স্টাফ রিপোর্টার: কে এই নবী হোসেন। কি তার পরিচয়, বাড়ি কোথায়, করেন কি, পেশা কি এইসব জানা না গেলেও তিনি এখন হয়ে উঠেছেন এলএ শাখার বড় মাপের একজন দালাল। নিম্ম থেকে উপর লেবেল পর্যন্ত দেখা যায় ঘুরাফেরা করতে। কানে কানে ফিস ফিস করতে, উঠা বসা খোশ গল্পে মেতে উঠতে তদবির করতে। আজ অন্যের মতো দালালি চাঁদাবাজিতেই ভাগ্য বদলে দিয়েছে তার। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের পর থেকে তার এলএ শাখায় আনাগোনা ও পদচারনা শুরু বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক যুবক।

তিনি শুনিয়েছেন তার সম্পর্কে চমকপ্রদ নানা কাহিনীও। মাধ্যমিক শিক্ষার লেবেলও পার করতে পারেনি টাকা পয়সার অভাবে। ৬ষ্ট কি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া তার। চলনে বলনে তাকে সেই রকম লাগেনা। ছিল অভাবের সংসার। বাবা ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনাক্ষম ব্যক্তি। বাবা জাফর আহমদ ছিলেন সহজ সরল কৃষি কাজ করে পরের মজুরি করে কোন রকমে ঘর সংসার চালাতেন। তিনি মারা গেছেন।

আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকার দক্ষিণ বন্দর গ্রামের শশুর পক্ষের কিছু জমি অধিগ্রহণের পর থেকে চট্টগ্রাম এলএ শাখায় তার আসা। অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করতে আসার পর কিছু চিহ্নিত দালালদের সাথে পরিচয় সখ্যতা পরে এলএ শাখার সার্ভেয়ার, কাননগো, সহকারীদের সাথে গড়ে উঠে সম্পর্ক। এরপর নবীকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। বড় দালাল ইকবাল পেশাদার টাউট দালাল নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যাসহ পরিচয় ঘটে আরও কয়েক দালালের সাথে। ত্রিশ বছরের টগবগে এই যুবক বর্তমানে এলএ শাখার দালালির টাকায় চাতরী চৌমুহনী বাজারে মিষ্টির (কুলিং কর্ণার) দোকান, প্রাইভেট কার এবং চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় প্লট এর মালিক বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়। চাতরী চৌমুহনী বাজারের পশ্চিম দক্ষিণে পশু চিকিৎসক আবুল বশরের বাড়ির মৃত জাফর আহমদ এর পুত্র নবী হোসেন। চাতরী চৌমুহনী বাজারে মিষ্টির দোকান থাকলেও সেটি পরিচালনা করেন তার ভগ্নিপতি।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেছেন, নবীর বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে কি জন্য এবং কি নিয়ে ওই অভিযোগটি করা হয় সেটি বিশদ জানা যায়নি। বর্তমানে তার আছে কারি কারি টাকা গাড়ি বাড়ি। এসব আয় করেছেন এলএ শাখায় দালালি ও চাঁদাবাজি করে। কয়েক দিন আগেও তার কিছুই ছিলনা। যারা বশে আসবেনা তাদের ফাইল আটকে রেখে অথবা থানায় কিংবা আদালতে মামলা টুকে দিয়ে অথবা নানা বদনাম করে সার্ভেয়ারকে বশে এনে অধিগ্রহণের টাকা বা ফাইল আটকে দেয়া হয় বলে বহু ভুক্তভোগির অভিযোগ।

শুধু নবী নয়, এলএ শাখায় আছেন আরো অনেক চিহ্নিত দালাল। ছাত্র দল ক্যাডার ইকবাল, এক সময়ের শ্রমিক নেতা (পিএবি) মো. হারুন, জুয়েল কান্তি দত্ত, মো. ইউছুফ, জাহেদ হোসেন, মো. বাবুল, রাজিব ও  ফিরিঙ্গী বাজারের হাসান। আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে।

বাশঁখালী, চকরিয়া, সীতাকুন্ড, বোয়ালখালী, পটিয়া ও মিরসরাই উপজেলার দালালও আছে এলএ শাখায়। এরা ছাড়াও আরও বেশ কয়েক প্রভাবশালী দালাল আছে চট্টগ্রাম এলএ শাখায়। এসব দালালদের নিত্যদিন দেখা যায় ঘুরাফেরা করতে। এলএ শাখার দেয়ালে বড় বড় অক্ষরে লেখা দালাল সংক্রান্ত নানা সতর্ক বাণী এবং সিসি ক্যামরা থাকলেও এসব দালালদের পাকড়াও করতে একবারও দেখা যায়নি অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। প্রতিনিয়ত এসব চিহ্নিত দালালদের খপ্পরে পরে হয়রান এবং নির্যাতনের শিকার হলেও কর্তৃপক্ষের সেইদিকে নজর আছে বলে মনে হয় না।

