সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাঁধ ভেঙে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের এরালিয়াকোনা হাওরের ৪ হাজার একর জমির বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে এরালিয়া কোনা হাওরের ফল্লিয়ার দাইর আপর বাঁধ (স্থায়ীবাঁধ) ভেঙে গিয়ে হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে গেছে।

প্রধান শিক্ষক সানজু মিয়া জানান, এরালিয়াকোনা হাওরে টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের তেরঘর রতনপুর, কান্দাপাড়া, বিনোদপুর ও মইয়্যাজুড়ি গ্রামের কৃষকরা এই হাওর ধান চাষ করেন।

এলারিয়াকোনা হাওরের সঙ্গে সন্ন্যাসী ও মিথ্যার ডোবার ধানও একই সময়ে পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

তেরঘর রতনপুর গ্রামের ইছব আলী বলেন, তিনি এরালিয়া কোনা হাওরে ১২ বিগা (৩০ শতকে এক বিগা) জমি চাষাবাদ করেছিলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চোখের সামনেই কাঁচা ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

একই গ্রামের গোলাপনুর বলেন, মহাজনী সুদে ঋণ নিয়ে তিনি এরালিয়াকোনা হাওরে ১৮ কিয়ার জমি রোপন করেছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাওরপাড়ে গিয়ে দেখেন তার জমি পুরোটাই পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

মইয়্যাজুরি গ্রামের কৃষক নুরুল হক বলেন, এরালিয়াকোনা হাওরটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাবহির্ভূত। প্রতি বছরই তারা ধান রোপণ করে নিজেদের উদ্যোগ ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় হাওরের ছোট ছোট বাঁধগুলো মেরামত করে থাকেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তারা বাঁধ মেরামতের কাজ করে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বাঁধটিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার চার গ্রামের নারীপুরুষ মিলে তারা হাওরে কাজ করেছিলেন। পাটলাই নদীর পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার সকালেই হাওরটি পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, গত ১০ দিন ধরে এরালিয়াকোনা হাওরটির বাঁধ রক্ষা করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছিলাম। আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছি এ বাঁধটিতে। তাছাড়াও হাওর এলাকার চারটি গ্রামের মানুষও দিনরাত স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনলাম হাওরটি পারি নীচে তলিয়ে গেছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর বলেন, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে হাওরটির বাঁধ ভেঙে পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের লোকজন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাঁধ ভেঙে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের এরালিয়াকোনা হাওরের ৪ হাজার একর জমির বোরো ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

শনিবার (৯ এপ্রিল) সকালে এরালিয়া কোনা হাওরের ফল্লিয়ার দাইর আপর বাঁধ (স্থায়ীবাঁধ) ভেঙে গিয়ে হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে গেছে।

প্রধান শিক্ষক সানজু মিয়া জানান, এরালিয়াকোনা হাওরে টাঙ্গুয়ার হাওরপাড়ের তেরঘর রতনপুর, কান্দাপাড়া, বিনোদপুর ও মইয়্যাজুড়ি গ্রামের কৃষকরা এই হাওর ধান চাষ করেন।

এলারিয়াকোনা হাওরের সঙ্গে সন্ন্যাসী ও মিথ্যার ডোবার ধানও একই সময়ে পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

তেরঘর রতনপুর গ্রামের ইছব আলী বলেন, তিনি এরালিয়া কোনা হাওরে ১২ বিগা (৩০ শতকে এক বিগা) জমি চাষাবাদ করেছিলেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় চোখের সামনেই কাঁচা ধান পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

একই গ্রামের গোলাপনুর বলেন, মহাজনী সুদে ঋণ নিয়ে তিনি এরালিয়াকোনা হাওরে ১৮ কিয়ার জমি রোপন করেছিলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাওরপাড়ে গিয়ে দেখেন তার জমি পুরোটাই পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

মইয়্যাজুরি গ্রামের কৃষক নুরুল হক বলেন, এরালিয়াকোনা হাওরটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাবহির্ভূত। প্রতি বছরই তারা ধান রোপণ করে নিজেদের উদ্যোগ ও শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় হাওরের ছোট ছোট বাঁধগুলো মেরামত করে থাকেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তারা বাঁধ মেরামতের কাজ করে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বাঁধটিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার চার গ্রামের নারীপুরুষ মিলে তারা হাওরে কাজ করেছিলেন। পাটলাই নদীর পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার সকালেই হাওরটি পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, গত ১০ দিন ধরে এরালিয়াকোনা হাওরটির বাঁধ রক্ষা করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছিলাম। আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছি এ বাঁধটিতে। তাছাড়াও হাওর এলাকার চারটি গ্রামের মানুষও দিনরাত স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুনলাম হাওরটি পারি নীচে তলিয়ে গেছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবীর বলেন, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হায়দার আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে হাওরটির বাঁধ ভেঙে পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের লোকজন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন বলেও জানান তিনি।