অনুসন্ধানী প্রতিবেদন———
*সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিকসহ ২জনের নামে দিয়েছেন মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা
*এলএ শাখায় ভুয়া আবেদন ও চাপ সৃষ্টি
*পুলিশ সুপারের কাছে নালিশ
আনোয়ারা প্রতিনিধি: পত্রিকায় সংবাদ জমি জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর এক প্রকার বেচামাল হয়ে পড়েছেন দুর্নীতির ভরপুত্র নামে খ্যাত যুবলীগ ক্যাডার সাদ্দাম হোসেন। আছেন পুলিশি ধাওয়ার মুখেও। একই সাথে সিন্ডিকেট লোকজনও। তারপরও থেমে নেই হুমকি ধমকি নানা অপকর্ম। ৬০লক্ষ টাকা আত্মসাত করার জন্য এরই মধ্যে দিয়েছেন জমির আসল মালিক সাংবাদিকসহ ২জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা। এজন্য পুলিশ সুপার মহোদয়কে বিষয়টি অভিযোগে জানানো হয়। তিনি অভিযোগের বিষয়ে শুনে সংশ্লিষ্ট থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
তারা আগেও দিয়েছেন ধর্ষণ চেষ্টাসহ একাধিক মিথ্যা মামলা। প্রতিপক্ষকে গায়েল ও আপোষে আনতে এবং জমি দখলের মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর চাঁদাবাজির এই মামলা দেয়া হয়। মামলার বাদী হয় কুখ্যাত ভুমিদস্যু নিষিদ্ধ আওয়ামী যুবলীগ ক্যাডার ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন। মামলায় হুমকি ও ২০লাখ টাকার মিথ্যা চাঁদাদাবীর অভিযোগ আনে সাদ্দাম হোসেন। তবে আদালত চাঁদাদাবীর অভিযোগ আমলে নেয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা গেছে। এতে চরমভাবে হতাশ হয় সাদ্দাম সিন্ডিকেট। গত জুন মাসের ২ তারিখে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ও তথ্য গোপন করে শুধুমাত্র ইউপি সদস্যের দোহায় দিয়ে সাদ্দাম এই মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেন। যার সিআর মামলা নং ৩৭১/২৫ইং। আদালত তার এই মামলাটি তদন্ত করার জন্য জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মামলায় সাংবাদিক আহমদ কবির ভাতিজা মফিজ উদ্দীনকে আসামী করা হয়। মামলাটি করার আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ তার অংগ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যার বাড়িতে জড়ো হয় এবং দফায় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সাংবাদিক আহমদ কবির ও দানা মিয়ার পরিবারের অপরাপর সদস্যদের যেভাবে হোক দেশ ছাড়া করতে জমিবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হবে। ক্ষতিপুরণের টাকাও তুলে নেয়া হবে। পথে বসিয়ে দেয়া হবে। হাতে ভিক্ষার ঝুলি তুলে দেয়া হবে। এসব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমে মিথ্যা চাঁদাবাজির এই মামলাটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগি মফিজ উদ্দীন আহমদ ও এলাকার নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র। মামলার ক্ষেত্রেও সাদ্দাম হোসেন চতুরতার ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। দেখিয়েছেন আনোয়ারা থানার পরিবর্তে চন্দনাইশ থানার নাম। জেলা গোয়েন্দা সংস্থার রেজিষ্ট্রার খাতায়ও তা লিখা আছে। গত ৮/৭/২৫ইং তারিখে বিবাদী পক্ষ মামলার বিষয়টি জানার পর দ্রুত আদালতে গিয়ে মামলার কপিটি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। মামলাটি দায়েরে মুখ্য ভুমিকা পালন করতে দেখা গেছে, আলোচিত বিচারকের রায় ডিক্রি ও দলিল জালিয়াতিতে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট এই তেইন্যা পুত্র ফোরকানকে। মামলায় বাদীর অনুগত ও তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্য স্থানীয় চার যুবলীগ ক্যাডারকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। যা এলাকায় চাঞ্চল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
