সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা ২০ দলীয় জোটকে ‘ফ্যাসিবাদের সহযোগী শক্তি’ ও ‘সাকিব আল হাসানও দেশে এসে রাজনীতি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে !’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) এ এমন স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সাতকানিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা.মো.জসিম উদ্দিন।
সোমবার (০৮ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে তাঁর (জসিম উদ্দিন) নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এমন মন্তব্য ভাইরাল হলে তা নিয়ে উপজেলাসহ পুরো জেলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সমালোচকরা বলছেন, সরকারি চাকুরিজীবী হয়ে ফেসবুকে এমন পোস্ট দেওয়া, চাকুরী বিধি লংঘনের শামিল। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
তাঁর ফেসবুক থেকে ভাইরাল করা পোস্টটি হলো, ‘আজকে দেখলাম ২০ দল নামক (ফ্যাসিবাদের সহযোগী শক্তি) আত্মপ্রকাশ করেছে আর ঐ দিকে সাকিব আল হাসানও দেশে এসে রাজনীতি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে !’
সাতকানিয়া উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি চাকুরিজীবীরা সরকারি বিধির বাইরে কোন কাজ বা কথা বলতে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এর বাইরে দেশের রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করাতো অনেকটা অপরাধের শামিল।
তিনি আরও বলেন, ওই চিকিৎসক যদি সরকারি চেয়ারে বসে দলীয় লেজুরবৃত্তি গ্রহণ করে, তা ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গল নয় বরং ক্ষতিই ডেকে আনবে। এ বিষয়ে তাঁকে আরও সতর্ক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) জসিম উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে, জাতীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক ফোন করলে তাঁর ফোন রিসিভ করে ওই সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জসিম উদ্দিন বলেন, আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আপনার এত মাথাব্যথা কেন ? অপর প্রশ্নে ওই সাংবাদিককে জসীম উদ্দীন বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কি কেউ কি না করে বসে আছে ? পরে তিনি সাংবাদিককে বলেন, আমাকে জিজ্ঞেস করার আপনি কে ?
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা ভালো। আমরা যেহেতু বিষয়টি জেনেছি, অবশ্যই তা তদন্ত করে দেখব।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির সাবেক দুই নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (জাপা) ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর (জেপি) নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।
জোটে থাকা অন্য দলগুলো হলো- জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।