একটু তদন্ত করে দেখা হলে এলএ শাখায় কর্মরত সার্ভেয়ার শিকলবাহক সহকারীদের নানা চমকপ্রদ নানা কেচ্ছাকাহিনী (দালালদের আসকারা) বেরিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল একটু আন্তরিক হলে একটু সুদৃষ্টি দিলে এলএ শাখায় দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের পাকড়াও করতে পারবেন। কর্ণফুলী টানেল, চায়না অর্থনৈতিক জোন, কোরিয়ান ইপিজেড, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা মেরিন ড্রাইভ সড়ক, রেল সড়ক নির্মানসহ আরো বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের জন্য সরকার বিপুল পরিমান জমি অধিগ্রহণ করেন। শুরু থেকে এসব জমির টাকা পরিশোধ করে আসছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ(এলএ) শাখা। এই এলএ শাখাকে ঘিরে গড়ে উঠে দালাল চক্র।

দুর্নীতির অভিযোগে ইতোমধ্যে সার্ভেয়ার, সহকারী, শিকলবাহক, দালালসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে গেছেন। জাল দলিল সৃজন করে চট্টগ্রাম এলএ শাখা হতে ৪২ লক্ষ টাকা উক্তোলন করতে গিয়ে নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা ধরা পড়ে দীর্ঘ দুই মাস জেল খেটে উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। সহকারী মোজাফফর আহমদ, নাজির মোয়াজ্জেম হোসেন সার্ভেয়ার মাহবুবসহ কতেক এলএ শাখার কর্মরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে। এরা দীর্ঘদিন কোমর বেঁধে এলএ শাখায় গেড়ে বসে আছে। দুর্নীতির পাল্লা ভারী বলে জানিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় ‘ওরা দালাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় সাপ্তাহিক দি ক্রাইম পত্রিকায়। সংবাদটি অনলাইন ভার্সনেও প্রকাশ হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ৫ তারিখে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর দালালদের আনাগোনা কিছুটা কমে আসলেও বর্তমানে বেড়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ কর্মীদের দেখিয়ে নেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে তারা।

স্টাফ রিপোর্টার: কে এই নবী হোসেন। কি তার পরিচয়, বাড়ি কোথায়, করেন কি, পেশা কি এইসব জানা না গেলেও তিনি এখন হয়ে উঠেছেন এলএ শাখার বড় মাপের একজন দালাল। নিম্ম থেকে উপর লেবেল পর্যন্ত দেখা যায় ঘুরাফেরা করতে। কানে কানে ফিস ফিস করতে, উঠা বসা খোশ গল্পে মেতে উঠতে তদবির করতে। আজ অন্যের মতো দালালি চাঁদাবাজিতেই ভাগ্য বদলে দিয়েছে তার। চট্টগ্রাম কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের পর থেকে তার এলএ শাখায় আনাগোনা ও পদচারনা শুরু বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এক যুবক।

তিনি শুনিয়েছেন তার সম্পর্কে চমকপ্রদ নানা কাহিনীও। মাধ্যমিক শিক্ষার লেবেলও পার করতে পারেনি টাকা পয়সার অভাবে। ৬ষ্ট কি অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া তার। চলনে বলনে তাকে সেই রকম লাগেনা। ছিল অভাবের সংসার। বাবা ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনাক্ষম ব্যক্তি। বাবা জাফর আহমদ ছিলেন সহজ সরল কৃষি কাজ করে পরের মজুরি করে কোন রকমে ঘর সংসার চালাতেন। তিনি মারা গেছেন।

আনোয়ারা-কর্ণফুলী এলাকার দক্ষিণ বন্দর গ্রামের শশুর পক্ষের কিছু জমি অধিগ্রহণের পর থেকে চট্টগ্রাম এলএ শাখায় তার আসা। অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করতে আসার পর কিছু চিহ্নিত দালালদের সাথে পরিচয় সখ্যতা পরে এলএ শাখার সার্ভেয়ার, কাননগো, সহকারীদের সাথে গড়ে উঠে সম্পর্ক। এরপর নবীকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। বড় দালাল ইকবাল পেশাদার টাউট দালাল নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যাসহ পরিচয় ঘটে আরও কয়েক দালালের সাথে। ত্রিশ বছরের টগবগে এই যুবক বর্তমানে এলএ শাখার দালালির টাকায় চাতরী চৌমুহনী বাজারে মিষ্টির (কুলিং কর্ণার) দোকান, প্রাইভেট কার এবং চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় প্লট এর মালিক বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায়। চাতরী চৌমুহনী বাজারের পশ্চিম দক্ষিণে পশু চিকিৎসক আবুল বশরের বাড়ির মৃত জাফর আহমদ এর পুত্র নবী হোসেন। চাতরী চৌমুহনী বাজারে মিষ্টির দোকান থাকলেও সেটি পরিচালনা করেন তার ভগ্নিপতি।

