মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া: আনোয়ারা থানায় কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবলকে আসামী করে কক্সবাজারের চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী এক ব্যবসায়ী। চলতি মাসের ৪ জুলাই পেকুয়া বাজারের রিয়াদ ইলেক্ট্রনি´ এর মালিক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোছ্ইান (২৪) বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পেকুয়া থানার ওসিকে আগামী ধার্য্য তারিখের পূর্বে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পেকুয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, আদালত থেকে নির্দেশনা পেয়ে পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার একই থানার ওসি (তদন্ত) কে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্তভার অর্পন করেছেন। মামলার আসামী পুলিশ কনস্টেবল হলেন, জহিরুল ইসলাম (৪৮)। তিনি বর্তমানে আনোয়ারা থানায় পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছে এবং পেকুয়া উপজেলার বিলাহাসুরা গ্রামের মরহুম মৌলানা আলী আহমদের ছেলে।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার এজাহারে ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোছাইন উল্লেখ করেছেন, তিনি পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আসামী একজন শঠ ও প্রতারক। ব্যবসার মুলধন হিসেবে বিনিয়োগের প্রয়োজন হলে পুলিশ কনস্টেবল জহিরের কাছ থেকে ৪লক্ষ টাকা হাওলাত গ্রহণের জন্য উভয়ের সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৪/০৮/২০২০ইংরেজী তারিখ সকাল ১০ ঘটিকার সময় কয়েকজনকে স্বাক্ষী রেখে ৪লক্ষ টাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে তিনি গ্রহণ করেন। টাকা গ্রহণের সময় পুলিশ কনস্টেবলকে একটি ব্যাংকের চেক এবং তিনশত টাকা মুল্যমানের তিনটি ননজুড়িসিয়াল স্টাম্পের শিরোভাগে স্বাক্ষর করে পলিশ কনস্টেবল জহিরের কাছে জমা দেন। এরপর ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোছাইন বিভিন্ন কিস্তিতে জহিরুল ইসলামকে ২লাখ ৫৫হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী ১লাখ ৪৫হাজার টাকা পরিশোধের জন্য চেক ও স্টাম্প ফেরৎ চাওয়া হয়। কিন্তু গত ২৮/০৬/২০২৩ ইংরেজী তারিখ বিকাল ৩ঘটিকার সময় বাকী টাকা পরিশোধপূর্বক চেক ও স্টাম্প ফেরৎ চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন জহিরুল ইসলাম। এসময় জহির ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোছাইনের কাছ থেকে আরো ২ লাখ টাকা অতিরিক্ত সুদ দাবী করেন।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানায় কর্মরত পেকুয়ার বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, দেলোয়ার একজন প্রতারক। আমার কাছ থেকে ব্যবসায় কথা বলে ৪লাখ টাকা গ্রহণ করলেও আমার টাকা পরিশোধ করছেনা। এখন উল্টো আমার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আমাকে হয়রানী করছে।




