ঢাকা ব্যুরো: একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করায় দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। এরই মধ্যে একদল কেন্দ্রিক ডামি নির্বাচন করে স্বৈরাচার সরকার তার নতুন লাইসেন্স নবায়ন করার উদ্দেশ্যে দলীয় প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী বিভিন্ন নামে বেনামে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের ভেতরে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রশ্নে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কলহ করে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি তাজা প্রাণ হারিয়েছে, অসংখ্য মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারী) সকাল সাড় ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে গণপরিষদ আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিরোধীদলকে দমনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলখানায় আবদ্ধ রেখেছে। বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে। অনেককে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন সাধারণ জনগণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনগণ এখন নিজ দেশে প্রবাসীর জীবন যাপন করছে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। সারাদেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ আতঙ্কিত ৭ তারিখে যদি এই প্রহসনের ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে কত মানুষ প্রাণ হারাবে, কত মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমরা লক্ষ্য করেছি যারা দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত, যেই প্রতিরক্ষা বাহিনী জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন হয়, পরিবার-পরিজন চলে তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এই অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন বলেন, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা এই অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে নয় জনগণের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। আপনাদের মনে রাখতে হবে এই দেশ ও দেশের জনগণ কোন পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের তাবেদারি সরকার অধীনে থাকতে চায় না। তারা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাসী। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের এই আন্দোলনকে আপনারা সহযোগিতা করুন অন্যথায় জনগণ আপনাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করবে। এটি রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এই দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের জনগণকে বাঁচাতে হবে। ইতিমধ্যেই অবৈধ স্বৈরাচার সরকার দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা করেছে। বিষয়টি আপনাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে তিনি কি বলতে চেয়েছেন। সর্বশেষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল রাজপথের কর্মী ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী ৭ই জানুয়ারি প্রহসনের ডামি নির্বাচন বর্জন করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসমত কাইয়ুম, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন, গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, গণফোরাম নেতা রফিকুল ইসলাম প্রতীক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা ব্যুরো: একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করায় দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। এরই মধ্যে একদল কেন্দ্রিক ডামি নির্বাচন করে স্বৈরাচার সরকার তার নতুন লাইসেন্স নবায়ন করার উদ্দেশ্যে দলীয় প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ডামি প্রার্থী বিভিন্ন নামে বেনামে প্রার্থী দিয়ে নিজেদের ভেতরে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রশ্নে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কলহ করে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি তাজা প্রাণ হারিয়েছে, অসংখ্য মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারী) সকাল সাড় ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে গণপরিষদ আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি দিনকে দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিরোধীদলকে দমনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে জেলখানায় আবদ্ধ রেখেছে। বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জেলখানায় মৃত্যুবরণ করেছে। অনেককে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন সাধারণ জনগণের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। জনগণ এখন নিজ দেশে প্রবাসীর জীবন যাপন করছে। মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। সারাদেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জনগণ আতঙ্কিত ৭ তারিখে যদি এই প্রহসনের ডামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে কত মানুষ প্রাণ হারাবে, কত মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমরা লক্ষ্য করেছি যারা দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত, যেই প্রতিরক্ষা বাহিনী জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন হয়, পরিবার-পরিজন চলে তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এই অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন বলেন, আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই আপনারা এই অবৈধ স্বৈরাচার সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে নয় জনগণের অধিকার রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করুন। আপনাদের মনে রাখতে হবে এই দেশ ও দেশের জনগণ কোন পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের তাবেদারি সরকার অধীনে থাকতে চায় না। তারা স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাসী। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণের এই আন্দোলনকে আপনারা সহযোগিতা করুন অন্যথায় জনগণ আপনাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করবে। এটি রাষ্ট্রের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। এই দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের জনগণকে বাঁচাতে হবে। ইতিমধ্যেই অবৈধ স্বৈরাচার সরকার দেশে দুর্ভিক্ষ হওয়ার আশঙ্কা করেছে। বিষয়টি আপনাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে তিনি কি বলতে চেয়েছেন। সর্বশেষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সকল রাজপথের কর্মী ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী ৭ই জানুয়ারি প্রহসনের ডামি নির্বাচন বর্জন করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসমত কাইয়ুম, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন, গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোমেন, শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, গণফোরাম নেতা রফিকুল ইসলাম প্রতীক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।