প্রেস বিজ্ঞপ্তি: করোনাকালীন সময়ে যে সকল প্রবাসী দেশে এসে আটকা পড়েছেন তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালুর আবেদন জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ সোমবার (০৯ মে) বিকেলে নগরীর জামালখান প্রেসক্লাব ভবনে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীরা সুজনের সাথে মতবিনিময় করতে আসলে তিনি এ দাবী জানান।
মতবিনিময়ের প্রারম্ভে প্রবাসীরা দেশে এবং বিদেশে তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা সুজনের নিকট উত্থাপন করেন। এছাড়া বিমান বন্দরসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তাদের হয়রানির কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলোচনা পূর্বক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এ সময় সুজন প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রথমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে নিজের পরিবার পরিজনের আবদার পূরণ করার পর শেষ সময়ে নিজের কাছে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তখন তাদেরকে অনেকটা অসহায় জীবন যাপন করতে হয়। তাই প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু হলে শেষ বয়সে এসে তাদের আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তারা বিদেশে গিয়ে তাদের ঘাম, শ্রম ব্যয় করে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু করোনা মহামারীকালীন সময়ে অনেক প্রবাসী দেশে এসে আটকা পড়েছেন। সময়মতো কর্মস্থলে যেতে না পারার কারণে যাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। অনেকে আবার বিদেশে থেকেও টাকার অভাবে আকামা নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে তারা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থায় যে সকল প্রবাসী করোনাকালীন সময়ে দেশে এসে আটকা পড়ে কাজ হারিয়েছেন এবং যারা অবৈধভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন তাদেরকে যদি আর্থিক সুবিধা প্রদান করা যায় তাহলে তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেখা যাচ্ছে যে অনেক প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে কাজ করার ফলে দেশে এসে করার মতো কোন কাজ থাকে না। তারা প্রবাসেই থাকতে কিংবা কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এমতাবস্থায় আটকে পড়া প্রবাসীরা কাজে যোগদান করতে পারলে তাদের পরিবারে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে এবং দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। সুজন বলেন যে সকল প্রবাসীগণ দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন সে সকল প্রবাসীরাই প্রায় সময় নিজ দেশে অবহেলিত হয়। বিমান বন্দরে নিয়োজিত বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কর্তাব্যক্তিগণ কর্তৃক প্রায়শই তাদের সাথে খারাপ আচরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। ইমিগ্রেশনের নামে প্রবাসীদের ঘন্টার পর ঘন্টা কাউন্টারে দাড় করিয়ে রাখা হয় যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সুজন দেশের সকল বিমান বন্দরে প্রবাসীদের জন্য আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। এছাড়া প্রবাসীদের ভিআইপি এবং সিআইপিদের মতো মর্যাদা দানের দাবী জানান। করোনাকালীন সময়েও প্রবাসীরা তাদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। যার ফলে দেশ এখনো মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাড়িয়ে রয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সুসংবাদ। তাই প্রবাসীদের দুঃখ, দুর্দশা লাঘবে সর্বক্ষেত্রে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি প্রবাসীদের উত্থাপিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস.এম মুসা মিরদাদের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি মো. ইকবাল শফি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি এইচ.এস.জামাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কে.এম.আখতার হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এম.এয়াকুব আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জিয়া উদ্দিন, মহানগর সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সামসুল আলম প্রমূখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: করোনাকালীন সময়ে যে সকল প্রবাসী দেশে এসে আটকা পড়েছেন তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা চালুর আবেদন জানিয়েছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। আজ সোমবার (০৯ মে) বিকেলে নগরীর জামালখান প্রেসক্লাব ভবনে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীরা সুজনের সাথে মতবিনিময় করতে আসলে তিনি এ দাবী জানান।
মতবিনিময়ের প্রারম্ভে প্রবাসীরা দেশে এবং বিদেশে তাদের বিভিন্ন অসুবিধার কথা সুজনের নিকট উত্থাপন করেন। এছাড়া বিমান বন্দরসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তাদের হয়রানির কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আলোচনা পূর্বক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এ সময় সুজন প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রথমেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনে নিজের পরিবার পরিজনের আবদার পূরণ করার পর শেষ সময়ে নিজের কাছে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। তখন তাদেরকে অনেকটা অসহায় জীবন যাপন করতে হয়। তাই প্রবাসীদের জন্য পেনশন স্কিম চালু হলে শেষ বয়সে এসে তাদের আর কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। তারা বিদেশে গিয়ে তাদের ঘাম, শ্রম ব্যয় করে দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু করোনা মহামারীকালীন সময়ে অনেক প্রবাসী দেশে এসে আটকা পড়েছেন। সময়মতো কর্মস্থলে যেতে না পারার কারণে যাদের অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। অনেকে আবার বিদেশে থেকেও টাকার অভাবে আকামা নবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে তারা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থায় যে সকল প্রবাসী করোনাকালীন সময়ে দেশে এসে আটকা পড়ে কাজ হারিয়েছেন এবং যারা অবৈধভাবে বিদেশে অবস্থান করছেন তাদেরকে যদি আর্থিক সুবিধা প্রদান করা যায় তাহলে তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেখা যাচ্ছে যে অনেক প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে কাজ করার ফলে দেশে এসে করার মতো কোন কাজ থাকে না। তারা প্রবাসেই থাকতে কিংবা কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এমতাবস্থায় আটকে পড়া প্রবাসীরা কাজে যোগদান করতে পারলে তাদের পরিবারে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে এবং দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধ হবে। সুজন বলেন যে সকল প্রবাসীগণ দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন সে সকল প্রবাসীরাই প্রায় সময় নিজ দেশে অবহেলিত হয়। বিমান বন্দরে নিয়োজিত বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কর্তাব্যক্তিগণ কর্তৃক প্রায়শই তাদের সাথে খারাপ আচরনের অভিযোগ পাওয়া যায়। ইমিগ্রেশনের নামে প্রবাসীদের ঘন্টার পর ঘন্টা কাউন্টারে দাড় করিয়ে রাখা হয় যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সুজন দেশের সকল বিমান বন্দরে প্রবাসীদের জন্য আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। এছাড়া প্রবাসীদের ভিআইপি এবং সিআইপিদের মতো মর্যাদা দানের দাবী জানান। করোনাকালীন সময়েও প্রবাসীরা তাদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। যার ফলে দেশ এখনো মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাড়িয়ে রয়েছে যা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সুসংবাদ। তাই প্রবাসীদের দুঃখ, দুর্দশা লাঘবে সর্বক্ষেত্রে সরকারের এগিয়ে আসা উচিত বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি প্রবাসীদের উত্থাপিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরাম চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস.এম মুসা মিরদাদের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি মো. ইকবাল শফি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি এইচ.এস.জামাল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কে.এম.আখতার হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এম.এয়াকুব আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জিয়া উদ্দিন, মহানগর সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সামসুল আলম প্রমূখ।