৩০ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির মামলা সাদ্দামের বিরুদ্ধেঃ
৫ কোটি টাকার জমিভিটি দখল করতে ব্যর্থ হয়ে চলতি বছরের জুন মাসের ২তারিখে সাদ্দাম হোসেন চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর- ৩৭১/২৫ইং মামলা দায়ের করে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ জমি দখলে নিতে ২০ লক্ষ টাকার চাঁদাদাবীর অভিযোগ আনা হয়। এই মিথ্যা ও ভূয়া মামলা দায়ের করায় সাদ্দাম হোসেন ও তার দলবলের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবরে স্ববিস্তারে বর্ণানা করে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। পরে দেয়া হয় আনোয়ারা থানায় একটি মামলা। মামলায় জমি দখল চেষ্টা ও ৩০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ আনা হয়। যা ইতোমধ্যে মামলার স্বপক্ষে থানা পুরিশের কাছে সাক্ষ্য দেয়া হয়।
সুত্র জানান, এলএ শাখা থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাদ্দামের মামলার সাক্ষী নবীকে পিটুনি দিয়েছে এলাকার লোকজন। পরে তার বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয় বলে জানা গেছে। সাদ্দাম হোসেন, নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা এলাকায় মানুষের কাছে প্রতারক চাঁদাবাজ মামলাবাজ ভুমিদস্যু সন্ত্রাসী ও ঘৃণারপাত্র হিসেবে পরিচিত।
দু’জনই দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কবির হোসেন সিদ্দিকীকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে হুমকি দিয়েছেন।
ভুক্তভোগি কফিল উদ্দীন অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে আমার চাচা মরহুম আবদুল হামিদ ও নিজেদের রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ লক্ষ টাকার গাছ কেটে লুট করে নিয়ে গেছেন সাদ্দাম হোসেন ও তার ক্যাডার বাহিনী। তখন আমরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারেনি। ছিলাম নিরুপায়। উল্টো প্রাণনাষের হুমকি দিয়ে আমাকে বাধ্য করা হয় চাঁদা দিতে।
আরেক ভুক্তভোগি মফিজ উদ্দীন অভিযোগ করে বলেছেন, সাদ্দাম হোসেন শুধু যুবলীগ ক্যাডার নয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু হয়। সে রাতের ভোট ডাকাতিতেও জড়িত। তার আবার কিসের মানহানি ও চাঁদাদাবীর অভিযোগ। মুলত এই সাদ্দাম হোসেন ইউপি সদস্যের দোহায় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। সাধারণ মানুষের জমিজমা ভিটিবাড়ি দখল করার জন্য চাঁদাবাজি করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ করেন মফিজ উদ্দীন আহমদ।
