রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: জেলার রাঙ্গুনিয়া থানাধীন লালানগরে পুলিশের আদেশ অমান্য করে পাকা অবৈধভাবে দালান নির্মাণ করছে অজিত দাশ। জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের দেওয়ানি মামলা থাকার কারণে বিবাদি পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধ করেছিল রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েকদিন পরেই রাতের আঁধারে ঘরের ছাদ ঢালাই দিয়ে গা ঢাকা দেন সপরিবারে। অজিতের ঘর নির্মাণের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন হরিপদ দাস।

গত ১৩ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ার লালানগর মৌজার বিএস খতিয়ানের আটটি দাগে ১২১ শতক জায়গার উপর মামলা চলাকালীন আদালত অবমাননা করে লালানগর গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডেও মৃত হরিমোহন দাশের পুত্র অজিত দাশ, তার স্ত্রী নমিতা দাশ ও পুত্র নয়ন দাশকে বিবাদি করে তাদের বিরুদ্ধে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রকিব জানান, বিচারাধীন জায়গায় বাড়ি বানানোর অভিযোগটির ব্যাপারে আমি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু রাতের মধ্যে ছাদ ঢালাই দেওয়ার কথা খবর পেয়েছি।

অজিত দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু হরিপদ দাশের নয়, অজিতের ভাই প্রদীপ দাস অভিযোগ করে জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ না করে আমার ঘর থেকে এক হাত দূরে নতুন পাকা ভবন নির্মাণ করছে। আমার ঘরের সামনে প্রায় ১ গন্ডা জায়গায় ইতিপূর্বে আরও একটি পাকা ভবন নির্মাণ করেছে সে। বর্তমান নির্মাণাধীন ভবনে আমার ঘরের টিউবওয়েল থেকে কয়েক হাত দূরে গভীর নলকুপ বসিয়েছে। আমার টিউবওয়েলে আর পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে গেলে আমাদের এখন পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ইতিপূর্বে সে উপজেলা প্রশাসন থেকে ব্যক্তিগতভাবে পাওয়া আরো একটি গভীর নলকূপ বসিয়েছিল।

এলাকাবাসী বলেন, অজিত তার ভাইদের বাড়ি ছাড়া করার জন্য গত পঁয়ত্রিশ বছর নানাভাবে অত্যাচার- নির্যাতন করে আসছে। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে নানা অত্যাচার-নির্যাতন ও পিটিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। এখন ভাইয়ের জয়গা দখলের জন্য মাত্র এক হাত দূরে আর একটি পাকা ভবন নির্মাণ করছে। তার ভাই যাতে বাড়িতে এসে পানি না পায় সেজন্য একে একে দু’টি গভীর নলকূপ বসিয়েছে। সে তার ভাইদের ভিটেছাড়া করবে এবার। প্রতারক অজিতের চাচাত ভাই গরিব-অসহায় দীপককেও বাড়িছাড়া করার জন্য তার স্ত্রী-পুত্র কন্যার উপর প্রতিদিন অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছে অজিত ও তার স্ত্রী নমিতা। দীপকের ঘরের দরজা, দাওয়া, উঠান আটকে তাদের চলাচলের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন।

দীপক এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে অজিত তার ভাই প্রদীপকে যেভাবে বাড়িছাড়া করেছে সেভাবে আমাকে বাড়িছাড়া করার হুমকি দেয়। অনেকবার আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারতে আসে। ‘তোর মেয়েকে কিভাবে বিয়ে দিস আমি দেখব’- এমন হুমকিও দিয়েছে।

দেড়-দুই বছর আগে আমার পৈত্রিক ভিটায় একটি বেড়ার ঘর করেছি জানিয়ে দীপক বলেন, ঘর থেকে বের হতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। আত্মীয়-স্বজন অনেকে আহত হয়েছে। এভাবে অজিত ও তার স্ত্রী নানাভাবে প্রতিদিন অত্যাচার-নির্যাতন করে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক ব্যক্তি জানান, অজিতের স্ত্রী নমিতা দাশ ও মেয়ে আরো কয়েক বছর আগে স্থানীয় একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে একটি বিকাশ নম্বরে ১৬ হাজার টাকা পাঠিয়ে পরে দেওয়ার কথা বলে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় বিকাশ এজেন্ট সহ আশেপাশের দোকানদারা তাদের ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিকাশ এজেন্ট অনেকদিন পর এসব টাকা আদায় করে।

