নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার শহরে সড়কের উপরেই যত্রতত্র সিএনজি স্টেশন বসানোর কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয়দের। অভিযোগ উঠেছে এসব সিএনজি থেকে নীরবে চাঁদাবাজি করছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেকটি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। একদিকে সড়কের উন্নয়নের কাজ অন্যদিকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যানজট সব মিলিয়ে মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সিএনজি চালক বলেন, প্রতিটি স্পটের সিএনজি থেকে নেয়া হচ্ছে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা । দৈনিক ছাড়াও যেসব সিএনজি গাড়ীর লাইসেন্স নেই সেসব সিএনজি থেকে মাসিক ২ হাজার থেকে ২২ শ’ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়াও সিএনজির নম্বর আছে কিন্তু কাগজের মেয়াদ নেই সেসব সিএনজি থেকে দিতে হচ্ছে মাসিক ১৫ শত টাকা।

চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হলেন, তোহা ও আমিন। এছাড়াও তাদের সিন্ডিকেটের অন্যান্যারা হলেন দিদার, রুবেল, বেলাল, জসিম, কাদের, জলিল ও মোহাম্মদ।

প্রায় নয় স্পটের পাশাপাশি শহরের প্রধান সড়কে চলমান সিএনজি অটোরিকশা থেকেও আদায় করা হয় চাঁদা। এভাবে বেপরোয়াভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজরা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজির একটি অংশ ট্রাফিক পুলিশের কাছে, আরেকটি পৌরসভার ইজারাদারের পকেটে গেলেও বাকি অংশ যাচ্ছে শ্রমিক নেতাসহ চাঁদা আদায়ে জড়িতদের পকেটে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, লালদীঘি প্যানোয়া রোড, স্টেডিয়াম পাশে সড়কের উপর, বড় বাজার পৌরসভা মার্কেটের পশ্চিমে ও দক্ষিণে, কোর্ট বিল্ডিং মসজিদ মার্কেট, বড় বাজার মসজিদের পাশে, বাজারঘাটা, খুরুশকুল রোডের মাথা, কলাতলী মোড়ে, বাসটার্মিনাল, হাসপাতালে আশপাশে সড়কের উপর অবৈধ স্টেশন বা পার্কিং করে বলে দাবি স্থানীয়দের।

মূলত চাঁদা আদায়কারীরা নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য যে যার মতো স্টেশন বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে। বেপরোয়া এই চাঁদাবাজির কারণে প্রতিনিয়ত শহরের বিভিন্ন স্থানে লেগে থাকে যানজট। পাশাপাশি আর্থিক হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ চালকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাঁদা আদায়কারী জানান, ‘পৌরসভার ১৫ টাকার রশিদে ৭টি স্পটের পাশাপাশি প্রধান সড়ক থেকে প্রতি সিএনজি অটোরিকশা থেকে আদায় করা হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এরমধ্যে পৌরসভার ইজারাদার পায় ১৫ টাকা, সমিতি নেয় ১০-১৫ টাকা, মাসিক হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের পকেটে যায় একটি অংশ। বাকি টাকা চাঁদা আদায়ে জড়িতরা নেয়।’ তবে সমিতি থেকে প্রতি মাসে এক শ্রমিক নেতাকেও মাসোহারা দিতে হয় বলে জানান তিনি।

শহরের ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প এলাকায় অবৈধ স্টেশনে প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজি অবস্থান নেয়। এসব গাড়ির গন্তব্য টেকনাফ বা শাপলাপুর ইউনিয়ন। এই অবৈধ স্টেশনে পার্কিং করা গাড়ির চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই স্টেশনে দৈনিক ৫০-৬০টি গাড়ি অবস্থান নেয়। প্রতি গাড়ি থেকে দৈনিক ৫০ টাকা আদায় করা হয়। আর এসব চাঁদা আদায় করে দিদার, বেলাল ও কবির।

