সোহেল রানা, ঢাকা: ইভটিজিং, মারধর, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই এমনকি খুনের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাং। তাদের উৎপাত আর অপরাধ কর্মকাণ্ড দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।

রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন নাখালপাড়া এলাকার এমনই এক ত্রাস কিশোর গ্যাং শান্ত গ্রুপ। এই বাহিনীর সদস্যরা দলবেঁধে দাপিয়ে বেড়ায় সারা নাখালপাড়া এলাকা। যে কাউকেই টার্গেট করে লুটে নেয় সবকিছু। ওই গ্যাংয়ের লিডার জুলাই হত্যা মামলার আসামি শান্ত। অল্প বয়সেই জড়িয়েছে সব রকমের অপরাধে। প্রাথমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ে। অপরাধ হয়ে উঠেছে তার পেশা। তার বাবা যুবলীগ নেতা হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারতো না, বিচার দিয়ে বিচার পেত না। ৫ আগষ্টের পর তার বাবা পালিয়েছে বিদেশে। কিন্তু শান্ত অপরাধ কর্মে হয়েছে বেপরোয়া।

জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে হত্যার মিশনে সরাসরি অংশ নিয়েছিল শান্ত বাহিনী। এই বাহিনীর অনেকেই এখন জুলাই হত্যা মামলার আসামি। হত্যা মামলায় শান্ত গ্রেফতার হলেও সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হাজিরা ও মামলা পরিচালনার টাকা জোগাড় করতে চুরি, ছিনতাই, ফিটিংয়ে আগের চেয়েও বেপরোয়া। যদিও এসব কর্মকাণ্ড আগে থেকেই নিয়মিত করতো। এছাড়া শান্ত নাখালপাড়া এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি। বর্তমানে গ্রেফতার থেকে বাঁচতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করছে।

আরো পড়ুনঃ https://thecrimebd.net/?p=95668

উত্তরার মাদক ও নারী ব্যবসার সর্বেসর্বা জুয়েলের খুঁটির জোর কোথায়?

শান্ত বাহিনীকে প্রতিদিন পশ্চিম নাখালপাড়ায় রেললাইনের পাশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের গোঁড়ায় দলবেঁধে বসে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করতে দেখা যায়। গাঁজার আসরে বসেই তারা নতুন নতুন অপরাধের পরিকল্পনা করে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নাখালপাড়ার পাগলার পুল নামক জায়গায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাছ থেকেও ছিনতাই করে। প্রায়ই তারা আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।

জানা গেছে, শান্ত গ্যাং এর গ্যাংয়ের সদস্যরা চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক পরিবহন, খুন, ধর্ষণ, হাঙ্গামা, বিভিন্ন দোকানে ফাও খাওয়া, মাদক সেবন, যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধে জড়িত। গ্যাংয়ের বেশিরভাগ সদস্যই বখে যাওয়া কিশোর ও তরুণ, যাদের অনেকেই স্কুলের গণ্ডি পার হতে পারেনি। হেন কোন অপরাধ নেই যা তারা করে না। বয়স দেখলে বুঝার কোনও উপায় নেই, এদের সংঘটিত অপরাধ কী ভয়ঙ্কর হতে পারে।

তাদের অত্যাচারের অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। এদের নির্যাতনের শিকার হলেও ভয়ে অনেকে প্রতিবাদ করতে সাহস করেন না।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তাদের অপকর্ম চলমান আছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্রয়ে মূলত নিম্নবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানদের নিয়ে গড়ে উঠেছে এ সব গ্যাং। রয়েছে প্রভাবশালীদের বখে যাওয়া কিশোর সন্তান।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, তেজগাঁওয়ে কোনো কিশোর গ্যাং থাকবে না। গ্যাং কালচার দমনে অভিযান চলমান। কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সোহেল রানা, ঢাকা: ইভটিজিং, মারধর, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই এমনকি খুনের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে কিশোর গ্যাং। তাদের উৎপাত আর অপরাধ কর্মকাণ্ড দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।

রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন নাখালপাড়া এলাকার এমনই এক ত্রাস কিশোর গ্যাং শান্ত গ্রুপ। এই বাহিনীর সদস্যরা দলবেঁধে দাপিয়ে বেড়ায় সারা নাখালপাড়া এলাকা। যে কাউকেই টার্গেট করে লুটে নেয় সবকিছু। ওই গ্যাংয়ের লিডার জুলাই হত্যা মামলার আসামি শান্ত। অল্প বয়সেই জড়িয়েছে সব রকমের অপরাধে। প্রাথমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ে। অপরাধ হয়ে উঠেছে তার পেশা। তার বাবা যুবলীগ নেতা হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারতো না, বিচার দিয়ে বিচার পেত না। ৫ আগষ্টের পর তার বাবা পালিয়েছে বিদেশে। কিন্তু শান্ত অপরাধ কর্মে হয়েছে বেপরোয়া।

জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে হত্যার মিশনে সরাসরি অংশ নিয়েছিল শান্ত বাহিনী। এই বাহিনীর অনেকেই এখন জুলাই হত্যা মামলার আসামি। হত্যা মামলায় শান্ত গ্রেফতার হলেও সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হাজিরা ও মামলা পরিচালনার টাকা জোগাড় করতে চুরি, ছিনতাই, ফিটিংয়ে আগের চেয়েও বেপরোয়া। যদিও এসব কর্মকাণ্ড আগে থেকেই নিয়মিত করতো। এছাড়া শান্ত নাখালপাড়া এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি। বর্তমানে গ্রেফতার থেকে বাঁচতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করছে।

আরো পড়ুনঃ https://thecrimebd.net/?p=95668

উত্তরার মাদক ও নারী ব্যবসার সর্বেসর্বা জুয়েলের খুঁটির জোর কোথায়?

শান্ত বাহিনীকে প্রতিদিন পশ্চিম নাখালপাড়ায় রেললাইনের পাশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলারের গোঁড়ায় দলবেঁধে বসে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করতে দেখা যায়। গাঁজার আসরে বসেই তারা নতুন নতুন অপরাধের পরিকল্পনা করে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নাখালপাড়ার পাগলার পুল নামক জায়গায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাছ থেকেও ছিনতাই করে। প্রায়ই তারা আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে প্রতিপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।

জানা গেছে, শান্ত গ্যাং এর গ্যাংয়ের সদস্যরা চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক পরিবহন, খুন, ধর্ষণ, হাঙ্গামা, বিভিন্ন দোকানে ফাও খাওয়া, মাদক সেবন, যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধে জড়িত। গ্যাংয়ের বেশিরভাগ সদস্যই বখে যাওয়া কিশোর ও তরুণ, যাদের অনেকেই স্কুলের গণ্ডি পার হতে পারেনি। হেন কোন অপরাধ নেই যা তারা করে না। বয়স দেখলে বুঝার কোনও উপায় নেই, এদের সংঘটিত অপরাধ কী ভয়ঙ্কর হতে পারে।

তাদের অত্যাচারের অতিষ্ঠ এলাকার সাধারণ মানুষ। এদের নির্যাতনের শিকার হলেও ভয়ে অনেকে প্রতিবাদ করতে সাহস করেন না।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তাদের অপকর্ম চলমান আছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্রয়ে মূলত নিম্নবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানদের নিয়ে গড়ে উঠেছে এ সব গ্যাং। রয়েছে প্রভাবশালীদের বখে যাওয়া কিশোর সন্তান।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, তেজগাঁওয়ে কোনো কিশোর গ্যাং থাকবে না। গ্যাং কালচার দমনে অভিযান চলমান। কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।