চকরিয়া অফিস : কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে নতুন সংযোজন বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ মে) বিকেলে বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের সভাপতি, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তাহরিকে খাতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি সাইয়্যেদ ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক আজহারী, কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রহমত সালাম, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসা ও কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, ইসলাম সর্বকালের সর্বযুগের মানুষের জন্য উপযোগী একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হবে তার বিধান এ ব্যবস্থায় বর্তমান থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষ এমন অনেক বিষয়ের সম্মুখীন হয়, যার কোন বিধান সরাসরি এতে পাওয়া যায়না না। নবুওয়ত ও রিসালাতের ধারা সমাপ্ত হওয়ায় ওহীর মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

তবে ওহী-ভিত্তিক এমন পদ্ধতি অবশিষ্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রত্যেক যুগের যে কোন নতুন বিষয়ের সমাধান সম্ভব। পৃথিবীর প্রতিটি কাজেরই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি থাকে। একইভাবে ওহী-ভিত্তিক উক্ত পদ্ধতির আলোকে সা¤প্রতিক বিষয়ের ইসলামী বিধান উদ্ভাবনেরও নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। যার উপর ভিত্তি করে গবেষকদের কাঙ্খিত বিধান নির্ণয়ের পথে চলতে হয়। এরকম সমসাময়িক বিষয়ের উপর ইসলামী বিধান উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) এর সাহাবী ও তাবেঈগণ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতেন। তাদের অনুসৃত সে পদ্ধতির আলোকে সমকালীন সমস্যার সমাধানের পথনির্দেশ নিয়ে আলোচনা করাই ইসলামী গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

বক্তাগণ আরও বলেন, উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার আল্লামা শাহ মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ.) আশির দশকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফে ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে তদানীন্তন দেশের বিদগ্ধ আলেম-ওলামা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা প্রফেসর ও ইসলামী স্কলারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতেন।

তিনি প্রচলিত পীর প্রথায় সংস্কার সাধন করে নবধারা সৃষ্টি করেছিলেন। আধ্যাত্মিকতাকে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সেবামূলক বহুমুখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে তদীয় পুত্র রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। অতি স¤প্রতি ঢাকা বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে উদ্বোধন করা হয়েছে ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

চকরিয়া অফিস : কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে নতুন সংযোজন বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ মে) বিকেলে বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের সভাপতি, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তাহরিকে খাতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুফতি সাইয়্যেদ ড. মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক মাস্টার সিরাজুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার বায়তুশ শরফ ইসলামী গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হক আজহারী, কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রহমত সালাম, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসা ও কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক উপাধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ মুহাম্মদ সলিমুল্লাহ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, ইসলাম সর্বকালের সর্বযুগের মানুষের জন্য উপযোগী একমাত্র জীবন ব্যবস্থা। কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মানুষ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যেসব বিষয়ের মুখোমুখি হবে তার বিধান এ ব্যবস্থায় বর্তমান থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মানুষ এমন অনেক বিষয়ের সম্মুখীন হয়, যার কোন বিধান সরাসরি এতে পাওয়া যায়না না। নবুওয়ত ও রিসালাতের ধারা সমাপ্ত হওয়ায় ওহীর মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

তবে ওহী-ভিত্তিক এমন পদ্ধতি অবশিষ্ট রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রত্যেক যুগের যে কোন নতুন বিষয়ের সমাধান সম্ভব। পৃথিবীর প্রতিটি কাজেরই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি থাকে। একইভাবে ওহী-ভিত্তিক উক্ত পদ্ধতির আলোকে সা¤প্রতিক বিষয়ের ইসলামী বিধান উদ্ভাবনেরও নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। যার উপর ভিত্তি করে গবেষকদের কাঙ্খিত বিধান নির্ণয়ের পথে চলতে হয়। এরকম সমসাময়িক বিষয়ের উপর ইসলামী বিধান উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) এর সাহাবী ও তাবেঈগণ বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতেন। তাদের অনুসৃত সে পদ্ধতির আলোকে সমকালীন সমস্যার সমাধানের পথনির্দেশ নিয়ে আলোচনা করাই ইসলামী গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

বক্তাগণ আরও বলেন, উপরোক্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই বায়তুশ শরফের প্রধান রূপকার আল্লামা শাহ মুহাম্মদ আবদুল জব্বার (রাহ.) আশির দশকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় বায়তুশ শরফে ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে তদানীন্তন দেশের বিদগ্ধ আলেম-ওলামা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা প্রফেসর ও ইসলামী স্কলারদের আমন্ত্রণ জানিয়ে সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করতেন।

তিনি প্রচলিত পীর প্রথায় সংস্কার সাধন করে নবধারা সৃষ্টি করেছিলেন। আধ্যাত্মিকতাকে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সেবামূলক বহুমুখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাঁরই পদাঙ্ক অনুসরণ করে তদীয় পুত্র রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। অতি স¤প্রতি ঢাকা বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সে উদ্বোধন করা হয়েছে ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান।