সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : সাতকানিয়ায় ফেসবুক লাইভে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলাকে কেন্দ্র করে একদল দুর্বৃত্ত আওয়ামীলীগ সমর্থক এক যুবককে বাড়ির সামনে থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে তুলে নিয়ে বুক, উরু ও পায়ের গোলায় (থোড়) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত এবং ছুরি দিয়ে গলার পেছনে রগ কাটা ও চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ চরতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত যুবক মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৯) উল্লিখিত এলাকার আলী চাঁদের বাড়ির মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে। দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর ট্রিটমেন্ট নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি সেখানের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পারিবার সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে মো.সাইমন জানান, তার বাবা কয়েকদিন আগে ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলেন। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত মোবাইলে ফোন করে হুমকি-ধমকি ও জানে মেরে ফেলার ভয় দেখায় তার বাবাকে। এর জের ধরে সোমবার রাতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ১০-১২ জনের মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত কিছু বুঝে উঠার আগেই দেলোয়ারকে বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে আগে থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অটো রিক্সা যোগে তুলে নিয়ে দক্ষিণ চরতির পার্শ্ববর্তী আমিলাইশ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের মসজিদ এলাকায় নিয়ে যায়। পরে মৃত ভেবে সড়কে ফেলে কাঞ্চনা ইউনিয়নের দিকে অটো রিক্সাযোগে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আঘাতের প্রথম দিকে আরও কয়েকটি অটোরিকশা নিয়ে আরও ১০-১২ দুর্বৃত্ত সড়কে দাঁড়িয়েছিল। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা দেলোয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভর্তি করায়।আজ মঙ্গলবার ভোরে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ট্রিটমেন্ট এ আইসিইউ’তে ভর্তি করানো হয়।

সাইমন জানান, তার বাবার বুকে চারটি, উরু ও পায়ের গোলায় (থোড়) ১০-১২টি ছুরিকাঘাত এবং গলার রগ কাটা ও চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। বর্তমানে তার বাবা আইসিউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, তার বাবা বাঁচবে কিনা এখনও নিশ্চিত নয়।

সাইমন আরও জানান, তিনি নগরীর কালুরঘাট এলাকার একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করেন। তার বাবা মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ সমর্থক। তারা তিন ভাই ও এক বোন। বাবার এখন যা অবস্থা বুঝছি চিকিৎসা খরচ কিভাবে চলবে। আমি এখন চোখে অন্ধকার দেখছি।