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেছেন, নবীর বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে কি জন্য এবং কি নিয়ে ওই অভিযোগটি করা হয় সেটি বিশদ জানা যায়নি। বর্তমানে তার আছে কারি কারি টাকা গাড়ি বাড়ি। এসব আয় করেছেন এলএ শাখায় দালালি ও চাঁদাবাজি করে। কয়েক দিন আগেও তার কিছুই ছিলনা। যারা বশে আসবেনা তাদের ফাইল আটকে রেখে অথবা থানায় কিংবা আদালতে মামলা টুকে দিয়ে অথবা নানা বদনাম করে সার্ভেয়ারকে বশে এনে অধিগ্রহণের টাকা বা ফাইল আটকে দেয়া হয় বলে বহু ভুক্তভোগির অভিযোগ।

শুধু নবী নয়, এলএ শাখায় আছেন আরো অনেক চিহ্নিত দালাল। ছাত্র দল ক্যাডার ইকবাল, এক সময়ের শ্রমিক নেতা (পিএবি) মো. হারুন, জুয়েল কান্তি দত্ত, মো. ইউছুফ, জাহেদ হোসেন, মো. বাবুল, রাজিব ও  ফিরিঙ্গী বাজারের হাসান। আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তাদের বাড়ি বলে জানা গেছে।

বাশঁখালী, চকরিয়া, সীতাকুন্ড, বোয়ালখালী, পটিয়া ও মিরসরাই উপজেলার দালালও আছে এলএ শাখায়। এরা ছাড়াও আরও বেশ কয়েক প্রভাবশালী দালাল আছে চট্টগ্রাম এলএ শাখায়। এসব দালালদের নিত্যদিন দেখা যায় ঘুরাফেরা করতে। এলএ শাখার দেয়ালে বড় বড় অক্ষরে লেখা দালাল সংক্রান্ত নানা সতর্ক বাণী এবং সিসি ক্যামরা থাকলেও এসব দালালদের পাকড়াও করতে একবারও দেখা যায়নি অভিযোগ ভুক্তভোগিদের। প্রতিনিয়ত এসব চিহ্নিত দালালদের খপ্পরে পরে হয়রান এবং নির্যাতনের শিকার হলেও কর্তৃপক্ষের সেইদিকে নজর আছে বলে মনে হয় না।

একটু তদন্ত করে দেখা হলে এলএ শাখায় কর্মরত সার্ভেয়ার শিকলবাহক সহকারীদের নানা চমকপ্রদ নানা কেচ্ছাকাহিনী (দালালদের আসকারা) বেরিয়ে আসবে। জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল একটু আন্তরিক হলে একটু সুদৃষ্টি দিলে এলএ শাখায় দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের পাকড়াও করতে পারবেন। কর্ণফুলী টানেল, চায়না অর্থনৈতিক জোন, কোরিয়ান ইপিজেড, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রাম বন্দর বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা মেরিন ড্রাইভ সড়ক, রেল সড়ক নির্মানসহ আরো বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের জন্য সরকার বিপুল পরিমান জমি অধিগ্রহণ করেন। শুরু থেকে এসব জমির টাকা পরিশোধ করে আসছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ(এলএ) শাখা। এই এলএ শাখাকে ঘিরে গড়ে উঠে দালাল চক্র।

দুর্নীতির অভিযোগে ইতোমধ্যে সার্ভেয়ার, সহকারী, শিকলবাহক, দালালসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে গেছেন। জাল দলিল সৃজন করে চট্টগ্রাম এলএ শাখা হতে ৪২ লক্ষ টাকা উক্তোলন করতে গিয়ে নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা ধরা পড়ে দীর্ঘ দুই মাস জেল খেটে উচ্চতর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়। সহকারী মোজাফফর আহমদ, নাজির মোয়াজ্জেম হোসেন সার্ভেয়ার মাহবুবসহ কতেক এলএ শাখার কর্মরত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে। এরা দীর্ঘদিন কোমর বেঁধে এলএ শাখায় গেড়ে বসে আছে। দুর্নীতির পাল্লা ভারী বলে জানিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় ‘ওরা দালাল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় সাপ্তাহিক দি ক্রাইম পত্রিকায়। সংবাদটি অনলাইন ভার্সনেও প্রকাশ হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের ৫ তারিখে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর দালালদের আনাগোনা কিছুটা কমে আসলেও বর্তমানে বেড়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদ কর্মীদের দেখিয়ে নেওয়ার হুমকিও দিচ্ছে তারা।