চকরিয়া অফিস : সোসাইটি বায়তুল মাওয়া শাহী জামে মসজিদের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছে। দু’টি মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৫-১৬ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। একটির মামলার বাদি চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর অপরটির বাদি পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন। দু’জনই শুক্রবার রাতে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে।
চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন জানান, ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মসজিদের খতিব হাফেজ বশির আহমদ ওয়াজ শেষ করার পর মাইকে বক্তব্য দিতে উঠেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শহীদ। ওইসময় তাকে বাধা দেন বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, আলমগীর মাইকে বাধা দেওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেননি মুসল্লিরা। একপর্যায়ে মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। তার নেতৃত্বে মারধর করা হয়েছে। আমি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছি। আলমগীর মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। বিগত কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ মুসল্লিরা ফুসে উঠেছে। বিশৃঙ্খলার চেষ্ঠা করায় তাদেরকে প্রতিহত করা হয়েছে। এঘটনায় আমি বাদি হয়ে আলমগীর, নাছির উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছি।
এদিকে একই ঘটনার জেরধরে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর বাদি হয়ে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোছাইন, পৌর শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিবুল হক, সাবেক কাউন্সিলর কুতুব উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম ফোরকান সহ ১৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
সোসাইটি বায়তুল মাওয়া শাহী জামে মসজিদে কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী।




