নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন কমিটি ঘোষণার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ভাব বিরাজ করছে। বিশেষ করে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীরা এখন কেউই ঘরে বসে নেই। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য ত্রিমুখী নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা এখন কেন্দ্রীয় যুবলীগ চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি নিজস্ব গ্রুপের মধ্যে মন্ত্রী-এমপি এবং নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে জোর তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন।
যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশেষে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৯ বছর পর শীঘ্রই বহু প্রতিক্ষিত ক্লিন ইমেজের নগর যুবলীগ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। শুধুমাত্র যারা রাজনীতিক কাজে সবসময় রয়েছে মাঠে-ময়দানে এমন নেতাদেরকেই এই কমিটিতে মূল্যায়ন করা হবে। যে সময় নগর যুবলীগ অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছিল, দলীয় তেমন কর্মকাণ্ড ছিল না, সেই সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু অনবরত নানা সামাজিক সেবামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি চালিয়ে নিয়েছেন দলীয় নানা কর্মসূচী যা এখনো চলমান।
এছাড়াও বৈশ্বিক মহামারি করোনা চলাকালিন খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ চিকিৎসা সেবায় অসাধারণ ভূমিকা রাখায় ব্যাপক সুনামও রয়েছে এ নেতার। নগর যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পেতে দলীয় নানা কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কাজে সক্রিয় হয়ে আছে ত্যাগী নেতা হেলাল উদ্দীন বাবর, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম.আর. আজিম, ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাভু, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম আলম, নুরুল আনোয়ার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের সাজসজ্জা উপকমিটির সদস্য ফসিউল আলম রিয়াদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান তারেক, মো. ইলিয়াছ কুতুবী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রনি, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ছামদানী জনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভি.পি রাজীব হাসান রাজন, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটির বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সারাদেশে যুবলীগকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয়। যুবলীগকে একটি মানবিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিয়ে প্রতিটি কমিটি সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রামে দায়িত্বে থাকা যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নাঈম বলেন, দলের জন্য ত্যাগী ও পরিশ্রমীদের শুধুমাত্র মূল্যায়ন করা হবে। কোনো ভাইয়ের দাপটে বা চোরা পথে কেউ কোন পদে আসতে পারবে না, দলীয় পদ ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছানোরাতো নয়ই।