অজিত দম্পতি ও তার পরিবার এভাবে অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা মেরে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এমনকি এক ব্যাংক কর্মকর্তার টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগও আছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

প্রথম পাকা ভবন করার কয়েক বছর আগে অজিত রাতের আধাঁরে নিজের ঘরে সিঁদ কেটে তাদের টাকাপয়সা চুরি হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করেন কৌশলে সহায়তা আদায়ের জন্য। বিগত কয়েক বছর আগে অজিতের ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাড়ির মুরুব্বি ডেকে শালিসের মাধ্যমে অভিযুক্তের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন জানান এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশিরা জানান, এসব কিছুই অজিতের টাকা রোজগারের ব্যবস্থা। এমনকি প্রতারণা করে টাকা রোজগারের জন্য অজিত দাশ তার মেয়েকে নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনে সীতাকুন্ডু মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য ভুয়া মানবাধিকার কর্মী সাজিয়ে ভাড়াটে প্রতারক নিয়ে সীতাকুন্ডে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয়।

এলাকাবাসী জানান, অজিত ও তার পরিবারের প্রতারণার শেষ নেই। রানীর হাটে তার নাম মাত্র একটি দর্জি দোকান থাকলেও সেটা মাঝেমধ্যে খোলা হয়। তাদের আসল ব্যবসা প্রতারণা করে টাকা হাতানো।

অজিত দাশের প্রতারণার সত্যতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব ঘটনা আমি মিটমাট করে ফেলেছি। এসব ফালতু কথা বলার দরকার নেই।

এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রকিব বলেন, জায়গা দখল, ভিটেবাড়ি ছাড়া করা, নানা প্রতারণা এত অভিযোগ একজন মানুষের বিরুদ্ধে থাকলে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি: জেলার রাঙ্গুনিয়া থানাধীন লালানগরে পুলিশের আদেশ অমান্য করে পাকা অবৈধভাবে দালান নির্মাণ করছে অজিত দাশ। জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের দেওয়ানি মামলা থাকার কারণে বিবাদি পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে নিষেধ করেছিল রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কয়েকদিন পরেই রাতের আঁধারে ঘরের ছাদ ঢালাই দিয়ে গা ঢাকা দেন সপরিবারে। অজিতের ঘর নির্মাণের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন হরিপদ দাস।

গত ১৩ নভেম্বর রাঙ্গুনিয়া থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়ার লালানগর মৌজার বিএস খতিয়ানের আটটি দাগে ১২১ শতক জায়গার উপর মামলা চলাকালীন আদালত অবমাননা করে লালানগর গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডেও মৃত হরিমোহন দাশের পুত্র অজিত দাশ, তার স্ত্রী নমিতা দাশ ও পুত্র নয়ন দাশকে বিবাদি করে তাদের বিরুদ্ধে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রকিব জানান, বিচারাধীন জায়গায় বাড়ি বানানোর অভিযোগটির ব্যাপারে আমি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু রাতের মধ্যে ছাদ ঢালাই দেওয়ার কথা খবর পেয়েছি।

অজিত দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুধু হরিপদ দাশের নয়, অজিতের ভাই প্রদীপ দাস অভিযোগ করে জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ না করে আমার ঘর থেকে এক হাত দূরে নতুন পাকা ভবন নির্মাণ করছে। আমার ঘরের সামনে প্রায় ১ গন্ডা জায়গায় ইতিপূর্বে আরও একটি পাকা ভবন নির্মাণ করেছে সে। বর্তমান নির্মাণাধীন ভবনে আমার ঘরের টিউবওয়েল থেকে কয়েক হাত দূরে গভীর নলকুপ বসিয়েছে। আমার টিউবওয়েলে আর পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে গেলে আমাদের এখন পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ইতিপূর্বে সে উপজেলা প্রশাসন থেকে ব্যক্তিগতভাবে পাওয়া আরো একটি গভীর নলকূপ বসিয়েছিল।