তবে চাঁদা আদায়কারী জয়নালের দাবি প্রতি সিএনজি থেকে দৈনিক ৩০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। ১৫ টাকা ইজারাদার ও ১৫ টাকা জয়নালের। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ৪০ টাকার উর্ধ্বে টাকা আদায় করে জয়নাল এমনটাই জানিয়েছেন অনেকে। এই স্পট থেকে ছাত্র নেতা নামধারি চাঁদা নেয় বলে জানা গেছে।

এদিকে, অন্যান্য স্পটের চাঁদা আদায় ও ভাগবাটোয়ারার হিসেব থাকলেও শহরের কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে চাঁদা আদায়কারী রুবেলের কোনও হিসেব নেই। সে শুধু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। প্রতি গাড়ি থেকে নেয় ৫০ টাকা। হিসেব দিতে হয়না ইজারাদার কিংবা অন্য কাউকে। তবে যুবদল ত্যাগ করে সদ্য শ্রমিকলীগে যোগদান করা এক নেতাকে ভাগ দিতে হয় বলে জানা যায়।

এছাড়াও খুরুশকুল রোডের মাথা, বাজারঘাটা, কলাতলী ও বাসটার্মিনালেও চলছে চাঁদাবাজি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস সূত্রে জানায় ‘স্টেডিয়ামের সামনে স্টেশন বসানোর কারণে খেলোয়াড়সহ সর্বস্তরের মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে সিএনজি গাড়িগুলো রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। ‘সামনে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। তারা টিফিন ছুটিতে বের হতে পারেনা। সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সমস্যা করে। তাই দ্রুত এসব অবৈধ সিএনজি স্টেশন উচ্ছেদ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ সড়ক উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে সাধারণ জনগণ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) আমজাদ হোসেন বলেন, চাঁদা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি ট্রাফিকের নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি করে থাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার শহরে সড়কের উপরেই যত্রতত্র সিএনজি স্টেশন বসানোর কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পর্যটক ও স্থানীয়দের। অভিযোগ উঠেছে এসব সিএনজি থেকে নীরবে চাঁদাবাজি করছে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেকটি দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছে। একদিকে সড়কের উন্নয়নের কাজ অন্যদিকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যানজট সব মিলিয়ে মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন সিএনজি চালক বলেন, প্রতিটি স্পটের সিএনজি থেকে নেয়া হচ্ছে দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা চাঁদা । দৈনিক ছাড়াও যেসব সিএনজি গাড়ীর লাইসেন্স নেই সেসব সিএনজি থেকে মাসিক ২ হাজার থেকে ২২ শ’ টাকা চাঁদা দিতে হয়। এছাড়াও সিএনজির নম্বর আছে কিন্তু কাগজের মেয়াদ নেই সেসব সিএনজি থেকে দিতে হচ্ছে মাসিক ১৫ শত টাকা।

চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হলেন, তোহা ও আমিন। এছাড়াও তাদের সিন্ডিকেটের অন্যান্যারা হলেন দিদার, রুবেল, বেলাল, জসিম, কাদের, জলিল ও মোহাম্মদ।

প্রায় নয় স্পটের পাশাপাশি শহরের প্রধান সড়কে চলমান সিএনজি অটোরিকশা থেকেও আদায় করা হয় চাঁদা। এভাবে বেপরোয়াভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজরা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজির একটি অংশ ট্রাফিক পুলিশের কাছে, আরেকটি পৌরসভার ইজারাদারের পকেটে গেলেও বাকি অংশ যাচ্ছে শ্রমিক নেতাসহ চাঁদা আদায়ে জড়িতদের পকেটে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প, লালদীঘি প্যানোয়া রোড, স্টেডিয়াম পাশে সড়কের উপর, বড় বাজার পৌরসভা মার্কেটের পশ্চিমে ও দক্ষিণে, কোর্ট বিল্ডিং মসজিদ মার্কেট, বড় বাজার মসজিদের পাশে, বাজারঘাটা, খুরুশকুল রোডের মাথা, কলাতলী মোড়ে, বাসটার্মিনাল, হাসপাতালে আশপাশে সড়কের উপর অবৈধ স্টেশন বা পার্কিং করে বলে দাবি স্থানীয়দের।

