দি ক্রাইম ডেস্ক: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক মোল্লা ওরফে নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ৬৮ দিন পর অবশেষে আদালতে মামলা হয়েছে। নিহত নুরাল পাগলের শ্যালিকা শিরিন বেগম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) গোয়ালন্দ আমলী আদালতে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলায় ৯৬ জনকে চিহ্নিত আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০–৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামজিদ হোসেন তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে দরবারে হামলা ও রাসেল মোল্লা হত্যার অভিযোগে নিহত রাসেলের বাবা, দেবগ্রাম ইউপির সাবেক সদস্য আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেন।
সেই মামলায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পুলিশ ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এতে ৩ হাজার সাড়ে ৩ হাজার জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ওই মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত, ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ বাজারের শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি ও তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালায়। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট। হামলাকারীরা শরিয়তবিরোধী দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলের লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। হামলায় ১০–১২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দুটি গাড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি।
হামলায় আহত হয়ে নিহত হন রাসেল মোল্লা, তিনি দেবগ্রাম ইউনিয়নের ঝুটুমিস্ত্রি পাড়ার আজাদ মোল্লার ছেলে।




