ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে এক গৃহবধূ নিজের কন্যা শিশুকে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা সদর বিবিরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পিছনে কামাল ভবনের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আফরিন ফটিকছড়ি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মো. কামালের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন বিবলোর স্ত্রী। নিহত ১৬ মাস বয়সী শিশুটি ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান আতকিয়া আয়েশা।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল সকালে আফরিন তার মেয়েকে নিয়ে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি ৯৯৯–এ জানালে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মা–মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের শ্বশুর মো. কামাল বলেন, আড়াই বছর আগে আমার ছেলের সাথে আফরোজার বিয়ে হয়। পরে তাদের এক কন্যা সন্তান হয়। কিছুদিন ধরে আফরোজার মানসিক সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তার ও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিয়েছি। আজ আমার নাতনিকে হত্যা করে পরে সে নিজে আত্মহত্যা করেছে।

নিহতের ননদ তাসলিমা বলেন, বিয়ের পর থেকে ভাবি ঘরে ভয় পেতেন। উনি সব সময় বলতেন–ঘরে জ্বীন আসেছে। ভয়ানক কথাবার্তা বলতেন সব সময়। কয়েকদিন ধরে এ অবস্থার মাত্রা বেড়ে যায়। উনি সব সময় রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে থাকতেন।

ফটিকছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করেছি। ঘরের ভেতর গৃহবধূর লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার শিশু সন্তানের লাশ খাটের উপর পাওয়া যায়। যেহেতু রুমের দরজার ভেতর দিয়ে লাগানো ছিল, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল কারণ বের করা হবে।

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: ফটিকছড়িতে এক গৃহবধূ নিজের কন্যা শিশুকে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা সদর বিবিরহাট পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পিছনে কামাল ভবনের নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আফরিন ফটিকছড়ি পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের মো. কামালের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন বিবলোর স্ত্রী। নিহত ১৬ মাস বয়সী শিশুটি ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান আতকিয়া আয়েশা।

পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল সকালে আফরিন তার মেয়েকে নিয়ে রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। পরে বিষয়টি ৯৯৯–এ জানালে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে মা–মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের শ্বশুর মো. কামাল বলেন, আড়াই বছর আগে আমার ছেলের সাথে আফরোজার বিয়ে হয়। পরে তাদের এক কন্যা সন্তান হয়। কিছুদিন ধরে আফরোজার মানসিক সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তার ও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিয়েছি। আজ আমার নাতনিকে হত্যা করে পরে সে নিজে আত্মহত্যা করেছে।

নিহতের ননদ তাসলিমা বলেন, বিয়ের পর থেকে ভাবি ঘরে ভয় পেতেন। উনি সব সময় বলতেন–ঘরে জ্বীন আসেছে। ভয়ানক কথাবার্তা বলতেন সব সময়। কয়েকদিন ধরে এ অবস্থার মাত্রা বেড়ে যায়। উনি সব সময় রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে থাকতেন।

ফটিকছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করেছি। ঘরের ভেতর গৃহবধূর লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এবং তার শিশু সন্তানের লাশ খাটের উপর পাওয়া যায়। যেহেতু রুমের দরজার ভেতর দিয়ে লাগানো ছিল, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূ মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার আসল কারণ বের করা হবে।