যাটারীসহ বাড়িঘরের বিভিন্ন জিনিষপত্র চুরি কাজে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় গতবছর তৌহিদ তার দলবল নিয়ে গিয়াসউদ্দিনের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়।এর জের ধরে আমার ছেলে গিয়াসউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তৌহিদ।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। গিয়াসউদ্দিনের মাথায় টর্চলাইটের আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাথা থেঁতলানো ছিল। হাতে কামড়ের দাগও রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
সর্বশেষ সংবাদ
মিজবাউল হক, চকরিয়া : কক্সবাজারের চকরিয়ায় পূর্বশত্রুতার জেরে তুলে নিয়ে মারধর করে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৪৫) নামে এক গ্যারেজ মালিককে পিটিয়ে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে মহাসড়কের মাতামুহুরি ব্রীজের কাছে লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তার পরিবারকে খবর দিলে পুলিশের সহযোগীতায় গিয়াসউদ্দিনের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়। গিয়াস উদ্দিন উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড দিঘির পাড় এলাকার গোলাম কাদেরের ছেলে ও টমটম গ্যারেজ ব্যবসায়ী ছিলেন।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে স্থানীয় মিন্টুসহ মোটরসাইকেল যোগে চিরিঙ্গা যায় গিয়াস উদ্দিন। চিরিঙ্গা থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা প্রতিপক্ষ তৌহিদের নেতৃত্বে ৫ জন লোক কার গাড়ি যোগে মোটরসাইকেলকে ব্যারিকেড দেয়। এসময় কার থেকে তৌহিদসহ ৪-৫ জন লোক নেমে মিন্টুকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে দুরে দাঁড় করিয়ে রেখে গিয়াসউদ্দিনকে কার গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল নাঈম এ প্রতিবেদককে জানান, আমার স্বামীকে অপহরণের বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানানোর পরে থানায় অবগত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভোরে মহাসড়কের মাতামুহুরি ব্রীজ এলাকা থেকে আমার স্বামীর লাশ উদ্ধার হয়। চকরিয়া থানার এস আই আনোয়ার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেছেন।
গিয়াস উদ্দিনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, স্থানীয় দিঘির পাড়ে আমার ছেলের টমটম চার্জিং স্টেশন রয়েছে। চকরিয়া পৌরসভার কারাইয়াঘোনা এলাকা থেকে নতুন বাড়ি করা বিভিন্ন অপরাধ ও গরুচোর খ্যাত তৌহিদের নেতৃত্বে এলাকার উঠতি বয়সী ছেলেদের নিয়ে গ্যাং তৈরী করে। গ্যাংয়ের সদস্যরা এলাকায় টমটম, ব্যাটারীসহ বাড়িঘরের বিভিন্ন জিনিষপত্র চুরি কাজে জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় গতবছর তৌহিদ তার দলবল নিয়ে গিয়াসউদ্দিনের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়।এর জের ধরে আমার ছেলে গিয়াসউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তৌহিদ।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। গিয়াসউদ্দিনের মাথায় টর্চলাইটের আঘাত করে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মাথা থেঁতলানো ছিল। হাতে কামড়ের দাগও রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।




