নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমী রাজশাহীর কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামান সরকার রাঙার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে,গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঘটনার শিকার এক নৃত্য শিল্পী ও কলেজ ছাত্রী আসাদুজ্জামানের নিকট সম্ভ্রম হারিয়ে রাজপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান তার অফিস কক্ষ ও বাসায় অনৈতিক কর্মকান্ডের আঁখড়া বানিয়েছিল। আসাদুজ্জামান শিল্পকলা একাডেমিতে নৃত্য, সংগীত ও নাটক সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসা ছাত্রীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে আসছিল। ঘটনার শিকার অনেক শিল্পী নানা মহলে প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাননি। শেষ পর্যন্ত ঘটনার শিকার এক নৃত্য শিল্পী ও কলেজ ছাত্রী লম্পট আসাদুজ্জামানের নিকট সম্ভ্রম হারিয়ে রাজপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
এজাহারে উক্ত নারী আসাদুজ্জামান এর বিরুদ্ধে তার অফিস কক্ষেই সম্ভ্রমহানীর অভিযোগ এনেছেন। এছাড়াও উক্ত ছাত্রীকে ভদ্রা এলাকায় আসাদুজ্জামানের ভাড়া বাসাতেও জন্মদিনের অনুষ্ঠান করার নামে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং যৌন হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ করেন। ঘটনার শিকার ছাত্রী রাজপাড়া থানায় মামলা দায়েরের আগে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। তাতে কোন সুফল না পেয়ে তিনি রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
পরবর্তীতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজপাড়া থানায় মামলা করেন।রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কেবল যৌন হয়রানির অভিযোগই নয় শিল্পীদের অর্থ আত্মসাতেরও অনেক অভিযোগ রয়েছে।তিনি তার অনুগত মুষ্টিমেয় হাতেগোনা কয়েকজন স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করান। এছাড়াও রাজশাহী জেলার বাহির থেকে শিল্পী এনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকেন। তিনি রাজশাহীতে টানা ৬ বছর জেলা কালচারাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। সাথে আশেপাশের কয়েকটি জেলারও দ্বায়িত্ব পালনের কথাও জানা গেছে । সবই সম্ভব হয়েছে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তার অভিবাবকত্বের কারণে। একই এলাকায় বাড়ী হওয়ায় এই সুবিধা সে পেয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, তার কার্যকালের সময় একবারও অডিট করা হয়নি এমন অভিযোগ চাউর রয়েছে । সে কারণে তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর গুরুতর অভিযোগ দৃঢ় হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার রাজপাড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর কাজল নন্দী জানিয়েছেন, মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে । আসামি পলাতক থাকায় এখনো তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শিল্পকলায় অভিবাক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের জন্ম হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল হক মামলার বিষয়টা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের এস আই কাজল সাহেব মামলাটি তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত আর জানা যাবে।