সুত্র জানান, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে ভোটারবিহীন নির্বাচনে দু’বার ইউপি সদস্য হন যুবলীগ ক্যাডার সাদ্দাম হোসেন। আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার হওয়ার সুবাধে তিনি যেন আলা দ্বীনের চেরাগ পেয়ে দ্রুত স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠে। স্বপ্ন দেখতে থাকেন কোটিপতি হওয়ার। দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি নানা অপকর্মসহ অন্যের জমি জমা ভিটি বাড়ি ভুয়া রেজিঃ নামে দখলে মত্ত হয়ে উঠে এই সাদ্দাম সিন্ডিকেট। জিম্মি করে ফেলা হয় পুরো এলাকা। এলএ শাখায়ও দালালি শুরু করেন তিনি। এখনও করে যাচ্ছেন। দালালি ও তথ্য গোপন করে হাতিয়ে নেয় সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা। দানা মিয়ার পরিবারের চায়না অর্থনৈতিক জোনের অধিগ্রহণকৃত জমির বেলচুড়া মৌজার ১৪৮৮, ১৪৮৭ দাগসহ অন্যান্য দাগের প্রায় সাড়ে ১৭লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণের টাকা আত্মসাত করেন এই সাদ্দাম হোসেন। পাড়ালিয়া সৈয়দ নুর, আবু সৈয়দ ও আবুল কালামকেও সহযেগিতা করেন ১৪৮৭ ও ১৪৮৮ দাগের টাকা লুট ও আত্মসাতে। এজন্য চট্টগ্রাম এলএ শাখায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। বেলচুড়া মৌজার ১৩০১ দাগের ক্ষতিপুরনের (গ্যাস) টাকা সৈয়দ নুরকে দিয়ে অপরাপর দাগের ক্ষতিপুরণের টাকা নিজেরা আত্মসাত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সাদ্দাম হোসেন,অভিযোগ জমির মালিক সামজাত এর।
অভিযোগ রয়েছে, রোপিয়া বেগমকে জমির মালিক সাজিয়ে ছেলে সালমান উদ্দীন রিমনকে (যুবলীগ ক্যাডার) সামনে রেখে (বশে) সাদ্দাম হোসেন বিশাল অংকের এই টাকা আত্মসাত করেন।
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে স্থানীয়রা জানান, সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পর ২০২৩ সালের দিকে জমির আরেক ভুয়া দাবীদার টাউট নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ চট্টগ্রাম এ একটি সিআর-১৪৮০/২৩ইং মামলা দায়ের করেন। যার তারিখ ছিল ১০/৭/২৩ইং। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। মামলায় আসামী করা হয় সাদ্দাম হোসেন, রোপিয়া বেগম ছেলে মোঃ সালমান উদ্দীন রিমন ও এলএ শাখার সার্ভেয়ার বদরুজ্জামানকে। জারিজুরি ফাঁস হওয়ার ভয়ে তদন্তের মাঝপথে মামলার বাদী নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা হুট করে ৮/১১/২৩ইং তারিখে মামলাটি সমঝোতার মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেয়। আরেক আর-৮৮৫/২৩ইং মামলাটি পিবিআই ১২/১১/২৩ইং তারিখে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। এই মামলারও বাদী হয় টাউট নুরুল ইসলাম। আসামী করা হয় সাংবাদিক আহমদ কবিরসহ পরিবারের অপরাপর সদস্য এবং এলএ শাখার সার্ভেয়ার বদরুজ্জামানকে।
এই মামলায় তেইন্যা আদালতে না-রাজির পিটিশন দাখিল করেন। আসামী হয়ে পুলিশের কাছে তখন মিথ্যা সাক্ষ্য দেন সার্ভেয়ার বদরুজ্জামানও। তার না-রাজির আবেদন শুনানীর পর ২০২৪ সালে ৩ জানুয়ারী খারিজ করে দিয়ে আসামীদের নির্দোষ হিসেবে খালাস প্রদান করেন আদালত। ক্ষনিকের শক্র পরে পরম বন্ধু হয়ে দুই টাউট অনেক চেষ্টা তদবির করেন দানা মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অভিযুক্ত করার জন্য। দু’জনে মিলে আরেক ভুক্তভোগি আবদুল হাকিম ওরফে বাশিকেও ট্যাপে ফেলে পাওয়ার এর নামে ক্ষতিপুরণের টাকা আত্মসাত করা হয়। বাড়ি ভিটি থেকেও উচ্ছেদের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এঘটনায় সাদ্দাম হোসেনকে জেলহাজতে যেতে হয়। টাউট তেইন্যা তার ছেলেরাও বারবার জেলহাজতে গিয়েছেন। সর্বশেষ ঠান্ডা মাথার এই সন্ত্রাসী ধূর্ত সাদ্দামের হেনস্থা ও মামলা হামলার শিকার হন মরহুম দানা মিয়ার সন্তান ও নাতিরা। তেইন্যাকে নিয়ে এই সাদ্দাম হোসেন দলের ক্ষমতা দেখিয়ে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাংবাদিক আহমদ কবিরসহ দানা মিয়ার পরিবারকে ধর্ষণ চেষ্টাসহ এক ডজনেরও অধিক মিথ্যা মামলা দেয় হয়।