এলাকাবাসী বলেন, অজিত তার ভাইদের বাড়ি ছাড়া করার জন্য গত পঁয়ত্রিশ বছর নানাভাবে অত্যাচার- নির্যাতন করে আসছে। শেষ পর্যন্ত তাদেরকে নানা অত্যাচার-নির্যাতন ও পিটিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। এখন ভাইয়ের জয়গা দখলের জন্য মাত্র এক হাত দূরে আর একটি পাকা ভবন নির্মাণ করছে। তার ভাই যাতে বাড়িতে এসে পানি না পায় সেজন্য একে একে দু’টি গভীর নলকূপ বসিয়েছে। সে তার ভাইদের ভিটেছাড়া করবে এবার। প্রতারক অজিতের চাচাত ভাই গরিব-অসহায় দীপককেও বাড়িছাড়া করার জন্য তার স্ত্রী-পুত্র কন্যার উপর প্রতিদিন অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছে অজিত ও তার স্ত্রী নমিতা। দীপকের ঘরের দরজা, দাওয়া, উঠান আটকে তাদের চলাচলের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন।

দীপক এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে অজিত তার ভাই প্রদীপকে যেভাবে বাড়িছাড়া করেছে সেভাবে আমাকে বাড়িছাড়া করার হুমকি দেয়। অনেকবার আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারতে আসে। ‘তোর মেয়েকে কিভাবে বিয়ে দিস আমি দেখব’- এমন হুমকিও দিয়েছে।

দেড়-দুই বছর আগে আমার পৈত্রিক ভিটায় একটি বেড়ার ঘর করেছি জানিয়ে দীপক বলেন, ঘর থেকে বের হতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়। আত্মীয়-স্বজন অনেকে আহত হয়েছে। এভাবে অজিত ও তার স্ত্রী নানাভাবে প্রতিদিন অত্যাচার-নির্যাতন করে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক ব্যক্তি জানান, অজিতের স্ত্রী নমিতা দাশ ও মেয়ে আরো কয়েক বছর আগে স্থানীয় একটি বিকাশ এজেন্ট থেকে একটি বিকাশ নম্বরে ১৬ হাজার টাকা পাঠিয়ে পরে দেওয়ার কথা বলে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় বিকাশ এজেন্ট সহ আশেপাশের দোকানদারা তাদের ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিকাশ এজেন্ট অনেকদিন পর এসব টাকা আদায় করে।

অজিত দম্পতি ও তার পরিবার এভাবে অভিনব প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা মেরে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এমনকি এক ব্যাংক কর্মকর্তার টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগও আছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

প্রথম পাকা ভবন করার কয়েক বছর আগে অজিত রাতের আধাঁরে নিজের ঘরে সিঁদ কেটে তাদের টাকাপয়সা চুরি হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করেন কৌশলে সহায়তা আদায়ের জন্য। বিগত কয়েক বছর আগে অজিতের ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাড়ির মুরুব্বি ডেকে শালিসের মাধ্যমে অভিযুক্তের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন জানান এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশিরা জানান, এসব কিছুই অজিতের টাকা রোজগারের ব্যবস্থা। এমনকি প্রতারণা করে টাকা রোজগারের জন্য অজিত দাশ তার মেয়েকে নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনে সীতাকুন্ডু মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য ভুয়া মানবাধিকার কর্মী সাজিয়ে ভাড়াটে প্রতারক নিয়ে সীতাকুন্ডে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয়।

এলাকাবাসী জানান, অজিত ও তার পরিবারের প্রতারণার শেষ নেই। রানীর হাটে তার নাম মাত্র একটি দর্জি দোকান থাকলেও সেটা মাঝেমধ্যে খোলা হয়। তাদের আসল ব্যবসা প্রতারণা করে টাকা হাতানো।

অজিত দাশের প্রতারণার সত্যতার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব ঘটনা আমি মিটমাট করে ফেলেছি। এসব ফালতু কথা বলার দরকার নেই।

এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রকিব বলেন, জায়গা দখল, ভিটেবাড়ি ছাড়া করা, নানা প্রতারণা এত অভিযোগ একজন মানুষের বিরুদ্ধে থাকলে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।