এ প্রতিবেদকের হাতে আসা ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে ওই যুবককে বলতে দেখা যায়, আমি দেখতেছি প্রধানমন্ত্রীর হাসিনা যতটুকু এখানে উন্নয়ন করেছে এই পৃথিবীতে মনে হয় কেউ করতে পারে নাই। আমি দু’টি বিয়ে করেছি। আরও একটি বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিব। সে শুধু আওয়ামী লীগ শব্দটা যেন বলে, নারী ও পুরুষ যাই হোক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে আমাদেরকে যে হয়রানীগুলো করতেছে এগুলো জীবন ভর আমাদের মনে থাকবে। আমাদের নেতা ইনশাল্লাহ চলে আসতেছে, ঢুকে গেছে। আপনারা নেতা-কেতা যেগুলো সাতকানিয়া আছেন তারা প্রস্তুত হয়ে যান, ঠিক আছে ? আমাদের নেত্রী ইনশাল্লাহ আসবেই, আসবে। আপনারা শুধু আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমাদের যেগুলো করছে সেগুলো মনে আছে ,মনে রেখে দিব। যাক, আমরা তাদেরকে দোয়া করি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোস্তফা কামাল খান বলেন, কয়েকদিন আগে দেলোয়ার হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলাই কে বা কারা দেলোয়ারকে ছুরিকাঘাত করেছে। তিনি বর্তমানে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সুকান্ত বিকাশ ধর, সাতকানিয়া : সাতকানিয়ায় ফেসবুক লাইভে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলাকে কেন্দ্র করে একদল দুর্বৃত্ত আওয়ামীলীগ সমর্থক এক যুবককে বাড়ির সামনে থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে তুলে নিয়ে বুক, উরু ও পায়ের গোলায় (থোড়) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত এবং ছুরি দিয়ে গলার পেছনে রগ কাটা ও চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ চরতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত যুবক মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৯) উল্লিখিত এলাকার আলী চাঁদের বাড়ির মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে। দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর)ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর ট্রিটমেন্ট নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি সেখানের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পারিবার সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে মো.সাইমন জানান, তার বাবা কয়েকদিন আগে ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলেন। এরপর কিছু দুর্বৃত্ত মোবাইলে ফোন করে হুমকি-ধমকি ও জানে মেরে ফেলার ভয় দেখায় তার বাবাকে। এর জের ধরে সোমবার রাতে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ১০-১২ জনের মুখোশ পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত কিছু বুঝে উঠার আগেই দেলোয়ারকে বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে আগে থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অটো রিক্সা যোগে তুলে নিয়ে দক্ষিণ চরতির পার্শ্ববর্তী আমিলাইশ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝের মসজিদ এলাকায় নিয়ে যায়। পরে মৃত ভেবে সড়কে ফেলে কাঞ্চনা ইউনিয়নের দিকে অটো রিক্সাযোগে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আঘাতের প্রথম দিকে আরও কয়েকটি অটোরিকশা নিয়ে আরও ১০-১২ দুর্বৃত্ত সড়কে দাঁড়িয়েছিল। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা দেলোয়ারকে উদ্ধার করে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ভর্তি করায়।আজ মঙ্গলবার ভোরে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি হাসপাতাল ট্রিটমেন্ট এ আইসিইউ’তে ভর্তি করানো হয়।

সাইমন জানান, তার বাবার বুকে চারটি, উরু ও পায়ের গোলায় (থোড়) ১০-১২টি ছুরিকাঘাত এবং গলার রগ কাটা ও চোখ নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। বর্তমানে তার বাবা আইসিউতে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, তার বাবা বাঁচবে কিনা এখনও নিশ্চিত নয়।

সাইমন আরও জানান, তিনি নগরীর কালুরঘাট এলাকার একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করেন। তার বাবা মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ সমর্থক। তারা তিন ভাই ও এক বোন। বাবার এখন যা অবস্থা বুঝছি চিকিৎসা খরচ কিভাবে চলবে। আমি এখন চোখে অন্ধকার দেখছি।

এ প্রতিবেদকের হাতে আসা ফেসবুক লাইভ ভিডিওতে ওই যুবককে বলতে দেখা যায়, আমি দেখতেছি প্রধানমন্ত্রীর হাসিনা যতটুকু এখানে উন্নয়ন করেছে এই পৃথিবীতে মনে হয় কেউ করতে পারে নাই। আমি দু’টি বিয়ে করেছি। আরও একটি বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিব। সে শুধু আওয়ামী লীগ শব্দটা যেন বলে, নারী ও পুরুষ যাই হোক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে আমাদেরকে যে হয়রানীগুলো করতেছে এগুলো জীবন ভর আমাদের মনে থাকবে। আমাদের নেতা ইনশাল্লাহ চলে আসতেছে, ঢুকে গেছে। আপনারা নেতা-কেতা যেগুলো সাতকানিয়া আছেন তারা প্রস্তুত হয়ে যান, ঠিক আছে ? আমাদের নেত্রী ইনশাল্লাহ আসবেই, আসবে। আপনারা শুধু আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমাদের যেগুলো করছে সেগুলো মনে আছে ,মনে রেখে দিব। যাক, আমরা তাদেরকে দোয়া করি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মোস্তফা কামাল খান বলেন, কয়েকদিন আগে দেলোয়ার হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলাই কে বা কারা দেলোয়ারকে ছুরিকাঘাত করেছে। তিনি বর্তমানে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।