সুত্র আরো জানায়, টাউট তেইন্যা নবী হোসেনসহ অন্যান্যদের সাথে নিয়ে সাদ্দাম হোসেন শাহাব উদ্দীন আহমদ আবদুল হামিদের এতিম ছেলে মেয়েদের ক্ষতিপুরনের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাত করেন। সর্বশেষ তারা সিন্ডিকেট করে বৈরাগ মৌজার ১৯৮৫,১৯৯০ বেলচুড়া মৌজার ২৫৯, ২৬০, ৩৩৫ দাগের অধিগ্রহণের ক্ষতিপুরনের টাকা আত্মসাত করার জন্য দু’টি ভুয়া পাওয়ার তৈরী করেন। যার নং-৫৩৩৯/২৪ইং ও ২৬৪১/২৪ইং,তাং-১১/৬/২৪ ও ১৫/১২/২৪ই। এই দুই পাওয়ার অব এটর্ণী দলিলের দাতা হচ্ছে নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা বোন লায়লা বেগম ও রুপিয়া বেগম। বিক্রির ২৭/৩০বছর পর তারা আবার সাদ্দাম হোসেনকে এসব জমি রেজিষ্ট্রি দেয়। সাদ্দাম এই দুই পাওয়ার অব এটর্ণী দলিলের অনুবলে দ্রুত এলএ শাখায় টাকা পেতে আবেদন করেন। এজন্য এলএ শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এছাড়া উক্ত দুই ভূয়া পাওয়ারে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মনসুর চৌধুরীগং, নুরুল আলম বিএসসি, মরহুম বদিউল আলমগং, মরহুম গিয়াস উদ্দীন, মোঃ হুমায়উন, আবদুল আজিজ ও সাংবাদিক আহমদ কবির এর ভিটি বাড়ি জমির দাগও অন্যায়ভাবে বসানো হয়। এসব সম্পত্তির মধ্যে বেশকিছু জমি এলএ কর্তৃক অধিগ্রহণ করা হয়।
গত ২১ মে তারিখে দৈনিক সাঙ্গু পত্রিকায় জমি জালিয়াতি টাকা আত্মসাতের হোতা, বেপরোয়া যুবলীগ ক্যাডার সাদ্দাম, নাগাল পাচ্ছেনা আইন শৃংখলাবাহিনী, ভুয়া দলিলে চাপ সৃষ্টি এলএ শাখায়, জালিয়াতির মুলহোতা সাদ্দাম ও নুরুল ইসলাম শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদে সাদ্দাম তেইন্যার আসল চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বড় ধরনের এই জালিয়াতি থেকে সাদ্দাম হোসেন, নুরুল ইসলাম প্রকাশ টাউট তেইন্যা সিন্ডিকেট বাঁচার জন্য পথ খুঁজছে। এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে বলে জানিয়েছেন নুরুল আলম বিএসসি ও মফিজ উদ্দীন আহমদ।
পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত
চট্টগ্রাম ষোলশহর ২নং গেটস্থ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হাজির হয়ে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্ত’র সাথে দেখা করেছেন সাংবাদিক আহমদ কবির, মফিজ উদ্দীন আহমদসহ পরিবারের অপরাপর সদস্যরা। এসময় তারা পুলিশ সুপারের হাতে অভিযোগের কপিটি তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি), ওসি ডিবি ও মামলার তদন্তকারী অফিসার জাহেদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সাক্ষাতে সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সাদ্দাম হোসেন টাউট তেইন্যাসহ সিন্ডিকেটের নানা অপরাধ ও কর্মকান্ড এবং অতীতে ঘটে যাওয়া লোমহর্ষক ঘটনাসমুহ বিশদভাবে তুলে ধরা হয়। নেতৃবৃন্দ ধৈয্য সহকারে সব বিষয় শুনে ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মফিজ উদ্দীন আহমদ।
এদিকে সাদ্দাম বাহিনীকে প্রতিরোধ আর যেকোন প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হয়ে আছেন ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় দানা মিয়ার পরিবার, জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।