চকরিয়া অফিস : কক্সবাজারের চকরিয়ায় আলোচিত যুবলীগ নেতা পারভেজ বাবু হত্যাকান্ডের খুনিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। খুনিদের গ্রেফতার নিয়ে পুলিশের তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। বাবুকে হারিয়ে পরিবারে চরম হতাশা নেমে এসেছে।
গত ৫ জুলাই তার আপন চাচা মোহাম্মদ ইউছুফ আলীর দায়ের কোপে মারাত্মক আহত হন পারভেজ বাবু। পরে চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে টানা ১১দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বাবু চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের তরছপাড়া গ্রামের নাজেম উদ্দিনের পুত্র এবং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এঘটনায় পারভেজ বাবুর পিতা নাজেম উদ্দিন বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মোহাম্মদ ইউছুফ আলীকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে যুবলীগ নেতা পারভেজ বাবু হত্যাকান্ডের অন্যতম খুনি মোহাম্মদ ইউছুফ আলী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও পরবর্তীতে অপর একটি বেঞ্চে তার জামিন স্থগিত করেছে। পরে তাকে নিম্মে আদালতে আত্মসম্পর্ন করার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
স্বজনরা জানান, চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের তরছপাড়া গ্রামের মৃত ইছাক আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ইউছুফ আলী। কয়েক বছর পূর্বে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বাড়িতে বসবাস করছেন। ইউছুফ সম্পর্কে যুবলীগ নেতা পারভেজ বাবুর আপন চাচা হয়। ইউছুফ চাকরি থেকে অবসরে আসার পর এলাকায় নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের জায়গা জমি দখলসহ বিভিন্ন স্থানে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পারভেজ বাবুর পিতা নাজেম উদ্দিন জানান, গত ৫ জুলাই সকাল ৯টার দিকে তার ক্রয়কৃত জমি দখল করতে যায় তার আপন ছোট ভাই মোহাম্মদ ইউছুফ আলী ও তার সহযোগিরা। ওইসময় জমি দখলে বাধা দিতে গিয়ে তার ছেলে পারভেজ বাবুর উপর অর্তকিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ওইসময় পারভেজ বাবুর মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। হাতুড়ি দিয়ে বাবুর বাম পা ভেঙ্গে দিয়েছে তারা। একপর্যায়ে মূমুর্ষ অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চমেকে ১১দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে পারভেজ।
এঘটনায় পারভেজ এর পিতা নাজেম উদ্দিন ৮ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যতম আসামি ইউছুফ আলীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার অন্য আসামীরা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছেন বাবুর পরিবারকে। পুলিশের তৎপরতা নিয়ে তার পরিবারে চলছে চরম হতাশা। এরই মধ্যে হত্যা মামলার আসামি ইউছুফ উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও পরে অপর একটি বেঞ্চে জামিন স্থগিত করেছে। তাকে নিম্মে আদালতে আত্মস্মপর্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, পারভেজ বাবুর খুনিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন। যে কোন মুহুর্তে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।




