নিজস্ব প্রতিবেদক: চার মাসে একাধিকবার সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতনিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর অফিস সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান (বাবলু), সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহ-সভাপতি (অর্থ)মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, বিজিএমইএ এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগন এবং বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানগন।

তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস হয়েছে, এ সময়ে একাধিকবার আমরা প্রধান উপদেষ্টার অ্যাপয়ন্টমেন্ট চেয়েছি, কিন্তু আমাদের কনসার্নগুলো জানানোর জন্য উনি সময় দেননি।’

সাংবাদ সম্মেলনে গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মাহমুদ হাসান খান বাবু। ‍একই সঙ্গে তিনি নতুন আইনে পোশাক শিল্পে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে বলেও জানান।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের বাস্তবতা বিবেচনা করে ‘বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫’ পুনর্বিবেচনা, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা উন্নয়ন ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ৩ বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য জোরালো আহবান জানানো হয়। পোশাক শিল্পসহ দেশের সমগ্র উৎপাদনমুখী শিল্পখাত বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই গুরুতর প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) অন্তর্র্বতী সরকার কর্তৃক নীতিগত চূড়ান্ত অনুমোদিত বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫্ এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে এমন জরুরি ইস্যু, যেমন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ); বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম; বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএপিএমইএ) এর সভাপতি মো. শাহরিয়ার, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এর সভাপতি তাসকীন আহমেদ, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বাপি) এর সিইও মেজর জেনারেল (অবঃ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য প্রদান করেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

বিজিএমইএ সভাপতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,, সদ্য অনুমোদিত বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫্-এর কতিপয় বিধান, বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, দ্বৈত পেনশন স্কিম এবং শ্রমিক সজ্ঞায়িত করার মতো বিষয়গুলো, দেশের বাস্তবতা ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই ধারাগুলো কার্যকর হলে শিল্পে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি শিল্পের চলমান চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে দেশের বাস্তবতা ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫্ পুনর্বিবেচনা করা জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন বানিজ্য সংগঠনের নেতারা বলেন, বন্দরের সেবার বিপরীতে প্রায় ৪১% মাশুল বৃদ্ধি শিল্পের পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে দিবে। তারা বলেন, এই মাশুল বৃদ্ধি অযৌক্তিক, কারণ ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে গত ৪০ বছরে টাকার অংকে মাশুল ইতোমধ্যেই ৩০৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বন্দরের মাশুল না বাড়িয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

সভায় পোশাক শিল্পসহ দেশের সমগ্র উৎপাদনমুখী শিল্প খাতের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে এবং ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এলডিসি উত্তোরণের সময়সীমা অন্তত ৩ বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য জোর আহবান জানানো হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার মাসে একাধিকবার সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ পাননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতনিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু।আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এসব কথা বলেন।

বিজিএমইএ কমপ্লেক্সের নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর অফিস সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান (বাবলু), সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহ-সভাপতি (অর্থ)মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, বিজিএমইএ এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগন এবং বিভিন্ন কমিটির চেয়ারম্যানগন।

তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস হয়েছে, এ সময়ে একাধিকবার আমরা প্রধান উপদেষ্টার অ্যাপয়ন্টমেন্ট চেয়েছি, কিন্তু আমাদের কনসার্নগুলো জানানোর জন্য উনি সময় দেননি।’

সাংবাদ সম্মেলনে গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মাহমুদ হাসান খান বাবু। ‍একই সঙ্গে তিনি নতুন আইনে পোশাক শিল্পে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে বলেও জানান।

সংবাদ সম্মেলনে দেশের বাস্তবতা বিবেচনা করে ‘বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫’ পুনর্বিবেচনা, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা উন্নয়ন ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ৩ বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য জোরালো আহবান জানানো হয়। পোশাক শিল্পসহ দেশের সমগ্র উৎপাদনমুখী শিল্পখাত বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই গুরুতর প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) অন্তর্র্বতী সরকার কর্তৃক নীতিগত চূড়ান্ত অনুমোদিত বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫্ এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে এমন জরুরি ইস্যু, যেমন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এর সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ); বিকেএমইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম; বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এন্ড প্যাকেজিং প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএপিএমইএ) এর সভাপতি মো. শাহরিয়ার, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এর সভাপতি তাসকীন আহমেদ, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি (বাপি) এর সিইও মেজর জেনারেল (অবঃ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য প্রদান করেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।

বিজিএমইএ সভাপতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,, সদ্য অনুমোদিত বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫্-এর কতিপয় বিধান, বিশেষ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন, দ্বৈত পেনশন স্কিম এবং শ্রমিক সজ্ঞায়িত করার মতো বিষয়গুলো, দেশের বাস্তবতা ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই ধারাগুলো কার্যকর হলে শিল্পে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি শিল্পের চলমান চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে দেশের বাস্তবতা ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করে বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫্ পুনর্বিবেচনা করা জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিভিন্ন বানিজ্য সংগঠনের নেতারা বলেন, বন্দরের সেবার বিপরীতে প্রায় ৪১% মাশুল বৃদ্ধি শিল্পের পরিচালন ব্যয় বাড়িয়ে দিবে। তারা বলেন, এই মাশুল বৃদ্ধি অযৌক্তিক, কারণ ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে গত ৪০ বছরে টাকার অংকে মাশুল ইতোমধ্যেই ৩০৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা বন্দরের মাশুল না বাড়িয়ে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

সভায় পোশাক শিল্পসহ দেশের সমগ্র উৎপাদনমুখী শিল্প খাতের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে এবং ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এলডিসি উত্তোরণের সময়সীমা অন্তত ৩ বছর পিছিয়ে দেয়ার জন্য জোর আহবান জানানো হয়।