মূলত চাঁদা আদায়কারীরা নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য যে যার মতো স্টেশন বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে। বেপরোয়া এই চাঁদাবাজির কারণে প্রতিনিয়ত শহরের বিভিন্ন স্থানে লেগে থাকে যানজট। পাশাপাশি আর্থিক হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ চালকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চাঁদা আদায়কারী জানান, ‘পৌরসভার ১৫ টাকার রশিদে ৭টি স্পটের পাশাপাশি প্রধান সড়ক থেকে প্রতি সিএনজি অটোরিকশা থেকে আদায় করা হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এরমধ্যে পৌরসভার ইজারাদার পায় ১৫ টাকা, সমিতি নেয় ১০-১৫ টাকা, মাসিক হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের পকেটে যায় একটি অংশ। বাকি টাকা চাঁদা আদায়ে জড়িতরা নেয়।’ তবে সমিতি থেকে প্রতি মাসে এক শ্রমিক নেতাকেও মাসোহারা দিতে হয় বলে জানান তিনি।

শহরের ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্প এলাকায় অবৈধ স্টেশনে প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজি অবস্থান নেয়। এসব গাড়ির গন্তব্য টেকনাফ বা শাপলাপুর ইউনিয়ন। এই অবৈধ স্টেশনে পার্কিং করা গাড়ির চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই স্টেশনে দৈনিক ৫০-৬০টি গাড়ি অবস্থান নেয়। প্রতি গাড়ি থেকে দৈনিক ৫০ টাকা আদায় করা হয়। আর এসব চাঁদা আদায় করে দিদার, বেলাল ও কবির।

তবে চাঁদা আদায়কারী জয়নালের দাবি প্রতি সিএনজি থেকে দৈনিক ৩০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। ১৫ টাকা ইজারাদার ও ১৫ টাকা জয়নালের। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ৪০ টাকার উর্ধ্বে টাকা আদায় করে জয়নাল এমনটাই জানিয়েছেন অনেকে। এই স্পট থেকে ছাত্র নেতা নামধারি চাঁদা নেয় বলে জানা গেছে।

এদিকে, অন্যান্য স্পটের চাঁদা আদায় ও ভাগবাটোয়ারার হিসেব থাকলেও শহরের কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে চাঁদা আদায়কারী রুবেলের কোনও হিসেব নেই। সে শুধু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের নাম ব্যবহার করে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। প্রতি গাড়ি থেকে নেয় ৫০ টাকা। হিসেব দিতে হয়না ইজারাদার কিংবা অন্য কাউকে। তবে যুবদল ত্যাগ করে সদ্য শ্রমিকলীগে যোগদান করা এক নেতাকে ভাগ দিতে হয় বলে জানা যায়।

এছাড়াও খুরুশকুল রোডের মাথা, বাজারঘাটা, কলাতলী ও বাসটার্মিনালেও চলছে চাঁদাবাজি।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিস সূত্রে জানায় ‘স্টেডিয়ামের সামনে স্টেশন বসানোর কারণে খেলোয়াড়সহ সর্বস্তরের মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে সিএনজি গাড়িগুলো রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। ‘সামনে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। তারা টিফিন ছুটিতে বের হতে পারেনা। সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সমস্যা করে। তাই দ্রুত এসব অবৈধ সিএনজি স্টেশন উচ্ছেদ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ সড়ক উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে সাধারণ জনগণ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) আমজাদ হোসেন বলেন, চাঁদা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি ট্রাফিকের নাম ব্যবহার করে কেউ চাঁদাবাজি করে থাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।