খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাতে যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে।আজ বুধবার(২২ মে) জেলার চাকমা, মারমা, রাখাইন, বড়ুয়া ও কিছু ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষ নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করছেন।
জেলার ৯টি উপজেলার প্রতিটি বৌদ্ধ বিহার ও মন্দিরে পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধ মূর্তি দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, সংঘদান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ড দান করা হয়।
জেলা শহরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী য়ংড বৌদ্ধ বিহারে সকালে সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সেখানে দেশ, জাতি তথা সকল প্রাণীর সুখ ও মঙ্গল কামনা করা হয়। বিকেলে বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট কল্যান পরিষদ ও খাগড়াছড়ি শাসনা রাক্ষিতা ভিক্ষু সংঘ যৌথ আয়োজনে য়ংড বৌদ্ধ বিহার প্রাংগন হতে মংগলশোভা যাত্রা বের করা হয়। ভিক্ষু, শ্রমন, অষ্টশীলকারী ও সাধারন দায়ক-দায়িকারা শতর্ষ্পতভাবে অংশ গ্রহন করে। এর আগে বিহারের সামনে মোমবাতি প্রজ¦লন করে র্যালী শোভা যাত্রা উদ্ধোধন করেন মং সার্কেল চীফ রাজা সাচিংপ্রুু চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পরিদর্শনে বিহার অধ্যক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবক ম্রাসাথোয়াই মারমা, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি থোয়াইহ্লাপ্রুু চৌধুরী, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মেমং মারমা, খাগড়াছড়ি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি চাইথোয়াই মারমা, জাতীয় শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি সাজাই মারমা, অংসা মারমা প্রমূখ।
একই দিনে ত্রি-স্মৃতি বিজরিত মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও মহাপরিনির্বান লাভের কারণে দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের
কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।




