দি ক্রাইম ডেস্ক: কক্সবাজারের চকরিয়ায় সাইফুল ইসলাম (৩৪) নামের এক যুবককে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজ কাকারা গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।
নিহত সাইফুল ইসলাম মৃত শাহ আলমের ছেলে। তিনি চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যোগাযোগ বিষয় সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার ভোররাতে বাড়ির অদূরে একটি বিল থেকে সাইফুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সাইফুলের বাড়ির পাশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে সংঘর্ষের ঘটনায় রুজুকৃত মামলায় সাইফুল ইসলামকেও আসামি করা হয়। সেই মামলার আসামি হিসেবে সাইফুলকে ধরতে সোমবার রাতে পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসে। তবে এসময় সাইফুলকে বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর হেলমেট পরিহিত ১০ থেকে ১২ জন লোক এসে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এসময় সাইফুল বাড়িতে ফিরেছিলেন, পরে তাকে বাড়ির পেছন থেকে ধাওয়া দিয়ে পাশের একটি বিলে নিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
নিহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রিনা আক্তার অভিযোগ করেন, একটি মামলায় সাইফুলকে ধরতে এসেছিল পুলিশ। সে বাড়িতে না থাকায় পুলিশ চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী মাথায় হেলমেট পরে এসে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বাড়ির পেছন দিক থেকে বাড়িতে ঢুকছিল সাইফুল, তাকে দেখতে পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে তাড়া করে পাশের বিলে নিয়ে যায়। সেখানে সেখানে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।
চকরিয়া থানার ওসি মনির হোসেন বলেন, সোমবার রাতে মামলার আসামি হিসেবে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে পুলিশ যায়। কিন্তু তাকে বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ চলে আসে। পরে সেখানে কী ঘটেছে তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাইফুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি মনির হোসেন আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম ইতোমধ্যে অভিযানে নেমেছে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




