মিজবাউল হক, চকরিয়া : কক্সবাজারের চকরিয়ায় আবারও কল্যাণ পার্টির নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় পাহারাদারকে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে জখম ও আসবাবপত্র ভাংচুরও করা হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে এটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়ানোর দ্বিতীয় ঘটনা। কক্সবাজার-১ আসনে নির্বাচনী সহিংসতা বাড়তে থাকায় হচ্ছে মামলা, বাড়ছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা।
আজ মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের পুচ্ছালিয়া পাড়ায় হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়ানো, ভাংচুর, পাহারাদারকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ভুঁইয়া রিপন।
তিনি বলেন, সোমবার ভোররাতে কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিএমচরে মঙ্গলবার ভোরে আরও একটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পের পাহারাদার আবু সালেক (৫০) কে পিটিয়ে আহত ও রশি দিয়ে বেঁধে পাশেই ফেলে রাখে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, এ দুই উপজেলার জনগণ হাতঘড়িতে ভোট দিতে এখন প্রস্তুত। ইতোমধ্যে পাড়া পাড়ায় হাতঘড়ির পক্ষে নারী-পুরুষের গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। তারা পাঁচটি বছর সেবার নামে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের বিজয় ঠিকাতে প্রতিপক্ষ নির্বাচনীর কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের মনে ভিতি সৃষ্টি করতে চায়। আগামী ৭ জানুয়ারি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে হাতঘড়ির পক্ষে রায় দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকালে মাতামুহুরি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি ঘটনাটি জানালে আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামানসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি আরও বলেন, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়ানোর ঘটনায় মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভোরে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
কল্যাণ পার্টির দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ভুঁইয়া রিপন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১৮-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে এজাহার দিলে সেটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়। এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ওরফে মক্কী ইকবালকে।
তিনি আরও বলেন, ৩১ ডিসেম্বর র্যাব-১৫ এর একটি টিমের উপর হামলার ঘটনায় ওয়ারেন্ট অফিসার আজমত আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে। এজাহার নামীয় ২ জন-নাসির উদ্দিন ছুট্টু ও হিরোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি মামলাসহ সর্বশেষ বিএমচরে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের কয়েকটি দল।



